ডাকাতির সময় ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল by গোলাম মতুর্জা ও অরূপ রায়
আশুলিয়ার
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় ডাকাতির সময় ব্যাংকটির সবগুলো
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) বন্ধ ছিল। ডাকাতির সময়ের কোনো
দৃশ্য ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি। বিষয়টিকে ‘রহস্যজনক’ মনে করছে পুলিশ।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ক্যামেরাগুলো পরিকল্পনা করে আগে থেকে নষ্ট রাখা হয়েছিল, নাকি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানতে চাইলে কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক মো. সোহেল বলেন, ‘ক্যামেরায় ফুটেজ না পাওয়ার কথা পুলিশ আমাকে বলেছে। আসলে যারা এগুলো স্থাপন করেছিল, তাদেরই দায়িত্ব ছিল রক্ষণাবেক্ষণ করা। কিন্তু কী হয়েছে জানি না। এখন অন্য শাখায় যাতে এ ব্যবস্থা সচল থাকে, সেটা নিশ্চিত করছি।’
মঙ্গলবার ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংকের ভেতরে ব্যবস্থাপকসহ তিনজন, ডাকাতদের ধরতে গিয়ে চারজন এবং গণপিটুনিতে একজন ডাকাত-মোট আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় কমার্স ব্যাংকের দ্বিতীয় কর্মকর্তা ফরিদুল হাসান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তারকৃত বোরহান উদ্দীন মৃধা ও সাইফুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়। আর গণপিটুনিতে ডাকাত নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত সংখ্যক গ্রামবাসীকে আসামি করে মামলা করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. জাকারিয়া। ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কাঠগড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা গতকাল দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান। বাজারে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল ও আশপাশের মানুষ বক্তব্য, এ ঘটনা প্রতিরোধে বা অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কিছুই করেনি। ডাকাতদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে চারজন নিরীহ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। কাঠগড়া বাজার মসজিদের খতিব তৈয়ব আলী বলেন, তিনিসহ চটপটি বিক্রেতা ও আরও তিন-চারজন ব্যাংকের সিঁড়ির সামনে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ব্যাংকের ভেতর থেকে একজন চিৎকার করতে করতে দৌড়ে এসে বলেন, ‘ডাকাত পড়েছে, বাঁচান’। তখন চার-পাঁচজন সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ব্যাংকের দিকে যাওয়া শুরু করেন। এ সময় ওপর থেকে গুলির শব্দ আসে। এ সময় তিনি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন, ‘ব্যাংকে ডাকাত আইছে, ডাকাত আইছে’। এরপর অনেক লোক ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়ে যায়। তখন ব্যাংকের ভেতর থেকে কয়েকজন ভবনের ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায়। অপর দুজন গুলি করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকে। একটি গুলি মসজিদের কাচে লাগে। ডাকাতেরা তখন দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মসজিদের পাশে দাঁড়ানো কয়েকজন আহত হন। ডাকাতেরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাজারের ভেতর দিয়ে সড়কের দিকে চলে যায়।
এরপর বাজারের লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া দিতে থাকে, তারাও সমানে গুলি-বোমা ছুড়তে থাকে, ছুরি চালাতে থাকে। গতকালও বাজারের বিভিন্ন অংশে রক্তের দাগ দেখা গেছে।
ডাকাতদের ধরতে নিজের গাড়ি নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন রনি দেওয়ান। তিনি বলেন, তিনি কাঠগড়ার বাসার সামনে নিজের গাড়িতে বসে ছিলেন। মাইকে ডাকাত, ডাকাত চিৎকার শুনে চাচাতো ভাই ইমরান আহমেদ ও নয়ন দেওয়ানকে নিয়ে বাজারের দিকে আসেন। এ সময় সবাই চিৎকার করছিল ‘ওই যে ডাকাত গেল’। তাঁরা দেখেন একটি বাজাজ ডিসকোভার মোটরসাইকেলে (ঢাকা মেট্রো হ ৪১-৬৬৭৬) দ্রুতগতিতে তিনজন পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি গাড়ি নিয়ে ওই মোটরসাইকেলের পিছু ধাওয়া করেন। তিনজন বসা, তবুও মোটরসাইকেলের গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার ওপরে। তিনিও গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। এ অবস্থাতেই প্রায় দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে গাড়ির বাম্পার দিয়ে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে। তিনি গাড়ি থামাতে না থামতেই ডাকাতেরা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুজন দৌড়ে পালাতে থাকেন। রনির গাড়িতে থাকা দুজন তাদের ধরতে ছুট দেন। রনি বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যাওয়া একজনকে ধরে ফেলেন। তাদের ব্যাগে বেশ কিছু টাকাও পাওয়া যায়।
ক্যামেরা অচল: ঢাকা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের ধারণা ছিল, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা থেকে অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। কিন্তু কাল ভিডিও ব্যবস্থাটি পরীক্ষা করে দেখেন, এতে কোনো ফুটেজ নেই। ওই কর্মকর্তা বলেন, কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় মোট আটটি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। ক্যামেরাগুলো এমনভাবে লাগানো, যাতে ব্যাংকের ভেতরের সব দৃশ্য দেখা যায়। একটি ক্যামেরা একটি মনিটর ও রেকর্ড করার যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, কমার্স ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সার্ভিস-১ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এগুলোর সরবরাহ করেছে। একজন কর্মকর্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি জানিয়েছেন, রেকর্ড করা যন্ত্রটি অচল ছিল।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ক্যামেরাগুলো পরিকল্পনা করে আগে থেকে নষ্ট রাখা হয়েছিল, নাকি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানতে চাইলে কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক মো. সোহেল বলেন, ‘ক্যামেরায় ফুটেজ না পাওয়ার কথা পুলিশ আমাকে বলেছে। আসলে যারা এগুলো স্থাপন করেছিল, তাদেরই দায়িত্ব ছিল রক্ষণাবেক্ষণ করা। কিন্তু কী হয়েছে জানি না। এখন অন্য শাখায় যাতে এ ব্যবস্থা সচল থাকে, সেটা নিশ্চিত করছি।’
মঙ্গলবার ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংকের ভেতরে ব্যবস্থাপকসহ তিনজন, ডাকাতদের ধরতে গিয়ে চারজন এবং গণপিটুনিতে একজন ডাকাত-মোট আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় কমার্স ব্যাংকের দ্বিতীয় কর্মকর্তা ফরিদুল হাসান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তারকৃত বোরহান উদ্দীন মৃধা ও সাইফুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়। আর গণপিটুনিতে ডাকাত নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত সংখ্যক গ্রামবাসীকে আসামি করে মামলা করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. জাকারিয়া। ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কাঠগড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা গতকাল দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান। বাজারে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল ও আশপাশের মানুষ বক্তব্য, এ ঘটনা প্রতিরোধে বা অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কিছুই করেনি। ডাকাতদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে চারজন নিরীহ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। কাঠগড়া বাজার মসজিদের খতিব তৈয়ব আলী বলেন, তিনিসহ চটপটি বিক্রেতা ও আরও তিন-চারজন ব্যাংকের সিঁড়ির সামনে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ব্যাংকের ভেতর থেকে একজন চিৎকার করতে করতে দৌড়ে এসে বলেন, ‘ডাকাত পড়েছে, বাঁচান’। তখন চার-পাঁচজন সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ব্যাংকের দিকে যাওয়া শুরু করেন। এ সময় ওপর থেকে গুলির শব্দ আসে। এ সময় তিনি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন, ‘ব্যাংকে ডাকাত আইছে, ডাকাত আইছে’। এরপর অনেক লোক ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়ে যায়। তখন ব্যাংকের ভেতর থেকে কয়েকজন ভবনের ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে নেমে যায়। অপর দুজন গুলি করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকে। একটি গুলি মসজিদের কাচে লাগে। ডাকাতেরা তখন দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মসজিদের পাশে দাঁড়ানো কয়েকজন আহত হন। ডাকাতেরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাজারের ভেতর দিয়ে সড়কের দিকে চলে যায়।
এরপর বাজারের লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া দিতে থাকে, তারাও সমানে গুলি-বোমা ছুড়তে থাকে, ছুরি চালাতে থাকে। গতকালও বাজারের বিভিন্ন অংশে রক্তের দাগ দেখা গেছে।
ডাকাতদের ধরতে নিজের গাড়ি নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন রনি দেওয়ান। তিনি বলেন, তিনি কাঠগড়ার বাসার সামনে নিজের গাড়িতে বসে ছিলেন। মাইকে ডাকাত, ডাকাত চিৎকার শুনে চাচাতো ভাই ইমরান আহমেদ ও নয়ন দেওয়ানকে নিয়ে বাজারের দিকে আসেন। এ সময় সবাই চিৎকার করছিল ‘ওই যে ডাকাত গেল’। তাঁরা দেখেন একটি বাজাজ ডিসকোভার মোটরসাইকেলে (ঢাকা মেট্রো হ ৪১-৬৬৭৬) দ্রুতগতিতে তিনজন পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি গাড়ি নিয়ে ওই মোটরসাইকেলের পিছু ধাওয়া করেন। তিনজন বসা, তবুও মোটরসাইকেলের গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার ওপরে। তিনিও গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। এ অবস্থাতেই প্রায় দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে গাড়ির বাম্পার দিয়ে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে। তিনি গাড়ি থামাতে না থামতেই ডাকাতেরা একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী দুজন দৌড়ে পালাতে থাকেন। রনির গাড়িতে থাকা দুজন তাদের ধরতে ছুট দেন। রনি বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যাওয়া একজনকে ধরে ফেলেন। তাদের ব্যাগে বেশ কিছু টাকাও পাওয়া যায়।
ক্যামেরা অচল: ঢাকা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের ধারণা ছিল, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা থেকে অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। কিন্তু কাল ভিডিও ব্যবস্থাটি পরীক্ষা করে দেখেন, এতে কোনো ফুটেজ নেই। ওই কর্মকর্তা বলেন, কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় মোট আটটি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। ক্যামেরাগুলো এমনভাবে লাগানো, যাতে ব্যাংকের ভেতরের সব দৃশ্য দেখা যায়। একটি ক্যামেরা একটি মনিটর ও রেকর্ড করার যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, কমার্স ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সার্ভিস-১ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এগুলোর সরবরাহ করেছে। একজন কর্মকর্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি জানিয়েছেন, রেকর্ড করা যন্ত্রটি অচল ছিল।
No comments