৩৩২৬ কিমি বেড়া স্থাপনের কাজ শেষ ভারতের- এবার সীমান্তে পানিতে স্থাপন হবে সিঙ্গাপুরি প্রাচীর by শওকত ওসমান রচি
ডাঙ্গায় নয়, এবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন হবে পানিতে। এ ব্যাপারে ভারত সিঙ্গাপুরের সহায়তা নিতে যাচ্ছে। এ কাঁটাতারের বেড়ার নাম ‘সিঙ্গাপুরি প্রাচীর’। অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে ভারত এ প্রাচীর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিশেষ ধরনের বেড়া স্থাপনের জন্য সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের সাথে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের যেসব জায়গায় পানির কারণে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন থমকে গিয়েছে, সেখানে এই ‘সিঙ্গাপুরি প্রাচীর’ স্থাপন করা হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৯০৯ কিলোমিটার। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম এ আন্তর্জাতিক সীমান্তের তিন হাজার ৩২৬ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছে ভারত। বেড়া স্থাপনের কাজ চলছে আরো ৮০ কিলোমিটার সীমান্তে। এ জন্য কয়েক দফায় চার হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার বাকি ৫০৩ কিলোমিটার বেড়ার কাজ শেষ করতে চায় ভারত সরকার। এত দিন বেড়া তৈরি হয়েছে ডাঙ্গায়। এবার হবে পানিতে।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১২ ফুট উচ্চতার দুই স্তরবিশিষ্ট এ বেড়া স্থাপন করেছে ভারত। তারা জানায়, ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করে বলা হয়েছে, মূলত চোরাচালান এবং অবৈধ চলাচল বন্ধে এ বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ না করার অনুরোধ করে বারবারই ব্যর্থ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্তের পাহাড়ি এলাকা ছাড়া বাকি সব এলাকায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশের অনেক জায়গা এসব বেড়ার মধ্যে চলে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে সমুদ্রসৈকতে এক বিশেষ ধরনের বেড়া দিয়ে সফল হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। ২০০৩ সালে পুলাউ উবিন সমুদ্রসৈকতে এ লম্বা প্রাচীর তৈরি করা হয়। অনুপ্রবেশকারীদের নৌকা যাতে কোনোভাবেই সিঙ্গাপুরের তীরে ভিড়তে না পারে, সে জন্য পানিতে স্থাপিত দেয়ালের সাথে ভাসমান ড্রামের দেয়ালও স্থাপন করা হয়। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ভারতকে জানিয়েছে দৃষ্টিকটু লাগলেও অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে এ বেড়া খুবই কার্যকর।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উদ্ধৃতি দিয়ে সে দেশের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সীমান্তের যে অংশে বেড়ার কাজ বাকি রয়েছে, তার বেশির ভাগটাই নদীনালা ও জলাভূমি। সেখানে বেড়া বসাতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বহু জায়গায় নদী ও জলাভূমিই দুই দেশের সীমানায় রয়েছে। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া বসানো কঠিন। আবার ডাঙ্গায় বেড়া পড়লেও নদী ও পানিপথে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের সুযোগ থেকেই যাচ্ছে। এ সমস্যা মেটাতেই মোদি সরকার সিঙ্গাপুরের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছে।
সম্প্রতি বিএসএফের এক অনুষ্ঠানে সাবেক সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নেচল সান্ধু বলেছেন, আমাদের একটা ‘ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রয়োজন। সীমান্তে বেড়া দেয়াটা তারই একটি অঙ্গ। পাশাপাশি, সেন্সরও বসানো হচ্ছে সীমান্তে। নিকটতম সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছবে সেন্সরের তথ্য। তিনি জানান, নদীনালার কারণে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে, তা সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা দিয়েই পূরণ করা সম্ভব। সিঙ্গাপুরের সৈকতে ওই বিশেষ ধরনের বেড়া যথেষ্ট কার্যকর হয়েছে। সিঙ্গাপুরের আদলে সীমান্তের জলা জায়গায় বেড়া বসানোর কাজ যে বেশ কঠিন ও ব্যয়সাপে, তা মানছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তারা। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডাঙ্গায় কাঁটাতারের বেড়া বসানোর যা খরচ, পানিতে খরচ অন্তত তার দ্বিগুণ। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শ, ব্যয়বহুল হলেও তা করা হোক। কারণ দেশের সুরা সবার আগে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যুগ্ম নির্দেশাবলি-১৯৭৫ অনুযায়ী শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে উভয় দেশই কোনো স্থায়ী নির্মাণকাজ থেকে বিরত থাকবে বলে নির্দেশনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এ সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ভারত দুই দেশের সীমান্তে ৪৬টি স্থানে মানবিক কারণ দেখিয়ে শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে দু-একটি স্থান ছাড়া বাকি স্থানগুলোতে ১৫০ গজের ভেতর এসব মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণের কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি। পরে ১২টি স্থানে ভারতের মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশ ছাড় দিতে সম্মত হয়। তবে এর বিপরীতে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য সীমান্তসংক্রান্ত কিছু সুবিধা চাওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হতেই সম্প্রতি আরো ৩৩টি স্থানে মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণে যৌথ পরিদর্শনের জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৯০৯ কিলোমিটার। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম এ আন্তর্জাতিক সীমান্তের তিন হাজার ৩২৬ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছে ভারত। বেড়া স্থাপনের কাজ চলছে আরো ৮০ কিলোমিটার সীমান্তে। এ জন্য কয়েক দফায় চার হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার বাকি ৫০৩ কিলোমিটার বেড়ার কাজ শেষ করতে চায় ভারত সরকার। এত দিন বেড়া তৈরি হয়েছে ডাঙ্গায়। এবার হবে পানিতে।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১২ ফুট উচ্চতার দুই স্তরবিশিষ্ট এ বেড়া স্থাপন করেছে ভারত। তারা জানায়, ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করে বলা হয়েছে, মূলত চোরাচালান এবং অবৈধ চলাচল বন্ধে এ বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ না করার অনুরোধ করে বারবারই ব্যর্থ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্তের পাহাড়ি এলাকা ছাড়া বাকি সব এলাকায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশের অনেক জায়গা এসব বেড়ার মধ্যে চলে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে সমুদ্রসৈকতে এক বিশেষ ধরনের বেড়া দিয়ে সফল হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। ২০০৩ সালে পুলাউ উবিন সমুদ্রসৈকতে এ লম্বা প্রাচীর তৈরি করা হয়। অনুপ্রবেশকারীদের নৌকা যাতে কোনোভাবেই সিঙ্গাপুরের তীরে ভিড়তে না পারে, সে জন্য পানিতে স্থাপিত দেয়ালের সাথে ভাসমান ড্রামের দেয়ালও স্থাপন করা হয়। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ভারতকে জানিয়েছে দৃষ্টিকটু লাগলেও অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে এ বেড়া খুবই কার্যকর।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উদ্ধৃতি দিয়ে সে দেশের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সীমান্তের যে অংশে বেড়ার কাজ বাকি রয়েছে, তার বেশির ভাগটাই নদীনালা ও জলাভূমি। সেখানে বেড়া বসাতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বহু জায়গায় নদী ও জলাভূমিই দুই দেশের সীমানায় রয়েছে। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া বসানো কঠিন। আবার ডাঙ্গায় বেড়া পড়লেও নদী ও পানিপথে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের সুযোগ থেকেই যাচ্ছে। এ সমস্যা মেটাতেই মোদি সরকার সিঙ্গাপুরের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছে।
সম্প্রতি বিএসএফের এক অনুষ্ঠানে সাবেক সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নেচল সান্ধু বলেছেন, আমাদের একটা ‘ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রয়োজন। সীমান্তে বেড়া দেয়াটা তারই একটি অঙ্গ। পাশাপাশি, সেন্সরও বসানো হচ্ছে সীমান্তে। নিকটতম সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছবে সেন্সরের তথ্য। তিনি জানান, নদীনালার কারণে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে, তা সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা দিয়েই পূরণ করা সম্ভব। সিঙ্গাপুরের সৈকতে ওই বিশেষ ধরনের বেড়া যথেষ্ট কার্যকর হয়েছে। সিঙ্গাপুরের আদলে সীমান্তের জলা জায়গায় বেড়া বসানোর কাজ যে বেশ কঠিন ও ব্যয়সাপে, তা মানছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তারা। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডাঙ্গায় কাঁটাতারের বেড়া বসানোর যা খরচ, পানিতে খরচ অন্তত তার দ্বিগুণ। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শ, ব্যয়বহুল হলেও তা করা হোক। কারণ দেশের সুরা সবার আগে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যুগ্ম নির্দেশাবলি-১৯৭৫ অনুযায়ী শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে উভয় দেশই কোনো স্থায়ী নির্মাণকাজ থেকে বিরত থাকবে বলে নির্দেশনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এ সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ভারত দুই দেশের সীমান্তে ৪৬টি স্থানে মানবিক কারণ দেখিয়ে শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে দু-একটি স্থান ছাড়া বাকি স্থানগুলোতে ১৫০ গজের ভেতর এসব মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণের কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি। পরে ১২টি স্থানে ভারতের মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশ ছাড় দিতে সম্মত হয়। তবে এর বিপরীতে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য সীমান্তসংক্রান্ত কিছু সুবিধা চাওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হতেই সম্প্রতি আরো ৩৩টি স্থানে মিলিটারি ওয়্যার অবস্ট্রাকল নির্মাণে যৌথ পরিদর্শনের জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
No comments