আসামি হচ্ছেন মির্জা আব্বাস
ঢাকা সাংবাদিক সমিতিকে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম মামলায় আসামি করা হচ্ছে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসকে। তার সঙ্গে আরও আসামি করা হচ্ছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান এবং পরিচালক মেহেদী হাসানকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। আজ তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা পড়ার কথা রয়েছে। সূত্র জানায়, দুদকের তদন্তে প্লট বরাদ্দের ফলে সরকারের বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিতে মির্জা আব্বাসের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। ফলে তাকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে চার্জশিট অনুমোদনের প্রস্তাব থাকছে তদন্ত প্রতিবেদনে। সূত্র মতে, ২০০৬ সালে তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে প্লট বরাদ্দ দেয় সরকার। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে দেয়া এ বরাদ্দের ফলে সরকারের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় আলমগীর কবিরসহ গৃহায়ন ও গণপূর্তের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তৎকালীন ভূমি ও সম্পত্তি বিভাগের উপ-পরিচালক (বর্তমান সদস্য) মো. আজহারুল হক, হিসাব সহকারী মো. মতিয়ার রহমান এবং ট্রেজারার মনসুর আলম। মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের উপপরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) যতন কুমার রায়। তদন্তকালে মির্জা আব্বাসকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয় দুদক। একই সঙ্গে গৃহায়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান এবং পরিচালক মেহেদী হাসানেরও সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। ফলে তাদেরও আসামি করার প্রস্তাব থাকছে প্রতিবেদনে। অন্যদিকে ঘটনার সঙ্গে এজাহারভুক্ত আসামি গৃহায়নের হিসাব সহকারী মো. মতিউর রহমান এবং ট্রেজারার মনসুর আলমের সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের আসামির তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সুপারিশ থাকছে। তদন্ত পর্যায়ে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, গৃহায়নের সাবেক তিন চেয়ারম্যানসহ ২৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। মামলা দায়েরের ৮ মাসের মাথায় দাখিল করা হচ্ছে তদন্ত প্রতিবেদন।
এ মামলায় আসামি করা হলে এটি হবে মহানগর বিএনপির দায়িত্ব লাভের পর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ১৮টি সরকারি বাড়ি বিক্রি, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং এ দুটি মামলা থেকে সৃষ্ট আরও ৩টি রিট মামলাসহ দুদকের ৫টি মামলা রয়েছে।
এ মামলায় আসামি করা হলে এটি হবে মহানগর বিএনপির দায়িত্ব লাভের পর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ১৮টি সরকারি বাড়ি বিক্রি, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং এ দুটি মামলা থেকে সৃষ্ট আরও ৩টি রিট মামলাসহ দুদকের ৫টি মামলা রয়েছে।
No comments