লিখিত দিলে আলোচনা -এইচটি ইমাম
প্রধানমন্ত্রীর
উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, বিএনপিকে সংলাপ করতে হলে আগে যুদ্ধাপরাধী,
জঙ্গিগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা
লিখিত দিয়ে নিবেদন করতে হবে। তাহলেই কেবল নির্বাচনী আইন ও আগামী নির্বাচন
কোন প্রক্রিয়ায় হবে- তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। গতকাল রাজধানীর
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা
উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র সঙ্গে আলোচনার
সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা মধ্যবর্তী
নির্বাচন নিয়ে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই। আলোচনা কাদের সঙ্গে হবে? যারা
গণতন্ত্রমনা দল তাদের সঙ্গে। কোনভাবেই আততায়ী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে
আলোচনা হতে পারে না। এইচটি ইমাম বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন নির্ভর করে
সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। সরকার চাইলে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে পারে, আবার
নাও পারে। তারপরও বিএনপি’র সঙ্গে নির্বাচনী আইন নিয়ে আলোচনার কথা চিন্তা
করে দেখা যেতে পারে। তবে এর আগে বিএনপিকে লিখিত দিতে হবে যে, তারা
যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বিএনপি ৫ই জানুয়ারি
নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা
বলেন, বিএনপি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে। সেই ভুলের চুল তারা
ছিঁড়ছে। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি দেশীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল। এই ষড়যন্ত্র সফল হলে
বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এইচটি ইমাম বলেন,
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বা অন্যদের কথা বলা হচ্ছে- তারা নাকি মধ্যবর্তী
নির্বাচনের কথা বলেছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমি এ ধরনের কোন কথা শুনিনি, কেউ
বলেওনি। ইইউ ভবিষ্যতে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা নিয়ে আলোচনার কথা
বলেছে। বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার
তাগিদ দিয়ে সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে
দেশী-বিদেশী সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছেন।
সরকারের উচিত যুক্তরাজ্য সরকারকে চাপ দেয়া, যাতে তারেক রহমানকে সে দেশ
থেকে বের করে দেয়া হয় অথবা আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেমিনারে
‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও সাফল্যের এক বছর’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন
করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আবদুল মান্নান। এছাড়া
আলোচনায় অংশ নেন, সাংবাদিক ও কলামনিস্ট আবেদ খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল,
বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, আওয়ামী লীগের
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
অসিম কুমার উকিল প্রমুখ।
No comments