যশোর ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের টেন্ডার নিয়ে তুলকালাম, শতাধিক ঠিকাদার লাঞ্ছিত
সাড়ে ৮ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে যশোর ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টে। ৪৮ গ্রুপের ওই কাজের দরপত্র দাখিল করতে গিয়ে সরকারদলীয় সশস্ত্র ক্যাডারদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন শতাধিক ঠিকাদার ও তাদের লোকজন। ক্যাডাররা দরপত্র জমা দিতে আসা ঠিকাদারদের মারধর করে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়। লুট করে দরপত্রের সঙ্গে থাকা বিডি বা ব্যাংক ড্রাফট। আওয়ামী লীগের এসব ক্যাডার প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে জেলা শিক্ষা ও প্রকৌশল বিভাগের দাপ্তরিক দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ঠুঁটো জগন্নাথের মতো চেয়ারে বসে ক্যাডারদের অর্ডার পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুদ্দিন আহম্মেদকে। অনেক ঠিকাদার ফোনে বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করলেও তিনি এ ব্যাপারে নিরব ছিলেন।
যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার, ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন ও ১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের নিমিত্তে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ গত ৬ই এপ্রিল থেকে দরপত্র বিক্রি শুরু করেন। মোট ৩টি নোটিশে ৪৮ গ্রুপ কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কাজের ধরন বুঝে দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা। নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ছাড়াও জেলা প্রশাসকের শিক্ষা ও উন্নয়ন শাখায় এবং জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরে দরপত্র বিক্রি ও জমাদানের ব্যবস্থা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুদ্দিন আহম্মেদ। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এ কাজের দরপত্র বিক্রিতে কোন ধরনের বাধা দেননি সরকারি দলের ক্যাডাররা। ফলে ঠিকাদাররা মনের আনন্দে দরপত্র কিনেছেন। বিভাগীয় হিসাব মতে, এই ৪৮ গ্রুপ কাজের বিপরীতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিডিউল বা দরপত্র বিক্রি হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল দরপত্র জমাদানের শেষ সময়। ঘটনা ঘটে সেখানেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, গতকাল সকাল থেকে দরপত্র সংগ্রহকারী ঠিকাদাররা সোয়া ২ পারসেন্ট বিডিসহ দরপত্র সম্পূর্ণ করে তা জমা দেয়ার জন্য শহরের ফায়ার সার্ভিসসংলগ্ন ফ্যাসিলিটিজ বিভাগে যান। কিন্তু তার আগ থেকে সেখানে অবস্থান নেয় বেশ কয়েকজন ক্যাডার। সশস্ত্র এসব ক্যাডার ফ্যাসিলিটিজ বিভাগে প্রবেশের দুটি রাস্তার মুখে ও ভবনের নিচ তলায় অবস্থান নিয়ে ঠিকাদারদের দরপত্র দাখিলে বাধা দিতে শুরু করে। তারা ঠিকাদার দেখলেই তাদের ওপর হামলে পড়ে দরপত্র ছিনিয়ে নিতে শুরু করে। যদি কেউ দরপত্র দিতে গড়িমসি করে তার ওপর চলে নির্যাতন। শুধু দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি ক্যাডাররা। তারা দরপত্রের সঙ্গে থাকা লাখ লাখ টাকার বিডি ছিনিয়ে নেয়। পরে দেনদরবারের পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিডি ফেরত নিতে বাধ্য হন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝিনাইদহ থেকে আসা একদল ঠিকাদার বলেন, তারা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে ৩৪ গ্রুপের কাজের দরপত্র জমা দিতে যশোর ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের পবেশ মুখে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে যুবলীগ ক্যাডার টাক মিলনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ক্যাডার অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে কাছে থাকা ৩৪টি শিডিউল ও তার সঙ্গে কয়েক লাখ টাকার বিডি জোর করে কেড়ে নেয়। দরপত্র দিতে না চাইলে টাক মিলনসহ তার ক্যাডাররা অস্ত্র উঁচিয়ে তাদের হত্যার হুমকি দেয়। পরে বহু কষ্টে ওই ঠিকাদাররা তাদের বিডিগুলো ফেরত পান। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রক্ষিত বাক্সেও দরপত্র দাখির করতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছেন সাধারণ ঠিকাদাররা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, জেলা প্রশাসকের দপ্তরের বাইরের রাস্তায় শাহীন চাকলাদারের নাম ভাঙিয়ে ক্যাডাররা দরপত্র দাখিলে বাধা দেয়। একইভাবে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে পশ্চিমে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে, পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নতুন ভবনের সামনে, উত্তরে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ও দক্ষিণে যশোর ক্লাবের সামনের রাস্তায় সশস্ত্র ক্যাডাররা অবস্থান নেয়। ফলে এসব পথে যেসব সাধারণ ঠিকাদার দরপত্র দাখিলের জন্য যান তাদের জিম্মি করে দরপত্র কেড়ে নিয়েছে ক্যাডাররা। তার পরও নানা কৌশলে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রক্ষিত বাক্সে তাদের দরপত্র জমা দিতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন একজন ঠিকাদার। এদিকে গতকাল বিকাল ৩টায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে দরপত্র বাক্স ওপেন করা হয়। দেখা গেছে, কয়েকটি গ্রুপ বাধে অধিকাংশ গ্রুপে তিনটির বেশি দরপত্র জমা পড়েনি। ফলে এসব গ্রুপে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সরকারি দলের ক্যাডাররা কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগবাটোয়ারা করে নিলো বলে মন্তব্য করেছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এসব অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি নিজেও ক্যাডারদের গান পয়েন্টে আছি। আমি নিজেও এসব ক্যাডারের হাতে জিম্মি। ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের দরপত্র ঠেকানোর ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তিনি নিজেও বেশ কয়েক গ্রুপের দরপত্র কিনে সশস্ত্র ক্যাডারদের ভয়ে ড্রপিং করতে পারেননি। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ভার দলের ওপর পড়ছে বলে তিনি দাবি করেন।
সম্প্রতি এই ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের টেন্ডারবাজির ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি খালেদুর রহমান টিটোর বাড়িতে উপর্যুপরি বোমা হামলার ঘটনা ঘটায় দলীয় ক্যাডাররা। প্রতিবাদ করায় টিটোর এক ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা। সে ঘটনায় মামলা হলেও অদ্যাবধি কেউ আটক হয়নি। সেই মামলার আসামিরাই গতকাল প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে রাস্তার ওপর টেন্ডারবাজি করে সাড়ে ৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছে।
এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমার অফিসের অভ্যন্তরে কোন অঘটন ঘটেনি। বাইরের রাস্তায় কে কি করলো তা আমার দেখার বিষয় নয়। তিনি বলেন, আমার অফিস ছাড়াও এসপি ও ডিসি অফিসে দরপত্র ড্রপিং করার ব্যবস্থা রাখা ছিল। সেখানে অনেক ঠিকাদার দরপত্র ড্রপিং করেছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত হয়তো টেন্ডারবাজদের ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না।’
যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার, ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন ও ১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের নিমিত্তে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ গত ৬ই এপ্রিল থেকে দরপত্র বিক্রি শুরু করেন। মোট ৩টি নোটিশে ৪৮ গ্রুপ কাজের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কাজের ধরন বুঝে দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা। নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ছাড়াও জেলা প্রশাসকের শিক্ষা ও উন্নয়ন শাখায় এবং জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরে দরপত্র বিক্রি ও জমাদানের ব্যবস্থা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুদ্দিন আহম্মেদ। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এ কাজের দরপত্র বিক্রিতে কোন ধরনের বাধা দেননি সরকারি দলের ক্যাডাররা। ফলে ঠিকাদাররা মনের আনন্দে দরপত্র কিনেছেন। বিভাগীয় হিসাব মতে, এই ৪৮ গ্রুপ কাজের বিপরীতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিডিউল বা দরপত্র বিক্রি হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল দরপত্র জমাদানের শেষ সময়। ঘটনা ঘটে সেখানেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, গতকাল সকাল থেকে দরপত্র সংগ্রহকারী ঠিকাদাররা সোয়া ২ পারসেন্ট বিডিসহ দরপত্র সম্পূর্ণ করে তা জমা দেয়ার জন্য শহরের ফায়ার সার্ভিসসংলগ্ন ফ্যাসিলিটিজ বিভাগে যান। কিন্তু তার আগ থেকে সেখানে অবস্থান নেয় বেশ কয়েকজন ক্যাডার। সশস্ত্র এসব ক্যাডার ফ্যাসিলিটিজ বিভাগে প্রবেশের দুটি রাস্তার মুখে ও ভবনের নিচ তলায় অবস্থান নিয়ে ঠিকাদারদের দরপত্র দাখিলে বাধা দিতে শুরু করে। তারা ঠিকাদার দেখলেই তাদের ওপর হামলে পড়ে দরপত্র ছিনিয়ে নিতে শুরু করে। যদি কেউ দরপত্র দিতে গড়িমসি করে তার ওপর চলে নির্যাতন। শুধু দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি ক্যাডাররা। তারা দরপত্রের সঙ্গে থাকা লাখ লাখ টাকার বিডি ছিনিয়ে নেয়। পরে দেনদরবারের পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিডি ফেরত নিতে বাধ্য হন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঝিনাইদহ থেকে আসা একদল ঠিকাদার বলেন, তারা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে ৩৪ গ্রুপের কাজের দরপত্র জমা দিতে যশোর ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের পবেশ মুখে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে যুবলীগ ক্যাডার টাক মিলনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ক্যাডার অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে কাছে থাকা ৩৪টি শিডিউল ও তার সঙ্গে কয়েক লাখ টাকার বিডি জোর করে কেড়ে নেয়। দরপত্র দিতে না চাইলে টাক মিলনসহ তার ক্যাডাররা অস্ত্র উঁচিয়ে তাদের হত্যার হুমকি দেয়। পরে বহু কষ্টে ওই ঠিকাদাররা তাদের বিডিগুলো ফেরত পান। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রক্ষিত বাক্সেও দরপত্র দাখির করতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছেন সাধারণ ঠিকাদাররা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, জেলা প্রশাসকের দপ্তরের বাইরের রাস্তায় শাহীন চাকলাদারের নাম ভাঙিয়ে ক্যাডাররা দরপত্র দাখিলে বাধা দেয়। একইভাবে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে পশ্চিমে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে, পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নতুন ভবনের সামনে, উত্তরে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ও দক্ষিণে যশোর ক্লাবের সামনের রাস্তায় সশস্ত্র ক্যাডাররা অবস্থান নেয়। ফলে এসব পথে যেসব সাধারণ ঠিকাদার দরপত্র দাখিলের জন্য যান তাদের জিম্মি করে দরপত্র কেড়ে নিয়েছে ক্যাডাররা। তার পরও নানা কৌশলে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রক্ষিত বাক্সে তাদের দরপত্র জমা দিতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন একজন ঠিকাদার। এদিকে গতকাল বিকাল ৩টায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে দরপত্র বাক্স ওপেন করা হয়। দেখা গেছে, কয়েকটি গ্রুপ বাধে অধিকাংশ গ্রুপে তিনটির বেশি দরপত্র জমা পড়েনি। ফলে এসব গ্রুপে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সরকারি দলের ক্যাডাররা কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগবাটোয়ারা করে নিলো বলে মন্তব্য করেছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এসব অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি নিজেও ক্যাডারদের গান পয়েন্টে আছি। আমি নিজেও এসব ক্যাডারের হাতে জিম্মি। ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের দরপত্র ঠেকানোর ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তিনি নিজেও বেশ কয়েক গ্রুপের দরপত্র কিনে সশস্ত্র ক্যাডারদের ভয়ে ড্রপিং করতে পারেননি। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ভার দলের ওপর পড়ছে বলে তিনি দাবি করেন।
সম্প্রতি এই ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের টেন্ডারবাজির ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি খালেদুর রহমান টিটোর বাড়িতে উপর্যুপরি বোমা হামলার ঘটনা ঘটায় দলীয় ক্যাডাররা। প্রতিবাদ করায় টিটোর এক ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা। সে ঘটনায় মামলা হলেও অদ্যাবধি কেউ আটক হয়নি। সেই মামলার আসামিরাই গতকাল প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে রাস্তার ওপর টেন্ডারবাজি করে সাড়ে ৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছে।
এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমার অফিসের অভ্যন্তরে কোন অঘটন ঘটেনি। বাইরের রাস্তায় কে কি করলো তা আমার দেখার বিষয় নয়। তিনি বলেন, আমার অফিস ছাড়াও এসপি ও ডিসি অফিসে দরপত্র ড্রপিং করার ব্যবস্থা রাখা ছিল। সেখানে অনেক ঠিকাদার দরপত্র ড্রপিং করেছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত হয়তো টেন্ডারবাজদের ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না।’
No comments