খালেদার দুর্নীতির দুই মামলা পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় আজ রোববার শুনানি নিয়ে এ তারিখ ধার্য করেন। এই দুই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আজ বেলা ১১টার দিকে বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে হাজির হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর উপস্থিতিতে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শুনানি হয়। পরে আদেশ দেন আদালত। আদালত বলেন, ‘আপিল বিভাগে এ মামলা দুটি নিয়ে একটি শুনানি চলমান। মহামান্য আদালতের ওই বিষয়টি আমলে নিয়ে আজকের মতো মামলার কার্যক্রম মুলতবি করছি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর।’ এজলাসে উপস্থিত খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনি উপস্থিত থাকলে আদালতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে।’
>>জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আজ সকালে বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে হাজির হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ফোকাস বাংলা
শুনানিকালে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা আশা করব, মামলার প্রত্যেক নির্ধারিত দিনে আপনি আদালতে হাজির হবেন।’ খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে আজ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের বাইরে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হন। গত ২৬ অক্টোবর এই দুই মামলার শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৯ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। আজ শুনানিতে হাজির হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ দুটি মামলায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
No comments