ফাতাহ সদস্যদের ওপর ১০ দফা বোমা হামলা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সংগঠন ফাতাহ সদস্যদের বাড়ি ও গাড়ি লক্ষ্য করে অন্তত ১০ দফা বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন হামাসকে দায়ী করেছে ফাতাহ। খবর এএফপি ও রয়টার্সের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার আগে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একের পর এক ওই বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটে। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর গাজা সফর বাতিল করেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ। হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে ফাতাহ এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসকে দায়ী করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সমঝোতা সত্ত্বেও দুই প্রধান ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ও ফাতাহর মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছে। তবে হামাসও তাৎক্ষণিকভাবে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিল। একটি হামলাস্থলে পাওয়া চিঠিতে ইরাক ও সিরিয়ায় সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নাম রয়েছে। তবে ওই চিঠির যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ফাতাহ। হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিনের প্রখ্যাত নেতা ও ফাতাহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসির আরাফাতের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা একটি মঞ্চ। মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত আরাফাতের উত্তরসূরি মাহমুদ আব্বাসের অনুসারীদের ২০০৭ সালে গাজা থেকে বিতাড়িত করে কট্টরপন্থী সংগঠন হামাস।
আরেক ইসরায়েলির মৃত্যু: জেরুজালেমে একজন ফিলিস্তিনির গাড়িচাপায় আহত ইসরায়েলি পথচারীদের মধ্যে আরেকজন গতকাল মারা গেছেন। গত বুধবারের ওই হামলায় ইসরায়েলি এক পুলিশ নিহত হয়। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাস। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা গতকাল বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী’ ফিলিস্তিনিদের পূর্ব জেরুজালেমের বাড়ি তালাবন্ধ করা বা গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জেরুজালেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের ওই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিচার করবে না আইসিসি: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত বৃহস্পতিবার বলেছে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ২০১০ সালে নৌপথে ত্রাণ নিয়ে গাজায় যাওয়ার পথে তুরস্কের ১০ নাগরিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার শুরু করা হবে না। তবে ওই ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, এমনটি বিশ্বাস করার ‘যৌক্তিক ভিত্তি’ রয়েছে।
No comments