রিমান্ডে চালক রুমন মিয়ার স্বীকারোক্তি by ওয়েছ খছরু
ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হওয়া সিলেট জেলা প্রশাসনের গাড়িচালক পুলিশি রিমান্ডে নানা তথ্য দিয়েছে। যে গাড়িটি আটক হয়েছে সেটি অধিকাংশ সময় জেলা প্রশাসকের স্ত্রী ব্যবহার করতেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে। ডিসি পুলের গাড়ি হলেও তাকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের স্ত্রী এই গাড়ি করে যাতায়াত করতেন। সিলেটে মন্ত্রীরা দাপ্তরিক কাজে এলে সেই গাড়িটিই ব্যবহার করা হতো বলে জানায় সে। চার দিনের রিমান্ডে সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশের কাছে এসব তথ্য জানিয়েছে গাড়িচালক রুমন মিয়া।
রুমন মিয়া সিলেটের জেলা প্রশাসনের গাড়িচালক। পহেলা বৈশাখের দিন রাতে রুমন মিয়াকে নগরীর শিবগঞ্জ এলাকা থেকে ১৯৩ বোতল ফেনসিডিল ও ১৮২ বোতল জেনোসিডিলসহ র্যাব আটক করে। এ ঘটনায় রুমন মিয়াকে জেলা প্রশাসনের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে, ১৫ই এপ্রিল রুমন মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ আদালতে হাজির করে তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়। গত সোমবার থেকে হেফাজতে নিয়ে রুমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে শাহপরান থানা পুলিশ। টানা ৪ দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
শাহপরান থানার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ জানান, রিমান্ডে টানা চার দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুমন মিয়াকে। কিন্তু রিমান্ডে সে অনেক কিছু আড়াল করে। একই সঙ্গে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য থকে পুলিশ জানায়, গাড়িতে কীভাবে মাদকের চালান এসেছে সে বিষয়ে রুমন স্পষ্ট কোন তথ্য দেয়নি। যেদিন গাড়িটি আটক করা হয় সেদিনও সে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কাজে ওই গাড়িটি ব্যবহার করেছে।
সিলেটের শাহপরান থানার সাব ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য মানবজমিনকে বলেন, মাদকের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অন্য কারও সম্পৃক্ততার ব্যাপারে রুমন কোন বক্তব্য দেয়নি কিংবা এ পর্যন্ত তদন্তেও আসেনি। তিনি জানান, রুমনের বক্তব্য অনেকটা অগোছালো। এ কারণে ফের তার রিমান্ড চাওয়া হবে।
তবে দুই বছর ধরে এই মাদকের ব্যবসা করছে বলে আটকের দিন রাতে সাংবাদিকদের কাছ স্বীকার করে ছিল রুমন। সপ্তাহে দুই দিন সে জেলা প্রশাসনের গাড়িতে করে মাদকের চালান আনা-নেয়া করতো। আর মাদক রাখতো সিলেট সার্কিট হাউজের পিছনে ঝুপের মধ্যে। পহেলা বৈশাখেও ওই গাড়ি দিয়ে জেলা প্রশাসনের স্ত্রী যাতায়াত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গাড়িটি আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনকে সমঝে দেয়া হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ইতিমধ্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আল আমীন গতকাল মানবজমিনকে বলেন, তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ জেলা প্রশাসন থেকে গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর থেকে রুমনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। মাদকের চালানসহ গাড়ি আটকের পর এ ঘটনায় শাস্তির খড়গ নেমেছে সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মোবাশ্বের হোসেনের ওপর। এ ঘটনায় তাকে ডিসি পুলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর সতর্ক করে দেয়া হয়েছে কয়েক জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে। জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর খুবই অস্থাভাজন ছিল চালক রুমন। সে জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত কাজে প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতো। এ কারণে সে অন্য চালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দাপট দেখাতো বেশি। তার অনিয়ম ও অপকর্মের বিষয়টি কেউ কেউ জানলেও ভয়ে মুখ খুলেননি। আর জেলা প্রশাসক ও তার স্ত্রীর আদর পেয়েই সে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।
রুমন মিয়া সিলেটের জেলা প্রশাসনের গাড়িচালক। পহেলা বৈশাখের দিন রাতে রুমন মিয়াকে নগরীর শিবগঞ্জ এলাকা থেকে ১৯৩ বোতল ফেনসিডিল ও ১৮২ বোতল জেনোসিডিলসহ র্যাব আটক করে। এ ঘটনায় রুমন মিয়াকে জেলা প্রশাসনের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে, ১৫ই এপ্রিল রুমন মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ আদালতে হাজির করে তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়। গত সোমবার থেকে হেফাজতে নিয়ে রুমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে শাহপরান থানা পুলিশ। টানা ৪ দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
শাহপরান থানার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ জানান, রিমান্ডে টানা চার দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুমন মিয়াকে। কিন্তু রিমান্ডে সে অনেক কিছু আড়াল করে। একই সঙ্গে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য থকে পুলিশ জানায়, গাড়িতে কীভাবে মাদকের চালান এসেছে সে বিষয়ে রুমন স্পষ্ট কোন তথ্য দেয়নি। যেদিন গাড়িটি আটক করা হয় সেদিনও সে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কাজে ওই গাড়িটি ব্যবহার করেছে।
সিলেটের শাহপরান থানার সাব ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য মানবজমিনকে বলেন, মাদকের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অন্য কারও সম্পৃক্ততার ব্যাপারে রুমন কোন বক্তব্য দেয়নি কিংবা এ পর্যন্ত তদন্তেও আসেনি। তিনি জানান, রুমনের বক্তব্য অনেকটা অগোছালো। এ কারণে ফের তার রিমান্ড চাওয়া হবে।
তবে দুই বছর ধরে এই মাদকের ব্যবসা করছে বলে আটকের দিন রাতে সাংবাদিকদের কাছ স্বীকার করে ছিল রুমন। সপ্তাহে দুই দিন সে জেলা প্রশাসনের গাড়িতে করে মাদকের চালান আনা-নেয়া করতো। আর মাদক রাখতো সিলেট সার্কিট হাউজের পিছনে ঝুপের মধ্যে। পহেলা বৈশাখেও ওই গাড়ি দিয়ে জেলা প্রশাসনের স্ত্রী যাতায়াত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গাড়িটি আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনকে সমঝে দেয়া হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ইতিমধ্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আল আমীন গতকাল মানবজমিনকে বলেন, তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ জেলা প্রশাসন থেকে গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর থেকে রুমনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। মাদকের চালানসহ গাড়ি আটকের পর এ ঘটনায় শাস্তির খড়গ নেমেছে সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মোবাশ্বের হোসেনের ওপর। এ ঘটনায় তাকে ডিসি পুলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর সতর্ক করে দেয়া হয়েছে কয়েক জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে। জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর খুবই অস্থাভাজন ছিল চালক রুমন। সে জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত কাজে প্রায় সময় ব্যস্ত থাকতো। এ কারণে সে অন্য চালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দাপট দেখাতো বেশি। তার অনিয়ম ও অপকর্মের বিষয়টি কেউ কেউ জানলেও ভয়ে মুখ খুলেননি। আর জেলা প্রশাসক ও তার স্ত্রীর আদর পেয়েই সে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।
No comments