চলছে বর-কনে পক্ষের আমন্ত্রণপত্র বিলি by জাহিদ হাসান
রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক মুজিব এমপি’র বিয়ে ৩১শে অক্টোবর। আমন্ত্রণপত্র বিলি করছেন বর ও কনে পক্ষ। গত শুক্রবার কুমিল্লা মহানগরীর ঠাকুরপাড়ার বাসভবনে ছিল আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপচেপড়া ভিড়। মন্ত্রীকে যেন নতুনভাবে দেখার এক অদম্য স্পৃহায় জেগে উঠেছেন তার শুভার্থীরা। মন্ত্রী নিজের হাতে বউ-ভাতের আমন্ত্রণপত্র বিলি করেন ও হাসি-তামাশায় মেতে ওঠেন। এ বিয়ে উপলক্ষে বরের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও কনের চান্দিনা এলাকাসহ সর্বত্র আওয়ামী লীগ ও দলের নেতা-কর্মীসহ স্বজনদের মাঝে চলছে আনন্দ-উল্লাস। বর ও কনের বাড়িঘর সাজানোর কাজ চলছে এবং রাস্তাঘাটের সংস্কার কাজ করছে এলজিইডি। ৬৭ বছরের একাকিত্ব জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসার জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন রেলপথমন্ত্রী।
বর পক্ষের আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয়, “জনাব/বেগম আস্সালামু আলাইকুম, পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতে আগামী ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ইং রোজ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় আমাদের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মোঃ মুজিবুল হক মুজিব এর বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে আপনার/আপনাদের উপস্থিতি ও দোয়া আন্তরিকভাবে কামনা করছি। শুভেচ্ছান্তে- মোঃ আবদুর রশিদ, মোঃ আব্দুল মতিন, এ বি এম আবদুল লতিফ।” তারা মন্ত্রীর বড় ভাই।
কনে পক্ষের আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয় “জনাব/বেগম আসসালামু আলাইকুম, পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতে আগামী ৩১ অক্টোবর ২০১৪ইং, রোজ শুক্রবার আমার কনিষ্ঠ কন্যা হনুফা আক্তার (রিক্তা) এর সাথে মরহুম রজ্জব আলী সাহেবের কনিষ্ঠপুত্র মো. মুজিবুল হক এর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। উক্ত শুভ বিবাহ অনুষ্ঠানে আপনার/আপনাদের উপস্থিতি ও দোয়া আন্তরিকভাবে কামনা করছি। শুভেচ্ছান্তে মোসা. জোসনা বেগম।” তিনি কনের মাতা।
সূত্র জানায়, বিয়েকে সামনে রেখে আগামী ২৯শে অক্টোবর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ঢাকায়, ৩১শে অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মিরাখলা গ্রামে কনের পিত্রালয়ে বিয়ে হবে। আগামী ১৪ই নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের ২ নম্বর এলডি হলে প্রীতিভোজ হবে। আগামী ৬ই ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারায় বউ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এজন্য ৬০ সদস্যের একটি অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটি করা হয়েছে। বর ও কনের একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রী-সচিবসহ উচ্চপদস্থ ২ শতাধিক রাষ্ট্র্রীয় অতিথি এবং বরের নিজ নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও জেলা সদরসহ সবমিলিয়ে ৬-৭শ’ বরযাত্রী চান্দিনায় যাবেন। ভিআইপিসহ অতিথিদের মেহমানদারির জন্য গ্রামের ১৫০ জন ব্যক্তি কাজ করবে। এদিকে, ঢাকা এবং কুমিল্লার টেকনিশিয়ানরা গত বুধবার থেকে ডেকোরেশন, আলোকসজ্জার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কনের পরিবার সূত্র আরও জানায়, ২৯শে অক্টোবর রাতে কুমিল্লা ক্লাবের প্রধান বাবুর্চি মিল্টন তার সহযোগীদের নিয়ে কনের পিত্রালয় মিরাখলা গ্রামে পৌঁছবেন। ওই রাত থেকেই তারা বিয়ে উপলক্ষে রান্নার প্রস্তুতি নেবেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব ১৯৪৭ সালের ৩১শে মে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম রজ্জব আলী ও মাতা মৃত সোনাবান বিবি। ৮ ভাই ১ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। উপজেলার উত্তর পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর মুজিবুল হক ১৯৬৬ সালে কাশিনগর বি.এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭০ সালে বিকম পাস করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মুজিবুল হক ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকারের ওই মেয়াদে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও হুইপ মনোনীত হন। ওই সময় সরকারের শেষ মেয়াদে ২০১২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ১৫ই সেপ্টেম্বর তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৩ সালে তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি জেলার চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ সরকারের এবারের মেয়াদেও তিনি পুনরায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। অপরদিকে, হবু স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা জেলার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের মিরাখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী পাস করেন। ২০০১ সালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চান্দিনা আবেদা নূর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৩ সালে এইচএসসি, ২০০৬ সালে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর অব ল (এলএলবি) পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় থেকে হামদর্দ বাংলাদেশ লি:-এর আইন উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত। হনুফা আক্তার রিক্তার মিরাখলা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তার পিতা মরহুম হাবিব উল্যাহ মুন্সী ডাক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৫ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ভাই-বোনরা হচ্ছেন- শাহিনুর বেগম, শিরিন আক্তার, আলাউদ্দিন মুন্সী, নাছির উদ্দিন মুন্সী, হাজেরা আক্তার ও হামিদা আক্তার মুক্তা। রিক্তার মা জোসনা বেগম ২নং গল্লাই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের দু’বারের নির্বাচিত মহিলা সদস্য ছিলেন।
এদিকে চান্দিনার মিরাখলার তালতলী বাজার থেকে কনের বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা সড়ক সংস্কার কাজ এগিয়ে চলছে। রেলপথমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে সুখী হতে পারি। একজন মুসলমান হিসেবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই আল্লাহর মেহেরবানিতে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছি। পর্দানশীন, মার্জিত ও নামাজি হওয়ার কারণে তাকে আমার ভাল লেগেছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে, জীবনের এ পর্যায়ে এসে আমি উপলব্ধি করলাম, বিয়ে মানুষের জীবনকে পূর্ণতা দেয়। একা থাকা যায় না। জীবনের একটা সময় এসে সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। তাই এ সিদ্ধান্ত। আমার নতুন জীবন শুরুতে সবার কাছে আমি দোয়া চাই।
বর পক্ষের আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয়, “জনাব/বেগম আস্সালামু আলাইকুম, পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতে আগামী ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ইং রোজ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় আমাদের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মোঃ মুজিবুল হক মুজিব এর বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে আপনার/আপনাদের উপস্থিতি ও দোয়া আন্তরিকভাবে কামনা করছি। শুভেচ্ছান্তে- মোঃ আবদুর রশিদ, মোঃ আব্দুল মতিন, এ বি এম আবদুল লতিফ।” তারা মন্ত্রীর বড় ভাই।
কনে পক্ষের আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয় “জনাব/বেগম আসসালামু আলাইকুম, পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার অশেষ রহমতে আগামী ৩১ অক্টোবর ২০১৪ইং, রোজ শুক্রবার আমার কনিষ্ঠ কন্যা হনুফা আক্তার (রিক্তা) এর সাথে মরহুম রজ্জব আলী সাহেবের কনিষ্ঠপুত্র মো. মুজিবুল হক এর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। উক্ত শুভ বিবাহ অনুষ্ঠানে আপনার/আপনাদের উপস্থিতি ও দোয়া আন্তরিকভাবে কামনা করছি। শুভেচ্ছান্তে মোসা. জোসনা বেগম।” তিনি কনের মাতা।
সূত্র জানায়, বিয়েকে সামনে রেখে আগামী ২৯শে অক্টোবর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ঢাকায়, ৩১শে অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মিরাখলা গ্রামে কনের পিত্রালয়ে বিয়ে হবে। আগামী ১৪ই নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের ২ নম্বর এলডি হলে প্রীতিভোজ হবে। আগামী ৬ই ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারায় বউ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এজন্য ৬০ সদস্যের একটি অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটি করা হয়েছে। বর ও কনের একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রী-সচিবসহ উচ্চপদস্থ ২ শতাধিক রাষ্ট্র্রীয় অতিথি এবং বরের নিজ নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও জেলা সদরসহ সবমিলিয়ে ৬-৭শ’ বরযাত্রী চান্দিনায় যাবেন। ভিআইপিসহ অতিথিদের মেহমানদারির জন্য গ্রামের ১৫০ জন ব্যক্তি কাজ করবে। এদিকে, ঢাকা এবং কুমিল্লার টেকনিশিয়ানরা গত বুধবার থেকে ডেকোরেশন, আলোকসজ্জার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কনের পরিবার সূত্র আরও জানায়, ২৯শে অক্টোবর রাতে কুমিল্লা ক্লাবের প্রধান বাবুর্চি মিল্টন তার সহযোগীদের নিয়ে কনের পিত্রালয় মিরাখলা গ্রামে পৌঁছবেন। ওই রাত থেকেই তারা বিয়ে উপলক্ষে রান্নার প্রস্তুতি নেবেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব ১৯৪৭ সালের ৩১শে মে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম রজ্জব আলী ও মাতা মৃত সোনাবান বিবি। ৮ ভাই ১ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। উপজেলার উত্তর পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর মুজিবুল হক ১৯৬৬ সালে কাশিনগর বি.এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭০ সালে বিকম পাস করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মুজিবুল হক ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকারের ওই মেয়াদে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও হুইপ মনোনীত হন। ওই সময় সরকারের শেষ মেয়াদে ২০১২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ১৫ই সেপ্টেম্বর তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৩ সালে তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয় ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি জেলার চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ সরকারের এবারের মেয়াদেও তিনি পুনরায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। অপরদিকে, হবু স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা জেলার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের মিরাখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী পাস করেন। ২০০১ সালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চান্দিনা আবেদা নূর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৩ সালে এইচএসসি, ২০০৬ সালে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর অব ল (এলএলবি) পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় থেকে হামদর্দ বাংলাদেশ লি:-এর আইন উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত। হনুফা আক্তার রিক্তার মিরাখলা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তার পিতা মরহুম হাবিব উল্যাহ মুন্সী ডাক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৫ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ভাই-বোনরা হচ্ছেন- শাহিনুর বেগম, শিরিন আক্তার, আলাউদ্দিন মুন্সী, নাছির উদ্দিন মুন্সী, হাজেরা আক্তার ও হামিদা আক্তার মুক্তা। রিক্তার মা জোসনা বেগম ২নং গল্লাই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের দু’বারের নির্বাচিত মহিলা সদস্য ছিলেন।
এদিকে চান্দিনার মিরাখলার তালতলী বাজার থেকে কনের বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা সড়ক সংস্কার কাজ এগিয়ে চলছে। রেলপথমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যাতে সুখী হতে পারি। একজন মুসলমান হিসেবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই আল্লাহর মেহেরবানিতে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছি। পর্দানশীন, মার্জিত ও নামাজি হওয়ার কারণে তাকে আমার ভাল লেগেছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে, জীবনের এ পর্যায়ে এসে আমি উপলব্ধি করলাম, বিয়ে মানুষের জীবনকে পূর্ণতা দেয়। একা থাকা যায় না। জীবনের একটা সময় এসে সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। তাই এ সিদ্ধান্ত। আমার নতুন জীবন শুরুতে সবার কাছে আমি দোয়া চাই।
No comments