২০৪১ সালের মধ্যে দেশ হবে সোনার বাংলা : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। বাংলাদেশ হবে আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন একটি দেশ। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে বিমান বাহিনীকে একটি যুগোপযোগী চৌকস বাহিনীতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। বিশাল সমুদ্রসীমা ও নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই বাহিনীকে উন্নত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আগেই আমরা বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধের প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়াই শুধু একটি এ্যালুয়েট হেলিকপ্টার, একটি ডিসি-৩ এবং একটি অটার বিমান নিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুঃসাহসিক বৈমানিকরাই প্রথম বাংলার আকাশসীমায় প্রবেশ করে শত্র“র স্থাপনার ওপর সফলভাবে আঘাত হানে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একটিমাত্র এ্যালুয়েট হেলিকপ্টার ও অটার বিমানের সাহায্যে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে চল্লিশটিরও বেশি সফল আক্রমণ পরিচালনা করে- যা ছিল আমাদের বৈমানিকদের অসাধারণ দক্ষতার নজির। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা সেক্টর কমান্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। এ বাহিনীর সদস্যদের সাহসিকতাপূর্ণ অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।অনুষ্ঠান উপলক্ষে জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ ক্যাপ্টেন সৈয়দ সায়েদুর রহমান কুচকাওয়াজ পরিচালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ এনামুল বারী এবং ঘাঁটির কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জহুরুল হক ঘাঁটিকে ‘ন্যাশনাল ফ্লাগ’ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলসহ সমুদ্রসীমার সার্বিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর ঘাঁটিটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
No comments