জেনেভা ক্যাম্পের দিকে তাকিয়ে প্রার্থীরা by সিরাজুস সালেকিন
প্রচারণায়
সরগরম হয়ে উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড। এখানকার
প্রায় এক তৃতীয়াংশ ভোটার জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা। যারা বর্তমানে মানবেতর
জীবন যাপন করছেন। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা সবাই তাই
জেনেভা ক্যাম্পের অবহেলিত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি
দিচ্ছেন। মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্গত লালমাটিয়ার ব্লক এ, বি, সি, ডি, ই, এফ
ও জি, নিউ কলোনি, আসাদ গেট, খিলজী রোড, বাবর রোড, মোহাম্মদপুরের এ ব্লক,
আসাদ এভিনিউ, আওরঙ্গজেব রোড, পিসি কালচার কালচার পার্ক এলাকা নিয়ে ৩২ নম্বর
ওয়ার্ড গঠিত। এই এলাকায় প্রায় ৩৪ হাজার ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ১০ হাজার
জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা। মৌলিক অধিকার থেকে তারা প্রায় বঞ্চিত। জেনেভা
ক্যাম্পের ভোটার মারুফ জানান, তাদের ২ হাজার টয়লেট প্রয়োজন হলেও রয়েছে
মাত্র ২শ’ ৫০টি। তারা আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না তারা।
এই ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে রাস্তাঘাটের তেমন সমস্যা নেই। তবে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়ায়। কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস ও স্যুয়ারেজের লাইনের সমস্যা রয়েছে বলে জানান ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আবাসিক এলাকায় হওয়া সত্ত্বেও এই এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে কারণে যানজট এই এলকার অন্যতম সমস্যা। এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন, বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর আতিকুল ইসলাম মতিন (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট), আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান (রেডিও), মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা (করাত), সৈয়দ সিরাজউদ্দিন (ঠেলাগাড়ি), এসএম হাসেম (লাটিম). মাসুদ রানা ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আতিকুল ইসলাম মতিন বলেন, নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন আদর্শ মডেল ওয়ার্ড গঠনই হবে আমার প্রধান কাজ। এছাড়া জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরতদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে স্পোর্টস ক্লাব তৈরি করবো।
বয়স্কদের জন্য একটি আধুনিক বিশ্রামাগার ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করবো। এলাকাবাসীদের সকল নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে লালমাটিয়া ও বাবর রোডে কাউন্সিলর অফিস করবো। এছাড়া ওয়ার্ডের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাবিবুর রহমান মিজান জানান, কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবেন। তাই তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অপর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, লালমাটিয়া আবাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখন বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে বেসরকারি স্কুল, অফিস ও দোকানপাট থাকায় বসবাসকারীরা যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এই ওয়ার্ডে এমন কিছু মহল্লা রয়েছে যেখানে কোন সড়ক বাতি জ্বলে না। এসব সমস্যা সমাধান করে আদর্শ ওয়ার্ড হিসেবে পরিণত করা হবে।
এই ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে রাস্তাঘাটের তেমন সমস্যা নেই। তবে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়ায়। কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস ও স্যুয়ারেজের লাইনের সমস্যা রয়েছে বলে জানান ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আবাসিক এলাকায় হওয়া সত্ত্বেও এই এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে কারণে যানজট এই এলকার অন্যতম সমস্যা। এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন, বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর আতিকুল ইসলাম মতিন (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট), আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান (রেডিও), মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা (করাত), সৈয়দ সিরাজউদ্দিন (ঠেলাগাড়ি), এসএম হাসেম (লাটিম). মাসুদ রানা ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আতিকুল ইসলাম মতিন বলেন, নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন আদর্শ মডেল ওয়ার্ড গঠনই হবে আমার প্রধান কাজ। এছাড়া জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরতদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে স্পোর্টস ক্লাব তৈরি করবো।
বয়স্কদের জন্য একটি আধুনিক বিশ্রামাগার ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করবো। এলাকাবাসীদের সকল নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে লালমাটিয়া ও বাবর রোডে কাউন্সিলর অফিস করবো। এছাড়া ওয়ার্ডের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাবিবুর রহমান মিজান জানান, কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবেন। তাই তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অপর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, লালমাটিয়া আবাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখন বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে বেসরকারি স্কুল, অফিস ও দোকানপাট থাকায় বসবাসকারীরা যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এই ওয়ার্ডে এমন কিছু মহল্লা রয়েছে যেখানে কোন সড়ক বাতি জ্বলে না। এসব সমস্যা সমাধান করে আদর্শ ওয়ার্ড হিসেবে পরিণত করা হবে।
No comments