মিরপুরের বেনারসিপল্লি- ৬০ ভাগই ভারতীয় শাড়ি! by আশরাফুল ইসলাম
বলিউডের দেবদাস চলচ্চিত্রে মাধুরী দীক্ষিত আর ঐশ্বরিয়া রাই যেসব বেনারসি শাড়ি পরেছেন, তার অনেকগুলোই ঢাকায় তৈরি এবং মিরপুরের বেনারসিপল্লি থেকে কেনা। সেটা ২০০২ সালের কথা। এখন কিন্তু এই বেনারসিপল্লির শতকরা ৬০ ভাগ শাড়িই ভারতীয়। ক্রেতাদের মধ্যে এখনো মিরপুরে তৈরি বেনারসির চাহিদা থাকলেও সে অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছেন না স্থানীয় উদ্যোক্তারা। উৎপাদনের খরচ বেশি, মজুরিতে না পোষানোয় কারিগর টিকছে না। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক তাঁত। আবার দেশি শাড়ির চেয়ে ভারতীয় বেনারসির দাম কম। মিরপুরের ব্যবসায়ীরা তাই ভারতীয় বেনারসির আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। মিরপুর বেনারসিপল্লি দোকান মালিক সমিতি, তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারতের বেনারস থেকে আসা কয়েকজন কারিগর মিরপুরে কাতান-বেনারসি শাড়ি বানানো শুরু করেছিলেন। তারই সূত্র ধরে গড়ে উঠেছিল মিরপুরের বেনারসিপল্লি। পরে স্থানীয় বাঙালিরাও তাঁদের কাছে শিখে জড়িয়ে পড়েন এই শিল্পে। ক্রমে কারিগরেরা এই শিল্পকে নরসিংদী, পাবনার ঈশ্বরদী, মানিকগঞ্জ, টঙ্গী, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেন।
বেনারসিপল্লি দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ১১০টি দোকান রয়েছে। তবে বেনারসি তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার হিসাবে ছোট-বড় মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫০টি। সমিতির বাইরের দোকানের সংখ্যাই বেশি। বেনারসিপল্লিতে বছরে মোট কত টাকার লেনদেন হয়, তার গোনাগাঁথা হিসাব মেলেনি। তবে দোকান মালিক সমিতি বলছে, এখানে বার্ষিক বেচাকেনার পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার হিসাবটাও এমনই।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারতের বেনারস থেকে আসা কয়েকজন কারিগর মিরপুরে কাতান-বেনারসি শাড়ি বানানো শুরু করেছিলেন। তারই সূত্র ধরে গড়ে উঠেছিল মিরপুরের বেনারসিপল্লি। পরে স্থানীয় বাঙালিরাও তাঁদের কাছে শিখে জড়িয়ে পড়েন এই শিল্পে। ক্রমে কারিগরেরা এই শিল্পকে নরসিংদী, পাবনার ঈশ্বরদী, মানিকগঞ্জ, টঙ্গী, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেন।
বেনারসিপল্লি দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ১১০টি দোকান রয়েছে। তবে বেনারসি তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার হিসাবে ছোট-বড় মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫০টি। সমিতির বাইরের দোকানের সংখ্যাই বেশি। বেনারসিপল্লিতে বছরে মোট কত টাকার লেনদেন হয়, তার গোনাগাঁথা হিসাব মেলেনি। তবে দোকান মালিক সমিতি বলছে, এখানে বার্ষিক বেচাকেনার পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার হিসাবটাও এমনই।
>>মিরপুর ১১ নম্বরের একটি কারখানায় গতকাল বেনারসি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত এক কারিগর। এই কারখানায় অনেক তাঁত থাকলেও বন্ধ হয়ে গেছে বেশির ভাগ l ছবি: প্রথম আলো
দোকানভেদে মাসে দুই লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকারও হিসাব পাওয়া যায়। অন্তত ১০টি বড় দোকানের মালিক বলেছেন, তাঁদের দোকানে যত শাড়ি বিক্রি হয় এর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশি শাড়ি। বাকিটা বেনারসি ছাড়াও নানা ধরনের ভারতীয় শাড়ির দখলে।
দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দোকানে যত শাড়ি দেখছেন তার ৬০ শতাংশই আমদানি করা। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে আছে বেনারসি-কাতান, জামদানি, সুতির তাঁত ও সিল্কের শাড়ি।’
তাঁর কথা বলার মধ্যেই দোকানে এলেন পল্লবীর বাসিন্দা জেসমিন আরা। কিনলেন ভারতীয় সিল্কের শাড়ি। দেশি শাড়ি রেখে কেন ভারতীয় শাড়ি কিনলেন? জেসমিন বললেন, এই শাড়ির কাজ, কাপড়ের মান সবই ভালো। দামও কম। দেশি বেনারসি কি কেনা হয় না? এমন প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘কিনি, তবে কম।’ তাঁর মতে দেশি বেনারসিগুলোর নকশা অনেকটাই একঘেয়ে।
আরেকটি দোকানে শাড়ি দেখছিলেন উত্তরা থেকে আসা সেলিনা আমিন। তাঁর হাতভর্তি কাগজের ব্যাগ। জানালেন, চারটি শাড়ি কিনেছেন, সব কটিই ভারতীয় ধুপিয়ান সিল্ক।
দোকানি আর বিক্রেতাদের কাছে অবশ্য এমন কথাও শোনা গেল যে, অনেক বিপণিবিতানে মিরপুরের তৈরি শাড়িকে ভারতীয় বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।
কমছে তাঁত, কমছে তাঁতি: তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বছর দশেক আগেও এই পল্লিতে তাঁতের সংখ্যা ছিল আনুমানিক সাত হাজার। এখন তা কোনোভাবেই দেড় হাজারের বেশি হবে না। এখানে সক্রিয় কারিগর আছেন এক হাজার, যাঁদের মধ্যে দক্ষ হবেন শ তিনেক। দোকান মালিক সমিতির হিসাবও একই রকম।
তবে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, মিরপুর বেনারসিপল্লি এলাকায় এখন চালু আছে ১৯৩টি আর বন্ধ রয়েছে তিন হাজার ৮৭৩টি তাঁত। তাঁত বোর্ডের মিরপুর অঞ্চলের লিয়াজোঁ অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুখে একটা সংখ্যা বলে দিলেই তো আর হয় না। মাঠপর্যায় থেকে আমরা এই হিসাব সংগ্রহ করেছি।’
তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থা বলছে, কারিগর সংকটে চাহিদার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ শাড়ি এখানে তৈরি হচ্ছে। অনেক কারিগরই হতাশ।
৩০ বছর ধরে বেনারসি বুনছেন মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ‘একটা শাড়ি বুইনা ২০ বছর আগে পাইতাম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এহনো ওইডাই পাই। তখন ঘর ভাড়া ছিল ৩০০ টাকা, এখন ভাড়া হইসে তিন হাজার টাকা। বুঝেন আমরা কেমন আছি!’
তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মিরপুর এলাকায় তিন হাজারের মতো তাঁতি পরিবার আছে। কিন্তু তাঁদের অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।
এমনই একজন মোহাম্মদ রাজু, যিনি টানা ২০ বছর বেনারসির তাঁত চালিয়ে এখন মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই কাজ কইরা টাকা নাই, তাই ছাইড়া দিছি। চোখের লজ্জায় অনেকে কাজটা ছাড়তে পারে না, আমি সেই লজ্জা করি নাই।’ রিকশা চালিয়েছেন, ফেরি করেছেন, বাবুর্চির কাজও করেছেন রাজু।
৪০ বছর ধরে বেনারসি বুনছেন মুহাম্মদ মুকিম। তাঁর কথা, ‘আর কোনো কাজ শিখি নাই, তাই এই কাজে আছি।’ ছেলেকে এই কাজে দেবেন? তাঁর জবাব, ‘প্রশ্নই আসে না।’
মুকিম কাজ করেন ১১ নম্বর সেকশনের সামা সিল্কের কারখানায়। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ১৫টি তাঁতের মধ্যে আটটিতেই কাজ বন্ধ। কারণ, কারিগর নেই। তিনটি তাঁতে পাতা সুতা নষ্ট হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁদের অনেকেরই পুঁজি অল্প, তাই তাঁতিদের বেশি টাকা দিতে পারেন না। তবু শাড়ির দাম অনেক বেড়ে যায়। তাঁতি খাটিয়ে যা লাভ থাকে, অপেক্ষাকৃত কম দামের ভারতীয় শাড়িতে মুনাফা তার চেয়ে বেশি।
একাধারে তাঁতিদের নেতা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের তাঁতিরা নতুন করে এই পেশায় আসছে না। তাঁর মতে, সরকারিভাবে তাঁতিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
মিরপুর বেনারসি প্রাথমিক তাঁতি সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা দেশভাগের পর এ দেশে এসে বেনারসি তৈরি শুরু করেছিলেন। আমরাও সেই ধারা রেখেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। উৎপাদন কম হওয়ায় তাঁতিদেরও মজুরি দিচ্ছি কম। সে কারণে তাঁতিরা থাকছে না। আবার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জায়গাও নাই। সরকার একটা বেনারসিপল্লি শুরু করলেও আমরা কোনো জায়গা পাইনি।’
দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দোকানে যত শাড়ি দেখছেন তার ৬০ শতাংশই আমদানি করা। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে আছে বেনারসি-কাতান, জামদানি, সুতির তাঁত ও সিল্কের শাড়ি।’
তাঁর কথা বলার মধ্যেই দোকানে এলেন পল্লবীর বাসিন্দা জেসমিন আরা। কিনলেন ভারতীয় সিল্কের শাড়ি। দেশি শাড়ি রেখে কেন ভারতীয় শাড়ি কিনলেন? জেসমিন বললেন, এই শাড়ির কাজ, কাপড়ের মান সবই ভালো। দামও কম। দেশি বেনারসি কি কেনা হয় না? এমন প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘কিনি, তবে কম।’ তাঁর মতে দেশি বেনারসিগুলোর নকশা অনেকটাই একঘেয়ে।
আরেকটি দোকানে শাড়ি দেখছিলেন উত্তরা থেকে আসা সেলিনা আমিন। তাঁর হাতভর্তি কাগজের ব্যাগ। জানালেন, চারটি শাড়ি কিনেছেন, সব কটিই ভারতীয় ধুপিয়ান সিল্ক।
দোকানি আর বিক্রেতাদের কাছে অবশ্য এমন কথাও শোনা গেল যে, অনেক বিপণিবিতানে মিরপুরের তৈরি শাড়িকে ভারতীয় বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।
কমছে তাঁত, কমছে তাঁতি: তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বছর দশেক আগেও এই পল্লিতে তাঁতের সংখ্যা ছিল আনুমানিক সাত হাজার। এখন তা কোনোভাবেই দেড় হাজারের বেশি হবে না। এখানে সক্রিয় কারিগর আছেন এক হাজার, যাঁদের মধ্যে দক্ষ হবেন শ তিনেক। দোকান মালিক সমিতির হিসাবও একই রকম।
তবে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, মিরপুর বেনারসিপল্লি এলাকায় এখন চালু আছে ১৯৩টি আর বন্ধ রয়েছে তিন হাজার ৮৭৩টি তাঁত। তাঁত বোর্ডের মিরপুর অঞ্চলের লিয়াজোঁ অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুখে একটা সংখ্যা বলে দিলেই তো আর হয় না। মাঠপর্যায় থেকে আমরা এই হিসাব সংগ্রহ করেছি।’
তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থা বলছে, কারিগর সংকটে চাহিদার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ শাড়ি এখানে তৈরি হচ্ছে। অনেক কারিগরই হতাশ।
৩০ বছর ধরে বেনারসি বুনছেন মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ‘একটা শাড়ি বুইনা ২০ বছর আগে পাইতাম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এহনো ওইডাই পাই। তখন ঘর ভাড়া ছিল ৩০০ টাকা, এখন ভাড়া হইসে তিন হাজার টাকা। বুঝেন আমরা কেমন আছি!’
তাঁতি পরিবার কল্যাণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মিরপুর এলাকায় তিন হাজারের মতো তাঁতি পরিবার আছে। কিন্তু তাঁদের অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।
এমনই একজন মোহাম্মদ রাজু, যিনি টানা ২০ বছর বেনারসির তাঁত চালিয়ে এখন মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই কাজ কইরা টাকা নাই, তাই ছাইড়া দিছি। চোখের লজ্জায় অনেকে কাজটা ছাড়তে পারে না, আমি সেই লজ্জা করি নাই।’ রিকশা চালিয়েছেন, ফেরি করেছেন, বাবুর্চির কাজও করেছেন রাজু।
৪০ বছর ধরে বেনারসি বুনছেন মুহাম্মদ মুকিম। তাঁর কথা, ‘আর কোনো কাজ শিখি নাই, তাই এই কাজে আছি।’ ছেলেকে এই কাজে দেবেন? তাঁর জবাব, ‘প্রশ্নই আসে না।’
মুকিম কাজ করেন ১১ নম্বর সেকশনের সামা সিল্কের কারখানায়। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ১৫টি তাঁতের মধ্যে আটটিতেই কাজ বন্ধ। কারণ, কারিগর নেই। তিনটি তাঁতে পাতা সুতা নষ্ট হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁদের অনেকেরই পুঁজি অল্প, তাই তাঁতিদের বেশি টাকা দিতে পারেন না। তবু শাড়ির দাম অনেক বেড়ে যায়। তাঁতি খাটিয়ে যা লাভ থাকে, অপেক্ষাকৃত কম দামের ভারতীয় শাড়িতে মুনাফা তার চেয়ে বেশি।
একাধারে তাঁতিদের নেতা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের তাঁতিরা নতুন করে এই পেশায় আসছে না। তাঁর মতে, সরকারিভাবে তাঁতিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
মিরপুর বেনারসি প্রাথমিক তাঁতি সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা দেশভাগের পর এ দেশে এসে বেনারসি তৈরি শুরু করেছিলেন। আমরাও সেই ধারা রেখেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। উৎপাদন কম হওয়ায় তাঁতিদেরও মজুরি দিচ্ছি কম। সে কারণে তাঁতিরা থাকছে না। আবার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জায়গাও নাই। সরকার একটা বেনারসিপল্লি শুরু করলেও আমরা কোনো জায়গা পাইনি।’
No comments