থমকে গেছে অক্সিজেনের যোগান by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
অবরোধে থমকে গেছে অক্সিজেনের যোগান।
নিঃশ্বাস একেবারে থমকে যাওয়ার অবস্থায় না গেলে রোগীকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে
না। সঙ্কটাপন্ন না হলে অপারেশনও হচ্ছে না কোন রোগীর। শ্বাস যদি থেমে যাওয়ার
যোগাড় না হয় তাহলে মেলে না অক্সিজেন। সিলেটের হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে চলছে
তীব্র অক্সিজেনের সঙ্কট। বিএনপির টানা অবরোধের কারণে অক্সিজেন সরবরাহ
বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না অক্সিজেন। সিলেটের কোটি
মানুষের চিকিৎসার মূল ভরসাস্থল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের
পাশাপাশি স্যালাইন ও ওষুধের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
সিলেট বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ধারণ ক্ষমতা ৯০০ জনের হলেও নিয়মিত রোগীর সংখ্যা থাকে ১৮ থেকে ১৯শ’। অবরোধের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে। খুব জরুরি না হলে হাসপাতালে আসতে পারছেন না দূর-দূরান্তের রোগীরা। রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেলেও সেবা দানে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতালে। অবরোধের ঝক্কি পেরিয়ে, নানা হয়রানি শেষে গুরুতর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না রোগীর স্বজনরা। নিঃশ্বাস না নিতে পেরে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন প্রিয় মানুষটি, কিন্তু ছোটাছুটি করেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারছেন না তারা। এমন চিত্র হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের কারণে অক্সিজেন আসছে না। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবদুস সালাম মানবজমিনকে জানান, হাসপাতালে যে অক্সিজেনের মজুদ রয়েছে তা দিয়ে বড়জোর আর দু’দিন চলবে। অক্সিজেনের পাশাপাশি স্যালাইনেরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, খুব জরুরি না হলে রোগীদের অপারেশন করা হচ্ছে না। হাসপাতালের উপপরিচালক তথ্য দেন, হাসপাতালে ওষুধের যোগানও ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। যে মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আর ৪ থেকে ৫ দিন হয়তো চালানো যাবে।
ওসমানী হাসপাতালের মতো অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে সিলেটের ক্লিনিকগুলোতেও। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও রোগীরা অক্সিজেন পাচ্ছেন না। ক্লিনিকগুলোতে মূলত বাইরে থেকে অক্সিজেন কিনে এনে রোগীদের সরবরাহ করা হয়ে থাকে। নূরজাহান, মাউন্ট এডোরা, মেট্রোপলিটন, ইউনাইটেড ক্লিনিকে যোগাযোগ করে জানা গেছে অক্সিজেনের কারণে তারা অপারেশন বলতে গেলে বন্ধই রেখেছেন। নূরজাহান ক্লিনিক সূত্র জানিয়েছে, আগে অক্সিজেনের যে সিলিন্ডার ৮শ’ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তার দাম পড়ে ১ হাজার ৫০ টাকা। তাও চাহিদামতো যোগান দিতে পারছে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রার কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন মানবজমিনকে জানান, অবরোধের কারণে তারা ঢাকা থেকে অক্সিজেন আনাতে পারছেন না। তারপরও বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এক ট্রাক অক্সিজেন আনানো হয়েছে। খরচও বেশি পড়েছে। আগে যেখানে ট্রাক প্রতি পরিবহন খরচ ছিল ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা এখন ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এমন থাকলে তারা আর অক্সিজেন আনাতে পারবেন না। অবরোধের কারণে অক্সিজেন পরিবহন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্বৃত্তদের হামলার মুখে পড়লে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারে।
সিলেট বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ধারণ ক্ষমতা ৯০০ জনের হলেও নিয়মিত রোগীর সংখ্যা থাকে ১৮ থেকে ১৯শ’। অবরোধের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে। খুব জরুরি না হলে হাসপাতালে আসতে পারছেন না দূর-দূরান্তের রোগীরা। রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেলেও সেবা দানে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতালে। অবরোধের ঝক্কি পেরিয়ে, নানা হয়রানি শেষে গুরুতর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না রোগীর স্বজনরা। নিঃশ্বাস না নিতে পেরে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন প্রিয় মানুষটি, কিন্তু ছোটাছুটি করেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারছেন না তারা। এমন চিত্র হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের কারণে অক্সিজেন আসছে না। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবদুস সালাম মানবজমিনকে জানান, হাসপাতালে যে অক্সিজেনের মজুদ রয়েছে তা দিয়ে বড়জোর আর দু’দিন চলবে। অক্সিজেনের পাশাপাশি স্যালাইনেরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, খুব জরুরি না হলে রোগীদের অপারেশন করা হচ্ছে না। হাসপাতালের উপপরিচালক তথ্য দেন, হাসপাতালে ওষুধের যোগানও ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। যে মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আর ৪ থেকে ৫ দিন হয়তো চালানো যাবে।
ওসমানী হাসপাতালের মতো অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে সিলেটের ক্লিনিকগুলোতেও। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও রোগীরা অক্সিজেন পাচ্ছেন না। ক্লিনিকগুলোতে মূলত বাইরে থেকে অক্সিজেন কিনে এনে রোগীদের সরবরাহ করা হয়ে থাকে। নূরজাহান, মাউন্ট এডোরা, মেট্রোপলিটন, ইউনাইটেড ক্লিনিকে যোগাযোগ করে জানা গেছে অক্সিজেনের কারণে তারা অপারেশন বলতে গেলে বন্ধই রেখেছেন। নূরজাহান ক্লিনিক সূত্র জানিয়েছে, আগে অক্সিজেনের যে সিলিন্ডার ৮শ’ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তার দাম পড়ে ১ হাজার ৫০ টাকা। তাও চাহিদামতো যোগান দিতে পারছে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রার কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন মানবজমিনকে জানান, অবরোধের কারণে তারা ঢাকা থেকে অক্সিজেন আনাতে পারছেন না। তারপরও বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এক ট্রাক অক্সিজেন আনানো হয়েছে। খরচও বেশি পড়েছে। আগে যেখানে ট্রাক প্রতি পরিবহন খরচ ছিল ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা এখন ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এমন থাকলে তারা আর অক্সিজেন আনাতে পারবেন না। অবরোধের কারণে অক্সিজেন পরিবহন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্বৃত্তদের হামলার মুখে পড়লে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারে।
No comments