নায়ক থেকে রাতারাতি ভিলেন
ওসাম বিন লাদেন হত্যা করে হিরো বনে যাওয়া মার্কিন কমান্ডো বাহিনীর রবার্ট ওনিলসহ আরও সাত সদস্য এবার নায়ক থেকে রাতারাতি ভিলেনে পরিণত হয়েছেন। টেলিভিশনে আল কায়দার শীর্ষনেতা হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে ও সিল অপারেশনের তথ্য একটি ভিডিও গেম তৈরির সংস্থার কাছে জানিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন তারা। শপথ ভঙ্গ, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন তথ্য ফাঁস, কর্তব্যে অবহেলা ও উর্দির অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের ওয়াজিরিস্তান হাভেলির অভিযানের পর আমেরিকার ঘরে ঘরে পরিচিত হয় নেভি সিল-৬ কমান্ডোদের না। পরবর্তীতে ওসামার হত্যাকে বিষয়বস্তু করে তোলা চলচ্চিত্র জিরো ডার্ক ৩০ ও সোমালি জলদস্যুদের থেকে একটি মার্কিন বাণিজ্য জাহাজ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে তৈরি ক্যাপ্টেন ফিলিপসের মতো সিনেমা সারা বিশ্বে নেভি সিলদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। কীভাবে অপারেশন চালায় এই কমান্ডোরা? সঙ্গে কী কী অস্ত্র থাকে এদের? কেমনভাবে মারা হয়েছিল ওসামা বিন লাদেনকে? সবকিছু জানার আগ্রহ ক্রমশ বাড়তেই থাকে। কিন্তু, বাধ সাধে শপথ। ইউনিটে যোগ দেয়ার আগেই মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিতে হয় কমান্ডোদের। কীভাবে অপারেশন, কত দিন আগে থেকে ছক তৈরি হয়, প্রশিক্ষণই বা হয় কোথায়, কোনো কথাই ইউনিটের বাইরে বের হওয়ার নয়।কিন্তু, সেই শপথ ভেঙেই বিপদে পড়েছেন বেশ কয়েকজন কমান্ডো। ওসামা হত্যার অভিযানের ওপর ভর করে তৈরি ভিডিও গেম মেডেল অব অনার : ওয়ারফাইটার তৈরির সময় দুজন সিনিয়র চিফ স্পেশাল অপারেটর ও পাঁচজন চিফ স্পেশাল অপারেটর গেমটির নির্মাতাদের সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ।এই গেমটিতে অ্যাবোটাবাদের ওয়াজিরিস্তান হাভেলিটি দেখানো হয়নি ঠিকই, কিন্তু বাকি সব বর্ণনাই মিলে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, হত্যার ধরন একেবারে লাদেন হত্যার মতোই বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। কমান্ডোদের ইউনিফর্ম ও ব্যবহৃত অস্ত্রও অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার-এর সঙ্গে মিলে গেছে। যে সাতজন ভিডিও নির্মাতাদের সাহায্য করেছেন, তাদের মধ্যে একজন ২০১১-র অপারেশনের সদস্য ছিলেন। অভিযুক্তরা সবাই অর্থের বিনিময়ে নিজেদের ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পেশাদারি জ্ঞান ওই নির্মাতাদের কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ।
No comments