বাজেট ঘাটতি পূরণে বাড়ছে বৈদেশিক ঋণনির্ভরতা
ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ কমিয়ে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে সরকার। বাজেট ঘাটতি পূরণে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ নেয় সরকার। কিন্তু ব্যাংকিং খাত থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ নেয়ার বিরূপ প্রভাব এড়াতে চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের ওপর বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। এ জন্য অর্থায়ন ঘাটতি পূরণে সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আসছে। এতে অদূর ভবিষ্যতে সহজ শর্তে ঋণের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এদিকে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কঠিন শর্তের ঋণ পরিহার না করা হলে বৈদেশিক ঋণনির্ভরতায় সার্বিক অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা।সূত্র জানায়, বর্তমানে বিদ্যমান মোট ঋণের ৪৫ শতাংশ বিদেশী ঋণ। এটি এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে বৈদেশিক ঋণ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কেননা, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যাংকের সুদের হার কম রাখতে হলে দেশীয় উৎস বা ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ কমাতে হবে। এ জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এ কৌশল বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের গৌরব অর্জন করা সহজ হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র স্বীকার করেছে, সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। এজন্য মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল নির্ধারণ করতে বিভিন্ন পক্ষের মতামতও নিয়েছে অর্থ বিভাগ। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণের অংশ ছিল ৪০ ভাগ। বাকি অর্থ আসতো দেশীয় উৎস থেকে। নতুন কৌশল অনুসারে বৈদেশিক অংশ থেকে ৬০ ভাগ ঋণ নিতে চায় সরকার। এর ফলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীলতা কমলেও বাড়বে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ৩ বছর মেয়াদে মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল নির্ধারণের একটি প্রস্তাবের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এ সংক্রান্ত একটি সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রমশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য অগ্রসর হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণের উৎস সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণে নতুন সভরেন বন্ড ছেড়ে এবং দ্বিপক্ষীয় সেমি-কনসেশনাল ঋণ নিয়ে অর্থায়নের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দেশীয় উৎসের বাইরে গিয়ে বৈদেশিক অংশ থেকে ঋণ নিলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর চাপ কমবে। কিন্তু নন-কনসেশনাল লোন (কঠিন শর্ত) অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। কোনোভাবেই নন-কনসেশনাল লোন বাড়ানো যাবে না। তিনি বলেন, পাইপলাইনে সহজ শর্তের বিশাল অর্থ পড়ে আছে। এছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনার বৈদেশিক অংশে গড় ব্যয় ১৭-১৮ শতাংশ। এর ফলে অর্থ থাকলেও ব্যয় করা যাচ্ছে না। এজন্য শুধু ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ালেই হবে না, অর্থ ব্যয় করার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।অর্থ মন্ত্রণালয় মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল নির্ধারণে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের মতামত চেয়েছে। সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতেই এ কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হুট করে বিদেশী ঋণ ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়লে বিদেশীরা দ্রুত এ ঋণ তুলে নিতে চাইবে। তখন সমস্যায় পড়বে দেশ।
এদিকে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কঠিন শর্তের ঋণ পরিহার না করা হলে বৈদেশিক ঋণনির্ভরতায় সার্বিক অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা।সূত্র জানায়, বর্তমানে বিদ্যমান মোট ঋণের ৪৫ শতাংশ বিদেশী ঋণ। এটি এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে বৈদেশিক ঋণ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কেননা, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যাংকের সুদের হার কম রাখতে হলে দেশীয় উৎস বা ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ কমাতে হবে। এ জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এ কৌশল বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের গৌরব অর্জন করা সহজ হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র স্বীকার করেছে, সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। এজন্য মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল নির্ধারণ করতে বিভিন্ন পক্ষের মতামতও নিয়েছে অর্থ বিভাগ। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণের অংশ ছিল ৪০ ভাগ। বাকি অর্থ আসতো দেশীয় উৎস থেকে। নতুন কৌশল অনুসারে বৈদেশিক অংশ থেকে ৬০ ভাগ ঋণ নিতে চায় সরকার। এর ফলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীলতা কমলেও বাড়বে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ৩ বছর মেয়াদে মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল নির্ধারণের একটি প্রস্তাবের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এ সংক্রান্ত একটি সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রমশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য অগ্রসর হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণের উৎস সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণে নতুন সভরেন বন্ড ছেড়ে এবং দ্বিপক্ষীয় সেমি-কনসেশনাল ঋণ নিয়ে অর্থায়নের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দেশীয় উৎসের বাইরে গিয়ে বৈদেশিক অংশ থেকে ঋণ নিলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর চাপ কমবে। কিন্তু নন-কনসেশনাল লোন (কঠিন শর্ত) অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। কোনোভাবেই নন-কনসেশনাল লোন বাড়ানো যাবে না। তিনি বলেন, পাইপলাইনে সহজ শর্তের বিশাল অর্থ পড়ে আছে। এছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনার বৈদেশিক অংশে গড় ব্যয় ১৭-১৮ শতাংশ। এর ফলে অর্থ থাকলেও ব্যয় করা যাচ্ছে না। এজন্য শুধু ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ালেই হবে না, অর্থ ব্যয় করার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।অর্থ মন্ত্রণালয় মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল নির্ধারণে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের মতামত চেয়েছে। সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতেই এ কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হুট করে বিদেশী ঋণ ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়লে বিদেশীরা দ্রুত এ ঋণ তুলে নিতে চাইবে। তখন সমস্যায় পড়বে দেশ।
No comments