মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের বিবৃতি জালিয়াতি- বিএনপির প্রবাসী দুই নেতাকে অব্যাহতি
অবশেষে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের বিবৃতি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত
থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিএনপির দুই নেতাকে দায়িত্ব থেকে
অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে দলটির অন্যতম
ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বুধবার নিউ ইয়র্কে
এক সংবাদ সম্মেলনে এই অব্যাহতির ঘোষণা দেন। অব্যাহতি প্রাপ্ত দুই নেতা হলেন
ডা: মজিবুর রহমান মজুমদার ও জাহিদ এফ সরদার সাদী। তারা দু’জনই বিএনপির
বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশিক দূত পদে নিযুক্ত ছিলেন। গতকাল বিএনপির
যুগ্মমহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক দু’টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের
নিয়োগ বাতিল করা হয়। জ্যাকসন হাইটস এর একটি রেস্তোঁরায় অনুষ্ঠিত এই সংবাদ
সম্মেলনে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র শাখার বিভিন্ন গ্রুপের নেতাদের মধ্যে আব্দুল
লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতার নিয়োগ বাতিল সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তির কপি বিতরণ করা
হয়, যাতে স্বাক্ষর করেছেন দলটির যুগ্মমহাসচিব রিজভী আহমেদ।
সাদেক হোসেন খোকা সংবাদ সম্মেলনে জানান, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, কংগ্রেস ও সিনেট বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য অব্যাহতভাবে জোরালো তাগিদ দিয়ে চলেছে, সেখানে এই ইস্যুতে তাদের বিবৃতি জালিয়াতি করা কেবলমাত্র সরকারের কূট-কৌশলেরই অংশ হতে পারে, অন্যকিছু নয়। নিশ্চয়ই যথাসময়ে এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। এই ঘটনায় বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই ব্যক্তি সরকারের কোন ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়েছেন কিনা দলের পক্ষ থেকে তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা বর্তমান সরকার দেশে এক নজিরবিহীন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর চালানো হচ্ছে বর্বরোচিত অত্যাচার ও নির্যাতন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা গণমাধ্যমের সামনে নির্জলা মিথ্যাচার করছেন। নির্যাতন-নিপীড়নের পথ পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির এই নেতা দেশে গণতন্ত্র পুনরূদ্ধারের চলমান সংগ্রামে সশরীরে সামিল হতে না পারায় নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে বলেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে এই দূর-দেশে অবস্থানের কারণে জাতির এই কঠিন দু:সময়ে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে সশরীরে অংশ নিতে না পারার বেদনায় আমি প্রতি মুহুর্তে দগ্ধ হচ্ছি। তবে সরকারের পাশবিক দমন-পীড়নের বিরূদ্ধে দেশজুড়ে আজ জনগণের স্বতস্ফুর্ত সংগ্রাম গড়ে উঠেছে। তাতে দিশেহারা সরকার অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্ত করতে নানা কূট-কৌশলেরও আশ্রয় নিচ্ছে। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিএনপির বিরূদ্ধে বিরামহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদের জীবন ও অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ এক কঠিন দু:সময় পার করছে। বর্তমান স্বৈরাচারী ও জুলুমবাজ সরকার যে কোন মূল্যে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অসৎউদ্দেশ্যে গোটা দেশকে এক অনিবার্য সংঘাতের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে তারা অবলীলায় ধ্বংস করে চলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে জনগণের মুখোমুখি। এসব বাহিনীর এক শ্রেণীর দলবাজ সদস্যরা প্রকাশ্যে নির্বিচারে গুলি করে নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা করার এক পৈশাচিক উৎসবে মেতেছে। দেশের সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যদেরকে তাদের বিধিবদ্ধ দায়িত্ব থেকে তুলে এনে বিরোধী দল দমনের কাজে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব বাহিনীর পাশাপাশি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংগঠনসমূহের সশস্ত্র ক্যাডারদেরকেও নিয়োজিত করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্মূলের কাজে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির দীর্ঘদিনের এই সাবেক কান্ডারি বলেন, সরকারের একগুঁয়ে ও আক্রমনাত্মক ভূমিকায় দেশ থেকে গণতন্ত্র আজ পুরোপুরি নির্বাসিত। বিরোধী দলসমূহের নূনতম রাজনৈতিক অধিকারও আজ আর অবশিষ্ট নেই। ক্ষমতাসীনরা তথাকথিত ১৪৪ ধারার মধ্যেই খুশিমতো সভা-সমাবেশ এবং বিরোধী দল দমনের উৎসব করছে। অথচ বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের এমনকি রাস্তায় দাঁড়াতেও দেয়া হচ্ছে না। কথায় কথায় গুলি, বেধড়ক পিটুনি অথবা গণগ্রেপ্তার। এই হলো বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্রের চেহারা। নানা রকম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে মত প্রকাশের অধিকার তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও এখন সম্পূর্ণরূপে খাঁচায় বন্দী। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় চলছে নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচার। সরকারের নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে অনুসরনে ব্যর্থ হওয়ায় একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গণমাধ্যমের অন্য সদস্যরাও রয়েছেন আতঙ্কে। সর্বত্র এক শ্বাসরূদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, বিগত দেড় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। অবৈধ সরকারের নির্দেশে পুলিশ সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা অফিসে বর্বরোচিত কায়দায় বন্দী করে রেখেছে।
এমনকি তাঁকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার নিষিদ্ধ বিষাক্ত পিপার ¯েপ্র নিক্ষেপ করতেও দ্বিধা করেনি সরকারের পেটোয়া বাহিনী। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের মতো অত্যন্ত নিরীহ ও সজ্জন ব্যক্তিকে গুলি করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আরেক উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সাবিহউদ্দিনের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে সরকারি দলের ক্যাডাররা। বিএনপি নেতাদের বাড়িতে একের পর এক বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে দলে দলে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে চালানো হচ্ছে নির্মম নির্যাতন। এসব নির্যাতনের ফলে দেশের মানুষের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই দেশজুড়ে সর্বাত্মক সংগ্রাম শুরু হয়েছে। অবৈধ সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
সাদেক হোসেন খোকা সংবাদ সম্মেলনে জানান, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, কংগ্রেস ও সিনেট বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য অব্যাহতভাবে জোরালো তাগিদ দিয়ে চলেছে, সেখানে এই ইস্যুতে তাদের বিবৃতি জালিয়াতি করা কেবলমাত্র সরকারের কূট-কৌশলেরই অংশ হতে পারে, অন্যকিছু নয়। নিশ্চয়ই যথাসময়ে এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। এই ঘটনায় বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই ব্যক্তি সরকারের কোন ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়েছেন কিনা দলের পক্ষ থেকে তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা বর্তমান সরকার দেশে এক নজিরবিহীন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর চালানো হচ্ছে বর্বরোচিত অত্যাচার ও নির্যাতন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা গণমাধ্যমের সামনে নির্জলা মিথ্যাচার করছেন। নির্যাতন-নিপীড়নের পথ পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির এই নেতা দেশে গণতন্ত্র পুনরূদ্ধারের চলমান সংগ্রামে সশরীরে সামিল হতে না পারায় নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে বলেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে এই দূর-দেশে অবস্থানের কারণে জাতির এই কঠিন দু:সময়ে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে সশরীরে অংশ নিতে না পারার বেদনায় আমি প্রতি মুহুর্তে দগ্ধ হচ্ছি। তবে সরকারের পাশবিক দমন-পীড়নের বিরূদ্ধে দেশজুড়ে আজ জনগণের স্বতস্ফুর্ত সংগ্রাম গড়ে উঠেছে। তাতে দিশেহারা সরকার অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্ত করতে নানা কূট-কৌশলেরও আশ্রয় নিচ্ছে। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিএনপির বিরূদ্ধে বিরামহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদের জীবন ও অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ এক কঠিন দু:সময় পার করছে। বর্তমান স্বৈরাচারী ও জুলুমবাজ সরকার যে কোন মূল্যে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অসৎউদ্দেশ্যে গোটা দেশকে এক অনিবার্য সংঘাতের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে তারা অবলীলায় ধ্বংস করে চলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে জনগণের মুখোমুখি। এসব বাহিনীর এক শ্রেণীর দলবাজ সদস্যরা প্রকাশ্যে নির্বিচারে গুলি করে নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা করার এক পৈশাচিক উৎসবে মেতেছে। দেশের সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যদেরকে তাদের বিধিবদ্ধ দায়িত্ব থেকে তুলে এনে বিরোধী দল দমনের কাজে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব বাহিনীর পাশাপাশি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংগঠনসমূহের সশস্ত্র ক্যাডারদেরকেও নিয়োজিত করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্মূলের কাজে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির দীর্ঘদিনের এই সাবেক কান্ডারি বলেন, সরকারের একগুঁয়ে ও আক্রমনাত্মক ভূমিকায় দেশ থেকে গণতন্ত্র আজ পুরোপুরি নির্বাসিত। বিরোধী দলসমূহের নূনতম রাজনৈতিক অধিকারও আজ আর অবশিষ্ট নেই। ক্ষমতাসীনরা তথাকথিত ১৪৪ ধারার মধ্যেই খুশিমতো সভা-সমাবেশ এবং বিরোধী দল দমনের উৎসব করছে। অথচ বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের এমনকি রাস্তায় দাঁড়াতেও দেয়া হচ্ছে না। কথায় কথায় গুলি, বেধড়ক পিটুনি অথবা গণগ্রেপ্তার। এই হলো বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্রের চেহারা। নানা রকম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে মত প্রকাশের অধিকার তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও এখন সম্পূর্ণরূপে খাঁচায় বন্দী। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় চলছে নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচার। সরকারের নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে অনুসরনে ব্যর্থ হওয়ায় একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গণমাধ্যমের অন্য সদস্যরাও রয়েছেন আতঙ্কে। সর্বত্র এক শ্বাসরূদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, বিগত দেড় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। অবৈধ সরকারের নির্দেশে পুলিশ সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা অফিসে বর্বরোচিত কায়দায় বন্দী করে রেখেছে।
এমনকি তাঁকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার নিষিদ্ধ বিষাক্ত পিপার ¯েপ্র নিক্ষেপ করতেও দ্বিধা করেনি সরকারের পেটোয়া বাহিনী। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের মতো অত্যন্ত নিরীহ ও সজ্জন ব্যক্তিকে গুলি করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আরেক উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সাবিহউদ্দিনের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে সরকারি দলের ক্যাডাররা। বিএনপি নেতাদের বাড়িতে একের পর এক বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে দলে দলে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে চালানো হচ্ছে নির্মম নির্যাতন। এসব নির্যাতনের ফলে দেশের মানুষের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই দেশজুড়ে সর্বাত্মক সংগ্রাম শুরু হয়েছে। অবৈধ সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
No comments