ভুয়া বিবৃতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জেরার মুখে বিএনপি
বাংলাদেশের
বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ চেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি নিয়ে জেরার
মুখে পড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাদের। ওয়াশিংটন ডিসিতে
পররাষ্ট্র দপ্তর ও কংগ্রেসে গত সোমবার ৪৮ পৃষ্ঠার স্মারকলিপি দিতে যায়
শরাফত হোসেন বাবু, বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র কমিটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ
জসীমউদ্দিন ভুঁইয়া ও গোলাম ফারুক শাহিনের নেতৃত্বাধীন বিএনপির
প্রতিনিধিদল। কয়েক দিন আগেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ছয়
সদস্যের একটি ভুয়া বিবৃতির কথা জানিয়েছিল বিএনপি। ওই বিবৃতি লন্ডনে
অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক সহকারী
সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন বলে পরে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন
কর্মকর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলে প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন
জসীমউদ্দিন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জালিয়াতির
ব্যাপারে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ক্যাপিটাল হিলের কর্মকর্তারা তাঁদের নানা
প্রশ্ন করেন। এর জবাবে মার্কিন কর্মকর্তাদের তাঁরা ওই জালিয়াতি ঘটনার
নিন্দা করেছেন জানিয়ে বলেছেন যে, বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য দলের
মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা সরকারের লোকজন এসব করছে। এই অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে
তাঁরা ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে
সাচ্চা একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, এই দলের কেউ এমন জঘন্য অপকর্ম করতে
পারে না।’
পররাষ্ট্র দপ্তরের বাংলাদেশ ডেস্কের প্রধান গিলবার্ট মর্টন বিএনপির স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। প্রতিনিধি পরিষদে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েসের কার্যালয়ে স্মারকলিপি নেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী। একইভাবে ইউএস সিনেটে ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর বব কোরকারের কনস্টিটুয়েন্সি সার্ভিস রিপ্রেজেনটেটিভ হেইলি হামফ্রির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বিএনপির স্মারকলিপিতে ‘গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে তামাশার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়, বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্রসফায়ারে দিচ্ছে অথবা গুম করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের ৫০ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে নেওয়া হয়েছে।’
স্মারকলিপিতে অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিবেদন ছাড়াও বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতির বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। এ বিষয়ে বিএনপির নেতারা বলেন, ঢাকা থেকে তৈরি করে বিএনপির নেতা (বর্তমানে কারাবন্দী) শমশের মবিন চৌধুরী লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে এই স্মারকলিপির খসড়া পাঠান। এরপর লন্ডনে থাকা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এটি চূড়ান্ত করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান বলে শরাফত হোসেন বাবু জানিয়েছেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্য নিউইয়র্ক বিএনপির একাংশের সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম বলেন, ‘কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জাল করে বিএনপিরই শুধু বারোটা বাজানো হয়নি, প্রবাসের সব বাংলাদেশির ইমেজকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাহিদ এফ সরকার সাদী এই অপকর্ম করেছে। তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রবাসীদের রোষানলে পড়তে হবে।’
জাহিদ সাদী বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক দূত এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছিলেন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে তাঁকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। জাহিদ সাদী ২০০৯ সাল পর্যন্ত নয় বছরে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে ২৭ বার গ্রেপ্তার হয়ে প্রতিটি অপকর্মের দোষ স্বীকার করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ভোগ করেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের বাংলাদেশ ডেস্কের প্রধান গিলবার্ট মর্টন বিএনপির স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। প্রতিনিধি পরিষদে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েসের কার্যালয়ে স্মারকলিপি নেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী। একইভাবে ইউএস সিনেটে ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর বব কোরকারের কনস্টিটুয়েন্সি সার্ভিস রিপ্রেজেনটেটিভ হেইলি হামফ্রির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বিএনপির স্মারকলিপিতে ‘গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে তামাশার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়, বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্রসফায়ারে দিচ্ছে অথবা গুম করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের ৫০ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে নেওয়া হয়েছে।’
স্মারকলিপিতে অধিকারসহ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিবেদন ছাড়াও বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতির বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। এ বিষয়ে বিএনপির নেতারা বলেন, ঢাকা থেকে তৈরি করে বিএনপির নেতা (বর্তমানে কারাবন্দী) শমশের মবিন চৌধুরী লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে এই স্মারকলিপির খসড়া পাঠান। এরপর লন্ডনে থাকা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এটি চূড়ান্ত করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান বলে শরাফত হোসেন বাবু জানিয়েছেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্য নিউইয়র্ক বিএনপির একাংশের সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম বলেন, ‘কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জাল করে বিএনপিরই শুধু বারোটা বাজানো হয়নি, প্রবাসের সব বাংলাদেশির ইমেজকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাহিদ এফ সরকার সাদী এই অপকর্ম করেছে। তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রবাসীদের রোষানলে পড়তে হবে।’
জাহিদ সাদী বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক দূত এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছিলেন ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে তাঁকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। জাহিদ সাদী ২০০৯ সাল পর্যন্ত নয় বছরে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে ২৭ বার গ্রেপ্তার হয়ে প্রতিটি অপকর্মের দোষ স্বীকার করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ভোগ করেছেন।
No comments