সিদ্ধিরগঞ্জে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বাবুল টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন। সমঝোতার মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তার ইচ্ছা -অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে কে কাজ পাবে আর কে পাবে না। দীর্ঘদিন ধরে চলছে ওই কাউন্সিলরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া। ঠিকাদারদের বিটমানির টাকা আত্মসাৎ করে প্রাইভেটকার কিনেছেন তিনি। এ অভিযোগ সাধারণ ঠিকাদারদের। ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের তথ্যমতে, গত কয়েক বছর ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতো সেভেন মার্ডারের ঘটনায় নিহত নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম। ২০০১ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নজরুলের সঙ্গে যোগ দেয় ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম। এক পর্যায়ে গত বছরের শুরুর দিকে নজরুল ইসলামকে সরিয়ে দিয়ে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে নেয় নাসিকের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর হোসেন। তাকে সহযোগিতা করে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম। গত ২৭শে এপ্রিল প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে খুনের ঘটনায় নুর হোসেনকে প্রধান আসামি করার পর নুর হোসেন ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এই সুযোগে পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম। নিজের শক্তি বৃদ্ধি করতে কৌশলে পলাতক নুর হোসেনের কয়েক সহযোগীকে কাছে ভেড়ায় শফিকুল ইসলাম। এরপর থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন। এর ফলে স্বাভাবিক দরের চেয়ে শতকরা দশভাগ ঊর্ধ্ব দর হওয়ায় সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আর কাজ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হতে থাকে সাধারণ ঠিকাদাররা।
সর্বশেষ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের লিঃ দরপত্র নং- পিজিসিবি/এসই (সিভিল) ওয়ার্কস)/ টেন্ডার-৯/২০১৪/৮৬২, তারিখ- ০৪/১১/১৪ ইং এর অধীনে সিদ্ধিরগঞ্জ ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাব-স্টেশনে বহুতল ভবন নির্মাণকাজের শিডিউল জমাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ই জানুয়ারি বুধবার উক্ত অফিসে দরপত্র জমা দেয়ার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত পিজিসিবি’র অফিসে গেলে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও যুবলীগের কয়েক নেতাকর্মী বাধা প্রদান করে। এসময় ঠিকাদারদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার জানায়, কয়েক কোটি টাকার সিভিল কাজের দরপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে ছোট নজরুলসহ তার সঙ্গীরা। এসময় তাদেরকে দরপত্র ফেলতে বাধা প্রদান করে। নজরুল দরপত্রের বাক্সের সামনে বসে থাকে এবং কাউন্সিলর শফিকুল দরপত্র না ফেলার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এক ঠিকাদার তার দরপত্র ও দরপত্রের জামানতের ২টি ব্যাংক ড্রাফট (মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার পে-অর্ডার নং- ১২৩৩৫৭১, তাং- ০৬/০১/১৫, টাকার পরিমাণ- ৪,০০,০০০/- এবং পে-অর্ডার নং- ১২৩৩৫৭২, তাং- ০৬/০১/১৫, টাকার পরিমাণ- ১,৭০,০০০/-) দেখিয়ে বলেন, আমাকে দরপত্র জমা দিতে দেয়নি। জমা দিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদাররা উক্ত টেন্ডার বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
এছাড়া, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম গত ২২শে ডিসেম্বর পিজিসিবি’র নিলাম টেন্ডার সমঝোতার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। এর আগে গত ৮ই ডিসেম্বর ৪টি গ্রুপের টেন্ডার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়। একই কায়দায় গত ২৪শে নভেম্বর টেন্ডারও সমঝোতার মাধ্যমে তার পছন্দের ঠিকাদারকে পাইয়ে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের কথামত দরপত্র ক্রয়ের পরও সে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অন্যজনকে কাজ দিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে, সে আমাকে টেন্ডার না ফেলার হুমকি দেয়।
একাধিক ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নুর হোসেনের সহযোগীদের নিয়ে টেন্ডার সমঝোতার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একজন কাউন্সিলর হয়ে ঊর্ধ্ব দরে কাজ পাইয়ে দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করছে, এটা অন্যায়। ঠিকাদাররা আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে টেন্ডার দাখিল হলে প্রাক্কলিত ব্যয়ের শতকরা ১০ থেকে ২০ ভাগ কম দরে টেন্ডার দাখিল হতো। এতে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হতো। কিন্তু সমঝোতার কারণে কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ ঊর্ধ্ব দরে টেন্ডার দাখিল হওয়ায় সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর লাভবান হচ্ছে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।
এব্যাপারে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, টেন্ডারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কোন সমঝোতার সঙ্গে নাই। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এসব করছে। আগে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতো নিহত নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম। পরে নিয়ন্ত্রণ নেয় কাউন্সিলর নুর হোসেন। গত মাসে ৬০ লাখ টাকার একটি টেন্ডারের কাজ পেয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতালিব। ওই টেন্ডারের সময় আমি ছিলাম না। আমি টেন্ডার থেকে কোন টাকা পাই না। তাছাড়া, আমি টেন্ডার সম্পর্কে কিছু বুঝি না। বাবার ২/৩টা জমি বিক্রি করে চলি। আমার বিরুদ্ধে কারো কাছ থেকে অবৈধভাবে ১০ টাকা নেয়ারও অভিযোগ নাই। শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারের নজরুল ওরফে ক্বারী নজরুলের বাসায় টেন্ডার সমঝোতা হয়। সে সমঝোতার সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে ক্বারী নজরুল জানান, আমার বাসায় যদি টেন্ডার সমঝোতা হয় সেদিন যেন আপনাদের (সাংবাদিক) দেখিয়ে দেয়। বরং কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ঠিকাদারদের বিটমানির ১০/১২ লাখ টাকা খেয়ে ফেলেছে। ওই টাকা দিয়ে প্রাইভেট কার কিনেছে। এর প্রমাণ আছে। আফজাল অ্যান্ড ব্রাদার্সসহ অন্তত ৫০ জন ঠিকাদার এর প্রমাণ দেবে।
ওদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইলে (০১৭১১৯৮৫০৮০) একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
সর্বশেষ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের লিঃ দরপত্র নং- পিজিসিবি/এসই (সিভিল) ওয়ার্কস)/ টেন্ডার-৯/২০১৪/৮৬২, তারিখ- ০৪/১১/১৪ ইং এর অধীনে সিদ্ধিরগঞ্জ ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাব-স্টেশনে বহুতল ভবন নির্মাণকাজের শিডিউল জমাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ই জানুয়ারি বুধবার উক্ত অফিসে দরপত্র জমা দেয়ার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত পিজিসিবি’র অফিসে গেলে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও যুবলীগের কয়েক নেতাকর্মী বাধা প্রদান করে। এসময় ঠিকাদারদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার জানায়, কয়েক কোটি টাকার সিভিল কাজের দরপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে ছোট নজরুলসহ তার সঙ্গীরা। এসময় তাদেরকে দরপত্র ফেলতে বাধা প্রদান করে। নজরুল দরপত্রের বাক্সের সামনে বসে থাকে এবং কাউন্সিলর শফিকুল দরপত্র না ফেলার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এক ঠিকাদার তার দরপত্র ও দরপত্রের জামানতের ২টি ব্যাংক ড্রাফট (মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার পে-অর্ডার নং- ১২৩৩৫৭১, তাং- ০৬/০১/১৫, টাকার পরিমাণ- ৪,০০,০০০/- এবং পে-অর্ডার নং- ১২৩৩৫৭২, তাং- ০৬/০১/১৫, টাকার পরিমাণ- ১,৭০,০০০/-) দেখিয়ে বলেন, আমাকে দরপত্র জমা দিতে দেয়নি। জমা দিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদাররা উক্ত টেন্ডার বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
এছাড়া, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম গত ২২শে ডিসেম্বর পিজিসিবি’র নিলাম টেন্ডার সমঝোতার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। এর আগে গত ৮ই ডিসেম্বর ৪টি গ্রুপের টেন্ডার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়। একই কায়দায় গত ২৪শে নভেম্বর টেন্ডারও সমঝোতার মাধ্যমে তার পছন্দের ঠিকাদারকে পাইয়ে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের কথামত দরপত্র ক্রয়ের পরও সে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অন্যজনকে কাজ দিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে, সে আমাকে টেন্ডার না ফেলার হুমকি দেয়।
একাধিক ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নুর হোসেনের সহযোগীদের নিয়ে টেন্ডার সমঝোতার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একজন কাউন্সিলর হয়ে ঊর্ধ্ব দরে কাজ পাইয়ে দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করছে, এটা অন্যায়। ঠিকাদাররা আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে টেন্ডার দাখিল হলে প্রাক্কলিত ব্যয়ের শতকরা ১০ থেকে ২০ ভাগ কম দরে টেন্ডার দাখিল হতো। এতে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হতো। কিন্তু সমঝোতার কারণে কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ ঊর্ধ্ব দরে টেন্ডার দাখিল হওয়ায় সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর লাভবান হচ্ছে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।
এব্যাপারে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, টেন্ডারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কোন সমঝোতার সঙ্গে নাই। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এসব করছে। আগে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতো নিহত নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম। পরে নিয়ন্ত্রণ নেয় কাউন্সিলর নুর হোসেন। গত মাসে ৬০ লাখ টাকার একটি টেন্ডারের কাজ পেয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতালিব। ওই টেন্ডারের সময় আমি ছিলাম না। আমি টেন্ডার থেকে কোন টাকা পাই না। তাছাড়া, আমি টেন্ডার সম্পর্কে কিছু বুঝি না। বাবার ২/৩টা জমি বিক্রি করে চলি। আমার বিরুদ্ধে কারো কাছ থেকে অবৈধভাবে ১০ টাকা নেয়ারও অভিযোগ নাই। শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারের নজরুল ওরফে ক্বারী নজরুলের বাসায় টেন্ডার সমঝোতা হয়। সে সমঝোতার সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে ক্বারী নজরুল জানান, আমার বাসায় যদি টেন্ডার সমঝোতা হয় সেদিন যেন আপনাদের (সাংবাদিক) দেখিয়ে দেয়। বরং কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ঠিকাদারদের বিটমানির ১০/১২ লাখ টাকা খেয়ে ফেলেছে। ওই টাকা দিয়ে প্রাইভেট কার কিনেছে। এর প্রমাণ আছে। আফজাল অ্যান্ড ব্রাদার্সসহ অন্তত ৫০ জন ঠিকাদার এর প্রমাণ দেবে।
ওদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইলে (০১৭১১৯৮৫০৮০) একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
No comments