অবরুদ্ধ খালেদার রাতদিন
ঘড়ির
কাঁটার অবিরাম গতির মতোই গুলশানের ‘অবরুদ্ধ’ কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ১২
দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে। নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে অল্প-স্বল্প কথা-বার্তা,
প্রতিদিনকার পত্রপত্রিকা পড়া ও কিছুটা সময় বই পড়ে সময় যাচ্ছে বিএনপি
চেয়ারপারসনের। পুলিশের ছোঁড়া পিপার স্প্রের প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকদিন
অসুস্থরোধ করলেও এখন বেগম জিয়া অনেকটাই সুস্থ বলে জানালেন তার প্রেস সচিব
মারুফ কামাল খান। গত শনিবার রাত ১১টা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর ঘেরাওয়ের মধ্যে গুলশানের এই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপি
চেয়ারপারসন। প্রথমে নয়া পল্টনে যেতে চাইলে তাকে কার্যালয়ের বাইরে যেতে
দেয়নি পুলিশ। এরপর সোমবার দ্বিতীয়বার ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবসের কর্মসূচিতে
নয়া পল্টনের অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ কার্যালয়ে গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।ওই
দিন কার্যালয়ের সামনের সড়কের ওপর ১১টি বালি ও ইটের ট্রাক এনে ফেলে রাখা
হয়েছিলো। অবশ্যই একদিন পর তার সরিয়ে নেয়া হয়। একটি জলকামানের গাড়ি ও
পুলিশের দুইটি বড় লরি দিয়ে কার্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
কিভাবে অবরুদ্ধ কার্যালয়ে দিন কাটাচ্ছে বেগম জিয়ার-এরকম প্রশ্নের জবাবে তার
প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বলেন, ‘‘বুঝতেই পারেন- অবরুদ্ধ অবস্থায় দেশের
একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতার কিভাবে দিন যায়। ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়েই
ম্যাডাম প্রতিদিন অফিস কর্মকর্তদের মাধ্যমে আন্দোলনের খোঁজ-খবর
নেন।।মাঝে-মধ্যে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মোবাইলে অল্প-স্বল্প কথাও বলেন।’’
মারুফ আরো জানালেন, ‘‘এছাড়া প্রতিদিনকার পত্র-পত্রিকা চোখ ভুলানো ছাড়া অবসর সময়ে তিনি কার্যালয়ে রাখা বিভিন্ন বইও পড়ছেন।’’
কার্যালয়ের দোতলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্ধারিত চেম্বারে অবস্থান করছেন। নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে পাশের সিটিং কক্ষে এসে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন। কারণ চেম্বারটি এখন তিনি একান্তভাবে ব্যবহার করছেন। প্রেস সচিব জানান, বেগম জিয়া মাঝে-মধ্যে টেলিভিশন খবরের হেডলাইনগুলো দেখে থাকেন। পরিমিত মশলা দিয়ে খালেদা জিয়ার খাবার তৈরি করতে হয় বলে তা বেশিরভাগ সময় আসছে ধানমন্ডির মাহবুব ভবন থেকে। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালবান্দ বানুর বাসা এটি। এই বাড়ি থেকে প্রতিদিন সকালের নাস্তা ও খাবার আসে। এছাড়া বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসা থেকেও খাবার পাঠানো হয়।
প্রেস সচিব বলেন, ‘‘ম্যাডাম স্বল্প আহারী। তিনি সকালে নাস্তা ও রাতে খাবার খান। দুপুরে খাবার খান না। হালকা চা পান করেন দুপুরে।’’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই কার্যালয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আল আমীন ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন মহিলা নেত্রী ও অফিস কর্মীরা রয়েছেন। সব মিলে এখন এই কার্যালয়ে ৪০ জনের মতো নেতা-কর্মী রয়েছেন। অবরুদ্ধ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের খাবারও হোটেল কিংবা নেতাদের বাসা থেকে আসছে। মাঝে মধ্যে মাহবুব ভবন থেকেও আসে প্যাকেটভর্তি রান্না করা খাবার। নিচ তলায় চেয়ার জড়ো করে এবং ফ্লোরিং রাত কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ নেতা-অফিস কর্মীরা। শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য আনা কম্বল মেঝে বিছিয়ে এই ফ্লোরিং চলছে। তবে মশার উপদ্রুত এতোই প্রকট যে অনেকেরই রাতে ঘুম হয় না। কার্যালয়ের ভেতরে এই চিত্রের বাইরের চিত্রটিও একইরূপ। গেইটের সামনে মহিলা পুলিশের দল সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর আছে অস্ত্র হাতে পুরুষ সদস্যের দল। একসঙ্গে পালাবদল করে রাত-দিন রয়েছে গণমাধ্যমের কর্মীর দল।
মারুফ আরো জানালেন, ‘‘এছাড়া প্রতিদিনকার পত্র-পত্রিকা চোখ ভুলানো ছাড়া অবসর সময়ে তিনি কার্যালয়ে রাখা বিভিন্ন বইও পড়ছেন।’’
কার্যালয়ের দোতলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্ধারিত চেম্বারে অবস্থান করছেন। নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে পাশের সিটিং কক্ষে এসে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন। কারণ চেম্বারটি এখন তিনি একান্তভাবে ব্যবহার করছেন। প্রেস সচিব জানান, বেগম জিয়া মাঝে-মধ্যে টেলিভিশন খবরের হেডলাইনগুলো দেখে থাকেন। পরিমিত মশলা দিয়ে খালেদা জিয়ার খাবার তৈরি করতে হয় বলে তা বেশিরভাগ সময় আসছে ধানমন্ডির মাহবুব ভবন থেকে। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালবান্দ বানুর বাসা এটি। এই বাড়ি থেকে প্রতিদিন সকালের নাস্তা ও খাবার আসে। এছাড়া বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসা থেকেও খাবার পাঠানো হয়।
প্রেস সচিব বলেন, ‘‘ম্যাডাম স্বল্প আহারী। তিনি সকালে নাস্তা ও রাতে খাবার খান। দুপুরে খাবার খান না। হালকা চা পান করেন দুপুরে।’’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই কার্যালয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আল আমীন ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন মহিলা নেত্রী ও অফিস কর্মীরা রয়েছেন। সব মিলে এখন এই কার্যালয়ে ৪০ জনের মতো নেতা-কর্মী রয়েছেন। অবরুদ্ধ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের খাবারও হোটেল কিংবা নেতাদের বাসা থেকে আসছে। মাঝে মধ্যে মাহবুব ভবন থেকেও আসে প্যাকেটভর্তি রান্না করা খাবার। নিচ তলায় চেয়ার জড়ো করে এবং ফ্লোরিং রাত কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ নেতা-অফিস কর্মীরা। শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য আনা কম্বল মেঝে বিছিয়ে এই ফ্লোরিং চলছে। তবে মশার উপদ্রুত এতোই প্রকট যে অনেকেরই রাতে ঘুম হয় না। কার্যালয়ের ভেতরে এই চিত্রের বাইরের চিত্রটিও একইরূপ। গেইটের সামনে মহিলা পুলিশের দল সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর আছে অস্ত্র হাতে পুরুষ সদস্যের দল। একসঙ্গে পালাবদল করে রাত-দিন রয়েছে গণমাধ্যমের কর্মীর দল।
No comments