রেহাই পাচ্ছেন সচিব শওকত
নামে-বেনামে একাধিক প্লট গ্রহণ ও আকার বৃদ্ধির তিন মামলা থেকে অবশেষে রেহাই পেতে যাচ্ছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন। খুব শিগগিরই তার পক্ষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন আজ রোববার কমিশনে জমা পড়ার কথা। দুদক সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
সূত্র আরও জানায়, মামলা থেকে ড.শওকতকে অব্যাহতি দিতে সরকারের উচ্চ মহলের চাপ রয়েছে দুদকের ওপর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে যাবতীয় প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে ড. শওকতের মতো যাদেরকেই দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে, তাদের মামলাগুলো পুনরুজ্জীবীত হবে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
সূত্র জানায়, রাজউকের উত্তরা, উত্তরা সম্প্রসারিত আবাসিক প্রকল্প এবং পূর্বাচল প্রকল্পে নামে-বেনামে একাধিক প্লট গ্রহণের অভিযোগে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব (বর্তমানে প্রবাসীকল্যাণ সচিব) ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে চলতি বছর ২২ এপ্রিল ৩টি মামলা করে দুদক। মামলাগুলোর তদন্ত করেন দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়। ৬ মাস ধরে তদন্তে ড. শওকত, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ড. শওকত সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এলেও প্রতিবেদনে তার কিছুই থাকছে না। বরং বলা হচ্ছে, রাজউক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তিতে যেসব শর্ত ছিল, খোন্দকার শওকত তার সবগুলোই পূরণ করেছেন। রাজউক এলাকায় নিজ অথবা পোষ্যের নামে প্লট-ফ্ল্যাট থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবেন না- মর্মে যে শর্ত ছিল সেটিও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ, স্বামীর নামে ফ্ল্যাট থাকলে স্ত্রী প্লটের জন্য আবেদন করলে এবং দুজনেরই পৃথক টিআইএন নম্বর থাকলে কী হবে- রাজউকের বিজ্ঞপ্তিতে সেটি স্পষ্ট নয়।
এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শওকত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজউক প্রকল্পে স্ত্রী ও মায়ের নামে একাধিক প্লট গ্রহণ করেছেন- এ অভিযোগও প্রমাণিত নয়। কারণ, তার চেয়েও ক্ষমতাশালী ১২০ বিশিষ্ট ব্যক্তি একই কায়দায় একাধিক প্লট গ্রহণ করেছেন। ফলে এ প্রেক্ষাপটে অভিযোগ আনতে গেলে আরও অনেককেই ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযুক্ত করতে হবে। ফলে বিচারে মামলার অভিযোগ প্রমাণ করা জটিল হয়ে পড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ড. খোন্দকার শওকত হোসেন প্লটের আবেদন করে আইন ভঙ্গ করেননি। বরং যারা তার আবেদেনর ওপর ভিত্তি করে বরাদ্দ দিয়েছেন তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত তিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নামে-বেনামে তার একাধিক প্লট গ্রহণ, একাধিকবার আকার পরিবর্তন রাজউক বিধি দ্য টাউন ইমপ্র“ভমেন্ট অ্যাক্ট-১৯৫৩ ও দ্য ঢাকা ইমপ্র“ভমেন্ট ট্রাস্ট (অ্যালোটমেন্ট অব ল্যান্ড) রুলস-১৯৬৯ পরিপন্থী। রাজধানীর ইন্দিরা রোডে তিনি নিজের মালিকানায় অ্যাপার্টমেন্ট থাকা সত্ত্বেও নিজের নামে উত্তরায় রাজউকের প্লট নিয়েছেন, পরে আকার পরিবর্তন করেছেন। মা জাকিয়া আমজাদের নামে উত্তরা সম্প্রসারিত প্রকল্পে প্লট নিয়েছেন ও পরে আকার বৃদ্ধি করে বিক্রি করেছেন। স্ত্রী আয়েশা খানমের নামে পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুই দফা আকার বৃদ্ধি করেছেন। যা ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ৪৭৭(ক)/১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সূত্র আরও জানায়, মামলা থেকে ড.শওকতকে অব্যাহতি দিতে সরকারের উচ্চ মহলের চাপ রয়েছে দুদকের ওপর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে যাবতীয় প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে ড. শওকতের মতো যাদেরকেই দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে, তাদের মামলাগুলো পুনরুজ্জীবীত হবে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
সূত্র জানায়, রাজউকের উত্তরা, উত্তরা সম্প্রসারিত আবাসিক প্রকল্প এবং পূর্বাচল প্রকল্পে নামে-বেনামে একাধিক প্লট গ্রহণের অভিযোগে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব (বর্তমানে প্রবাসীকল্যাণ সচিব) ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে চলতি বছর ২২ এপ্রিল ৩টি মামলা করে দুদক। মামলাগুলোর তদন্ত করেন দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়। ৬ মাস ধরে তদন্তে ড. শওকত, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ড. শওকত সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এলেও প্রতিবেদনে তার কিছুই থাকছে না। বরং বলা হচ্ছে, রাজউক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তিতে যেসব শর্ত ছিল, খোন্দকার শওকত তার সবগুলোই পূরণ করেছেন। রাজউক এলাকায় নিজ অথবা পোষ্যের নামে প্লট-ফ্ল্যাট থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবেন না- মর্মে যে শর্ত ছিল সেটিও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ, স্বামীর নামে ফ্ল্যাট থাকলে স্ত্রী প্লটের জন্য আবেদন করলে এবং দুজনেরই পৃথক টিআইএন নম্বর থাকলে কী হবে- রাজউকের বিজ্ঞপ্তিতে সেটি স্পষ্ট নয়।
এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শওকত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজউক প্রকল্পে স্ত্রী ও মায়ের নামে একাধিক প্লট গ্রহণ করেছেন- এ অভিযোগও প্রমাণিত নয়। কারণ, তার চেয়েও ক্ষমতাশালী ১২০ বিশিষ্ট ব্যক্তি একই কায়দায় একাধিক প্লট গ্রহণ করেছেন। ফলে এ প্রেক্ষাপটে অভিযোগ আনতে গেলে আরও অনেককেই ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযুক্ত করতে হবে। ফলে বিচারে মামলার অভিযোগ প্রমাণ করা জটিল হয়ে পড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ড. খোন্দকার শওকত হোসেন প্লটের আবেদন করে আইন ভঙ্গ করেননি। বরং যারা তার আবেদেনর ওপর ভিত্তি করে বরাদ্দ দিয়েছেন তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত তিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নামে-বেনামে তার একাধিক প্লট গ্রহণ, একাধিকবার আকার পরিবর্তন রাজউক বিধি দ্য টাউন ইমপ্র“ভমেন্ট অ্যাক্ট-১৯৫৩ ও দ্য ঢাকা ইমপ্র“ভমেন্ট ট্রাস্ট (অ্যালোটমেন্ট অব ল্যান্ড) রুলস-১৯৬৯ পরিপন্থী। রাজধানীর ইন্দিরা রোডে তিনি নিজের মালিকানায় অ্যাপার্টমেন্ট থাকা সত্ত্বেও নিজের নামে উত্তরায় রাজউকের প্লট নিয়েছেন, পরে আকার পরিবর্তন করেছেন। মা জাকিয়া আমজাদের নামে উত্তরা সম্প্রসারিত প্রকল্পে প্লট নিয়েছেন ও পরে আকার বৃদ্ধি করে বিক্রি করেছেন। স্ত্রী আয়েশা খানমের নামে পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুই দফা আকার বৃদ্ধি করেছেন। যা ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ৪৭৭(ক)/১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
No comments