পেছনে আছে মায়ের প্রেরণা, আছে দেশ by দিদারুল ইসলাম
১৪ বছরের বেশি সময় থেকেছি স্বপ্নের আমেরিকায়। একজন তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছি বিশ্বসেরা এক কোম্পানিতে। কিন্তু কাজের প্রেরণা পেয়েছি, এখনো পেয়ে যাচ্ছি আমার জন্মস্থান মাগুরা জেলার হাজীপুর গ্রাম থেকে। তৃতীয় প্রজন্মের সোলার হোম সিস্টেম (থ্রিজি-এসএইচএস) উদ্ভাবনের গল্পের শুরুটাও এই হাজীপুরেই।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে নিজের গ্রামে তরুণদের প্রযুক্তি বিষয়ে উৎসাহ দিতে প্রতিষ্ঠা করলাম ‘হাজীপুর কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার’। কিন্তু বিপত্তি ঘটল তখনই, যখন বুঝতে পারলাম এখানে তো বিদ্যুৎই নেই। প্রচলিত আইপিএস দিয়েও কম্পিউটার চালানো সম্ভব নয়। তাই নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশাতেই নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে থাকলাম। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, সেটাই আমার ভাবনায় চলে আসে একই সঙ্গে।
মায়ের ইচ্ছায় ভর্তি হয়েছিলাম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে। তড়িৎকৌশল পড়ার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হই। স্নাতক করার পর বুয়েটে প্রভাষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েও চাকুরি ছেড়ে ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডায় চলে যাই আরও পড়াশোনার জন্য। আমার সব রকম সাফল্যের পেছনে বোধ করি এটিই একমাত্র কারণ, যখন যে বিষয়ে বদ্ধপরিকর হই, তখন আর পেছনে ফিরে তাকাই না। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার আগেই আমি বুয়েট থেকে অব্যাহতি নিই। ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় কাজ করার সুযোগ পাই অরল্যান্ডোর গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) প্রতিষ্ঠান ‘এআইটি’তে। যাদের উদ্দেশ্য ছিল, পৃথিবীতে প্রথম একক রেডিও চিপ উদ্ভাবন করা। চাকরির সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম, ‘আমার কাছে পারিশ্রমিকের চেয়েও নতুন কিছু উদ্ভাবনের সুযোগ পাওয়াটাই মূল লক্ষ্য।’
১৯৯৬ সালের গোড়ায় সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম একক রেডিও চিপ ডিজাইন করলাম, যার নাম ‘কুইকরেডিও’। একটি চিপের মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বে (শর্ট রেঞ্জ) বেতার তরঙ্গের সংকেত তৈরি করে, যা যুক্তরাষ্ট্রে গ্যারেজের গেট খোলার জন্য বর্তমানে ৫০ শতাংশ বাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই উদ্ভাবন আমাকে আর্থিকভাবে লাভবান করার পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানের একজন অংশীদারি হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এরপর একে একে অর্জন করি ১০টি ‘ইউএস পেটেন্ট’। সেই সময়টি আমার কাছে চিরস্মরণীয় এবং আজকের আমার এ অবস্থানের পেছনের মূল কারণ আমার মা, যিনি ২০০৩ সালে ফ্লোরিডায় আমাকে বলছিলেন, ‘তোমার মেধাকে কাজে লাগিয়ে তুমি এখন নাম, যশ, খ্যাতির অধিকারী হয়েছ। তোমার পরবর্তী আবিষ্কারটিও এখানকার মানুষের কল্যাণের জন্য হবে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এখন সময় এসেছে এই মেধা ব্যবহার করে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার।’ মায়ের কথাটি আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করল।
২০০১-২০০৪ পর্যন্ত টানা কাজ করেছি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যানালগ সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা ম্যাক্সিমে প্রধান নকশাকারী হিসেবে। এখানে ডিজাইন করতাম ল্যাপটপের বহনযোগ্য চিপ পাওয়ার ডিভাইসের। আমার এই কাজে কর্মকর্তারা খুশি, সেখানে আমি সফল, কিন্তু দেশের জন্য কিছু করতে হবে, মায়ের ওই কথাটি ঠিকই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, ‘নিজের দেশের জন্য আমি কী করতে পারি?’
২০০৫ সালের প্রথম দিকে একটি তাইওয়ানি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারির মাধ্যমে বুয়েট থেকে সদ্য পাস করা তরুণ প্রকৌশলীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম ‘পাওয়ার আইসি’ নামের ডিজাইন প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান চিপের নকশা করবে, যেটা তৈরি হবে তাইওয়ানে এবং বিক্রি হবে চীনে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের নতুন প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ডিজাইন করা চিপ সেখানকার বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করলাম। পাওয়ার আইসির নকশা করা ১০টি চিপ এখন গোটা দুনিয়ার মোবাইল ফোন ও ক্যামেরায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০৭ সালে আমার স্ত্রীর (তখন তিনি ওরাকলের কারিগরি বিশ্লেষক) সহযোগিতায় কন্যাসন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম।
২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নিজের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘সোলারিক’ প্রতিষ্ঠা করি। এখানে দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করি ‘জিরো স্ট্যাটিক লস’ বৈশিষ্ট্যের ডিসি-ডিসি কনভার্টার, যা অপটিমাইজার নামে ব্যবহৃত হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম এবং সাশ্রয়ী তৃতীয় প্রজন্মের সোলার হোম সিস্টেমে। ছয় মাসের মধ্যে থ্রিজি-এসএইচএসের প্রচার ও জনপ্রিয়তা বাড়ায় সংযুক্ত হলো ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (আইডিসিএল) অর্থায়নে পরিচালিত মাঠপর্যায়ে কার্যরত কয়েকটি এনজিও। যেগুলোর মধ্যে গ্রামীণ শক্তি অন্যতম। গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে দুই ধরনের সোলার সিস্টেম উদ্ভাবিত হয়েছে সোলারিক থেকে।
ঋতু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে সৌরশক্তির সীমাবদ্ধতা উত্তরণের জন্য সিস্টেম ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। থ্রিজি-এসএইচএস এ সৌর প্যানেলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, যা আগের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। থ্রিজি সোলার হোম সিস্টেমটি দিনে ব্যাটারি ছাড়াই স্বাধীনভাবে চলতে সক্ষম। আজকে সোলারিক প্রতি মাসে স্থানীয় বাজারের জন্য উৎপাদন করছে আট হাজার সোলার সিস্টেম। রপ্তানি করছে ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া ও আফ্রিকায়। বর্তমানে ৩৮০ জন কর্মচারী নিয়ে সোলারিক এগিয়ে যাচ্ছে, যার অর্ধেকেরও বেশি প্রকৌশলী। আমার স্ত্রী ফাহমিদা সুলতানা পেশায় কম্পিউটার প্রকৌশলী এবং এ প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হিসেবে সার্বক্ষণিক আমাকে সাহায্য করে আসছেন প্রথম থেকেই ।
আজকের এই সফলতার পেছনে আছে আমার মায়ের প্রেরণা, আছে আমাকে নিয়ে তাঁর উচ্চাশা। আমি মনে করি, আমরা গ্রামের মানুষকে প্রযুক্তির মাধ্যমে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছি। তারা এখন নিজেদের জীবনের মান উন্নয়ন করতে পারছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে নিজের মেধাকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর চেষ্টা। দেশের তরুণসমাজের উদ্দেশে বলছি, নিজের মেধা ও অর্জিত জ্ঞান দেশের উপকারে এলেই তার সার্থকতা পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে নিজের গ্রামে তরুণদের প্রযুক্তি বিষয়ে উৎসাহ দিতে প্রতিষ্ঠা করলাম ‘হাজীপুর কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার’। কিন্তু বিপত্তি ঘটল তখনই, যখন বুঝতে পারলাম এখানে তো বিদ্যুৎই নেই। প্রচলিত আইপিএস দিয়েও কম্পিউটার চালানো সম্ভব নয়। তাই নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশাতেই নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে থাকলাম। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, সেটাই আমার ভাবনায় চলে আসে একই সঙ্গে।
মায়ের ইচ্ছায় ভর্তি হয়েছিলাম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে। তড়িৎকৌশল পড়ার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হই। স্নাতক করার পর বুয়েটে প্রভাষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েও চাকুরি ছেড়ে ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডায় চলে যাই আরও পড়াশোনার জন্য। আমার সব রকম সাফল্যের পেছনে বোধ করি এটিই একমাত্র কারণ, যখন যে বিষয়ে বদ্ধপরিকর হই, তখন আর পেছনে ফিরে তাকাই না। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার আগেই আমি বুয়েট থেকে অব্যাহতি নিই। ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় কাজ করার সুযোগ পাই অরল্যান্ডোর গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) প্রতিষ্ঠান ‘এআইটি’তে। যাদের উদ্দেশ্য ছিল, পৃথিবীতে প্রথম একক রেডিও চিপ উদ্ভাবন করা। চাকরির সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম, ‘আমার কাছে পারিশ্রমিকের চেয়েও নতুন কিছু উদ্ভাবনের সুযোগ পাওয়াটাই মূল লক্ষ্য।’
১৯৯৬ সালের গোড়ায় সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম একক রেডিও চিপ ডিজাইন করলাম, যার নাম ‘কুইকরেডিও’। একটি চিপের মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বে (শর্ট রেঞ্জ) বেতার তরঙ্গের সংকেত তৈরি করে, যা যুক্তরাষ্ট্রে গ্যারেজের গেট খোলার জন্য বর্তমানে ৫০ শতাংশ বাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই উদ্ভাবন আমাকে আর্থিকভাবে লাভবান করার পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানের একজন অংশীদারি হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এরপর একে একে অর্জন করি ১০টি ‘ইউএস পেটেন্ট’। সেই সময়টি আমার কাছে চিরস্মরণীয় এবং আজকের আমার এ অবস্থানের পেছনের মূল কারণ আমার মা, যিনি ২০০৩ সালে ফ্লোরিডায় আমাকে বলছিলেন, ‘তোমার মেধাকে কাজে লাগিয়ে তুমি এখন নাম, যশ, খ্যাতির অধিকারী হয়েছ। তোমার পরবর্তী আবিষ্কারটিও এখানকার মানুষের কল্যাণের জন্য হবে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এখন সময় এসেছে এই মেধা ব্যবহার করে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার।’ মায়ের কথাটি আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করল।
২০০১-২০০৪ পর্যন্ত টানা কাজ করেছি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যানালগ সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা ম্যাক্সিমে প্রধান নকশাকারী হিসেবে। এখানে ডিজাইন করতাম ল্যাপটপের বহনযোগ্য চিপ পাওয়ার ডিভাইসের। আমার এই কাজে কর্মকর্তারা খুশি, সেখানে আমি সফল, কিন্তু দেশের জন্য কিছু করতে হবে, মায়ের ওই কথাটি ঠিকই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, ‘নিজের দেশের জন্য আমি কী করতে পারি?’
২০০৫ সালের প্রথম দিকে একটি তাইওয়ানি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারির মাধ্যমে বুয়েট থেকে সদ্য পাস করা তরুণ প্রকৌশলীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম ‘পাওয়ার আইসি’ নামের ডিজাইন প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান চিপের নকশা করবে, যেটা তৈরি হবে তাইওয়ানে এবং বিক্রি হবে চীনে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের নতুন প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ডিজাইন করা চিপ সেখানকার বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করলাম। পাওয়ার আইসির নকশা করা ১০টি চিপ এখন গোটা দুনিয়ার মোবাইল ফোন ও ক্যামেরায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০৭ সালে আমার স্ত্রীর (তখন তিনি ওরাকলের কারিগরি বিশ্লেষক) সহযোগিতায় কন্যাসন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম।
২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নিজের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘সোলারিক’ প্রতিষ্ঠা করি। এখানে দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করি ‘জিরো স্ট্যাটিক লস’ বৈশিষ্ট্যের ডিসি-ডিসি কনভার্টার, যা অপটিমাইজার নামে ব্যবহৃত হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম এবং সাশ্রয়ী তৃতীয় প্রজন্মের সোলার হোম সিস্টেমে। ছয় মাসের মধ্যে থ্রিজি-এসএইচএসের প্রচার ও জনপ্রিয়তা বাড়ায় সংযুক্ত হলো ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (আইডিসিএল) অর্থায়নে পরিচালিত মাঠপর্যায়ে কার্যরত কয়েকটি এনজিও। যেগুলোর মধ্যে গ্রামীণ শক্তি অন্যতম। গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে দুই ধরনের সোলার সিস্টেম উদ্ভাবিত হয়েছে সোলারিক থেকে।
ঋতু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে সৌরশক্তির সীমাবদ্ধতা উত্তরণের জন্য সিস্টেম ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। থ্রিজি-এসএইচএস এ সৌর প্যানেলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, যা আগের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। থ্রিজি সোলার হোম সিস্টেমটি দিনে ব্যাটারি ছাড়াই স্বাধীনভাবে চলতে সক্ষম। আজকে সোলারিক প্রতি মাসে স্থানীয় বাজারের জন্য উৎপাদন করছে আট হাজার সোলার সিস্টেম। রপ্তানি করছে ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া ও আফ্রিকায়। বর্তমানে ৩৮০ জন কর্মচারী নিয়ে সোলারিক এগিয়ে যাচ্ছে, যার অর্ধেকেরও বেশি প্রকৌশলী। আমার স্ত্রী ফাহমিদা সুলতানা পেশায় কম্পিউটার প্রকৌশলী এবং এ প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হিসেবে সার্বক্ষণিক আমাকে সাহায্য করে আসছেন প্রথম থেকেই ।
আজকের এই সফলতার পেছনে আছে আমার মায়ের প্রেরণা, আছে আমাকে নিয়ে তাঁর উচ্চাশা। আমি মনে করি, আমরা গ্রামের মানুষকে প্রযুক্তির মাধ্যমে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছি। তারা এখন নিজেদের জীবনের মান উন্নয়ন করতে পারছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে নিজের মেধাকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর চেষ্টা। দেশের তরুণসমাজের উদ্দেশে বলছি, নিজের মেধা ও অর্জিত জ্ঞান দেশের উপকারে এলেই তার সার্থকতা পাওয়া যায়।
দিদারুল ইসলাম: প্রকৌশলী, তৃতীয় প্রজন্মের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থার উদ্ভাবক।
No comments