পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর by আতাউর রহমান
গল্প
আছে: জনৈক ব্যক্তি নিজের মোটরগাড়ি চালনাকালে পথ হারিয়ে পথিপার্শ্বে
দণ্ডায়মান একজন বৃদ্ধকে পেয়ে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির জানালা দিয়ে মুখ গলিয়ে
‘আমি কোথায় আছি? (অর্থাৎ জায়গাটার নাম কী)’ জিজ্ঞেস করতেই বৃদ্ধ তাঁর
ফোকলা দাঁত বের করে আকর্ণবিস্তৃত হাসি হেসে জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমাকে
প্রতারিত করতে পারবেন না। আপনি একটি গাড়ির ভেতরে আছেন।’ পরে এ নিয়ে কথা
উঠলে অপর এক রসিক ব্যক্তি নাকি বলেছিলেন ‘বৃদ্ধের উত্তরটা ঠিক
পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তরের মতো হয়েছে—উত্তর সংক্ষিপ্ত হয়েছে,
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি; আর প্রশ্নকর্তা
প্রশ্নোত্তরের পূর্বে যে অবস্থানে ছিলেন পরেও সেই একই অবস্থানে অবস্থান
করেছেন।’
গল্পটার অন্তর্নিহিত হিউমার যা-ই হোক, আসল কথা হচ্ছে এই যে পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর সংসদীয় গণতন্ত্রের একটা প্রত্যাশিত ও প্রয়োজনীয় অংশ। কেননা, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবরাখবরও যেমন পাওয়া যায়, তেমনি আমজনতা তথা ম্যাংগো-পাবলিকের কাছে সরকারের জবাবদিহিরও পরিচয় মেলে। তো মনে পড়ে, স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে জেনারেল (অব.) এম এ জি ওসমানী যখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেবিনেট মন্ত্রী তখন আমি ছিলাম ডাক অধিদপ্তরে সহকারী উপমহাপরিচালক (জনসংযোগ) এবং সেই সুবাদে সংসদ চলাকালে ডাক বিভাগ-সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরের সুরাহার দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘কাউন্সিল অফিসার’। আমি তারকাচিহ্নিত প্রশ্নগুলোর সম্ভাব্য সম্পূরক প্রশ্নাবলির উত্তরসহ ডাক-সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর তড়িঘড়ি তৈরি করে সময়ের স্বল্পতার কারণে খসড়া হাতে হাতে ডাক বিভাগের ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের দ্বারা অনুমোদন করিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জেনারেল ওসমানীর কাছে নিয়ে যেতাম এবং তিনি সেটা দেখে দিলে পর চূড়ান্ত করে কপি তাঁর কাছে দিয়ে আসতাম; তিনি সেটা সংসদে যথাসময়ে পাঠ করে শোনাতেন।
তা একবার হয়েছে কী, একটি মনি অর্ডারের বিলি-বণ্টনসংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরের বেলায় আমরা ইচ্ছেপূর্বক কিছু প্রচ্ছন্ন হাসির খোরাক রেখে দিয়েছিলাম বিধায় জেনারেল ওসমানী যখন সংসদে ওটা পড়ে শোনাচ্ছিলেন, তখন উপস্থিত সবাই হো-হো করে হেসে উঠেছিলেন। আমি স্বয়ং গ্যালারিতে বসে তা প্রত্যক্ষ করেছি; তখন অবধি টিভি পার্লামেন্টে পৌঁছায়নি। সত্যি বলতে কি, সে সময় পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রায়ই খুব প্রাণবন্ত হতো এবং সরকারও সেটাকে খুব গুরুত্ব দিত। আর শুধু প্রশ্নোত্তর পর্বের কথাই বা বলি কেন, অতীতে সংসদের কার্যপ্রবাহে যথেষ্ট প্রাণ ও হাস্যরসের ব্যাপারও আমরা লক্ষ করেছি। এই যেমন সংসদে একবার জাতীয় পার্টির জনৈক সাংসদ একটি বক্তব্য দিয়ে প্রচুর হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিলেন। এর আগে বিএনপি সরকারের আমলে মূলত সার নিয়ে কেলেঙ্কারির কারণেই নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় মাননীয় সাংসদ সংসদে দাঁড়িয়ে কাব্য করে বলেছিলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, বিএনপি গেছে সারে আর আওয়ামী লীগ যাবে (ইলেকট্রিসিটির) তারে; কেবল জাতীয় পার্টিই পারে।’ সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন সদস্য দাঁড়িয়ে বললেন, ‘মাননীয় সদস্য বলেছেন, জাতীয় পার্টি পারে। কিন্তু কী পারে সেটা তো বললেন না।’ সবাই তখন হো-হো করে হেসে উঠেছিলেন। তা জাতীয় পার্টি কী পারে, সেটা তখন বোধগম্য না হলেও এখন আমরা বিলক্ষণ বুঝতে পারি—জাতীয় পার্টি যুগপৎ সরকারে ও বিরোধী দলে থাকতে পারে, যার নজির বোধকরি দুনিয়ার আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য, ইদানীং পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর আগের মতো অতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয় না। কেননা, প্রায়ই দেখা যায়, সংসদে প্রশ্নকর্তা ও উত্তরদাতার মধ্যে কেউ কেউ অনুপস্থিত; যার ফলে একজনের পরিবর্তে আরেকজন ‘প্রক্সি’ দিয়ে থাকেন। আর কাঁহাতক হাস্যরসের সওয়াল, বিশ্বনন্দিত চেক কথাসাহিত্যিক মিলান কুন্ডেরা যথার্থই বলেন, সংসারে সবকিছুরই এমনকি মৃত্যুরও একটা রসিকতার দিক আছে; অতএব সংসদের অধিবেশন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ যে হাসির ফোয়ারা ছুটবে, সেটাই তো স্বাভাবিক এবং সেই পাকিস্তান আমল থেকেই এটা চলে আসছে। সংসদ শুরু হলে পর পত্রিকার পাতায় ‘গ্যালারি থেকে ক্ষণিক দৃষ্টি’ শীর্ষক কলাম নিয়মিত বের হতো। কিন্তু ইদানীং আর তেমনটা দেখা যায় না, আর সংসদে বিরোধী দল ‘গৃহপালিত’ হলে তেমনটা ঘটার কথাও না।
তবে হ্যাঁ, সদ্যসমাপ্ত সংসদ অধিবেশনে জনৈক সরকারদলীয় সাংসদের কিছু বক্তব্য আমাদের যথেষ্ট হাসির খোরাক জুগিয়েছে বটে। বিদ্রোহী কবি নজরুলের ‘নারী’ শীর্ষক কবিতার দুটো লাইন ‘বিশ্বে যা–কিছু মহান সৃষ্টি চির–কল্যাণকর,/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে ওটা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা।
সে যা হোক। মাননীয় সাংসদ সেদিন সংসদে নাকি আরও বলেছেন, দেশে বিদ্যমান পুরুষ কর্তৃক নারী নির্যাতনবিরোধী আইনের পাশাপাশি নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনবিরোধী আইন পাস করা উচিত। তো পত্রিকার পাতায় এটা পাঠ করে তাৎক্ষণিক আমার মনে পড়ে গিয়েছিল সেই বিদেশি মুখরোচক গল্পটি:
রোববারে গির্জায় প্রার্থনার শুরুতে পাদরি সাহেব সমবেত পুরুষ প্রার্থনাকারীদের উদ্দেশ করে বললেন, ‘আজকাল প্রায়ই স্ত্রীদের দ্বারা স্বামীরা অত্যাচারিত হওয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। তা যাঁরা এরূপ ঘটনার শিকার তাঁরা অনুগ্রহপূর্বক উঠে দাঁড়াবেন কি?’ সঙ্গে সঙ্গে সবাই হুড়মুড় করে উঠে দাঁড়ালেন। কেবল একজন প্রার্থনাকারী চেয়ারে ঠায় বসে রইলেন দেখে পাদরি সাহেব তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনি অনেক ভাগ্যবান। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’ লোকটি তখন অনেক কষ্টে কোমরটা চেয়ার থেকে তুলে বলল, ‘ধন্যবাদ, ফাদার। তবে আসল ব্যাপার তা নয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে, ‘আমি একজন প্যারালাইসিসের রোগী; নইলে আমি সবার আগেই উঠে দাঁড়াতাম।’
আতাউর রহমান: রম্যলেখক৷ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক৷
গল্পটার অন্তর্নিহিত হিউমার যা-ই হোক, আসল কথা হচ্ছে এই যে পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর সংসদীয় গণতন্ত্রের একটা প্রত্যাশিত ও প্রয়োজনীয় অংশ। কেননা, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবরাখবরও যেমন পাওয়া যায়, তেমনি আমজনতা তথা ম্যাংগো-পাবলিকের কাছে সরকারের জবাবদিহিরও পরিচয় মেলে। তো মনে পড়ে, স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে জেনারেল (অব.) এম এ জি ওসমানী যখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেবিনেট মন্ত্রী তখন আমি ছিলাম ডাক অধিদপ্তরে সহকারী উপমহাপরিচালক (জনসংযোগ) এবং সেই সুবাদে সংসদ চলাকালে ডাক বিভাগ-সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরের সুরাহার দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘কাউন্সিল অফিসার’। আমি তারকাচিহ্নিত প্রশ্নগুলোর সম্ভাব্য সম্পূরক প্রশ্নাবলির উত্তরসহ ডাক-সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর তড়িঘড়ি তৈরি করে সময়ের স্বল্পতার কারণে খসড়া হাতে হাতে ডাক বিভাগের ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের দ্বারা অনুমোদন করিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জেনারেল ওসমানীর কাছে নিয়ে যেতাম এবং তিনি সেটা দেখে দিলে পর চূড়ান্ত করে কপি তাঁর কাছে দিয়ে আসতাম; তিনি সেটা সংসদে যথাসময়ে পাঠ করে শোনাতেন।
তা একবার হয়েছে কী, একটি মনি অর্ডারের বিলি-বণ্টনসংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরের বেলায় আমরা ইচ্ছেপূর্বক কিছু প্রচ্ছন্ন হাসির খোরাক রেখে দিয়েছিলাম বিধায় জেনারেল ওসমানী যখন সংসদে ওটা পড়ে শোনাচ্ছিলেন, তখন উপস্থিত সবাই হো-হো করে হেসে উঠেছিলেন। আমি স্বয়ং গ্যালারিতে বসে তা প্রত্যক্ষ করেছি; তখন অবধি টিভি পার্লামেন্টে পৌঁছায়নি। সত্যি বলতে কি, সে সময় পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রায়ই খুব প্রাণবন্ত হতো এবং সরকারও সেটাকে খুব গুরুত্ব দিত। আর শুধু প্রশ্নোত্তর পর্বের কথাই বা বলি কেন, অতীতে সংসদের কার্যপ্রবাহে যথেষ্ট প্রাণ ও হাস্যরসের ব্যাপারও আমরা লক্ষ করেছি। এই যেমন সংসদে একবার জাতীয় পার্টির জনৈক সাংসদ একটি বক্তব্য দিয়ে প্রচুর হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিলেন। এর আগে বিএনপি সরকারের আমলে মূলত সার নিয়ে কেলেঙ্কারির কারণেই নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় মাননীয় সাংসদ সংসদে দাঁড়িয়ে কাব্য করে বলেছিলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, বিএনপি গেছে সারে আর আওয়ামী লীগ যাবে (ইলেকট্রিসিটির) তারে; কেবল জাতীয় পার্টিই পারে।’ সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন সদস্য দাঁড়িয়ে বললেন, ‘মাননীয় সদস্য বলেছেন, জাতীয় পার্টি পারে। কিন্তু কী পারে সেটা তো বললেন না।’ সবাই তখন হো-হো করে হেসে উঠেছিলেন। তা জাতীয় পার্টি কী পারে, সেটা তখন বোধগম্য না হলেও এখন আমরা বিলক্ষণ বুঝতে পারি—জাতীয় পার্টি যুগপৎ সরকারে ও বিরোধী দলে থাকতে পারে, যার নজির বোধকরি দুনিয়ার আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য, ইদানীং পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর আগের মতো অতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয় না। কেননা, প্রায়ই দেখা যায়, সংসদে প্রশ্নকর্তা ও উত্তরদাতার মধ্যে কেউ কেউ অনুপস্থিত; যার ফলে একজনের পরিবর্তে আরেকজন ‘প্রক্সি’ দিয়ে থাকেন। আর কাঁহাতক হাস্যরসের সওয়াল, বিশ্বনন্দিত চেক কথাসাহিত্যিক মিলান কুন্ডেরা যথার্থই বলেন, সংসারে সবকিছুরই এমনকি মৃত্যুরও একটা রসিকতার দিক আছে; অতএব সংসদের অধিবেশন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ যে হাসির ফোয়ারা ছুটবে, সেটাই তো স্বাভাবিক এবং সেই পাকিস্তান আমল থেকেই এটা চলে আসছে। সংসদ শুরু হলে পর পত্রিকার পাতায় ‘গ্যালারি থেকে ক্ষণিক দৃষ্টি’ শীর্ষক কলাম নিয়মিত বের হতো। কিন্তু ইদানীং আর তেমনটা দেখা যায় না, আর সংসদে বিরোধী দল ‘গৃহপালিত’ হলে তেমনটা ঘটার কথাও না।
তবে হ্যাঁ, সদ্যসমাপ্ত সংসদ অধিবেশনে জনৈক সরকারদলীয় সাংসদের কিছু বক্তব্য আমাদের যথেষ্ট হাসির খোরাক জুগিয়েছে বটে। বিদ্রোহী কবি নজরুলের ‘নারী’ শীর্ষক কবিতার দুটো লাইন ‘বিশ্বে যা–কিছু মহান সৃষ্টি চির–কল্যাণকর,/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে ওটা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা।
সে যা হোক। মাননীয় সাংসদ সেদিন সংসদে নাকি আরও বলেছেন, দেশে বিদ্যমান পুরুষ কর্তৃক নারী নির্যাতনবিরোধী আইনের পাশাপাশি নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনবিরোধী আইন পাস করা উচিত। তো পত্রিকার পাতায় এটা পাঠ করে তাৎক্ষণিক আমার মনে পড়ে গিয়েছিল সেই বিদেশি মুখরোচক গল্পটি:
রোববারে গির্জায় প্রার্থনার শুরুতে পাদরি সাহেব সমবেত পুরুষ প্রার্থনাকারীদের উদ্দেশ করে বললেন, ‘আজকাল প্রায়ই স্ত্রীদের দ্বারা স্বামীরা অত্যাচারিত হওয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। তা যাঁরা এরূপ ঘটনার শিকার তাঁরা অনুগ্রহপূর্বক উঠে দাঁড়াবেন কি?’ সঙ্গে সঙ্গে সবাই হুড়মুড় করে উঠে দাঁড়ালেন। কেবল একজন প্রার্থনাকারী চেয়ারে ঠায় বসে রইলেন দেখে পাদরি সাহেব তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনি অনেক ভাগ্যবান। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’ লোকটি তখন অনেক কষ্টে কোমরটা চেয়ার থেকে তুলে বলল, ‘ধন্যবাদ, ফাদার। তবে আসল ব্যাপার তা নয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে, ‘আমি একজন প্যারালাইসিসের রোগী; নইলে আমি সবার আগেই উঠে দাঁড়াতাম।’
আতাউর রহমান: রম্যলেখক৷ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক৷
No comments