চিরনিদ্রায় শায়িত গোলাম আযম -জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে অধ্যাপক গোলাম আযমের নামাজে জানাজা। গোলাম আযমের নামাজে জানাজায় গতকাল মানুষের ঢল নামে বায়তুল মোকাররম এলাকায়। লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় আশপাশের সব রাস্তা। জোহরের নামাজের পর নামাজে জানাজা শেষে বড় মগবাজার কাজী অফিস লেনের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। অধ্যাপক গোলাম আযমের চতুর্থ ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন।

মানুষের ঢল বায়তুল মোকাররমে : বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের নামাজে জানাজা উপলক্ষে গতকাল শনিবার বায়তুল মোকাররম এলাকায় মানুষের ঢল নামে। নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। একপর্যায়ে তা বায়তুল মোকাররম মসজিদ ছাপিয়ে আশপাশের সব রাস্তা কানায় কানায় ভরে ওঠে। জোহরের নামাজের আগেই পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড় ও আশপাশের সব রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মানুষের ভিড়ের কারণে একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মসজিদের আশপাশের সব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। মসজিদের পূর্ব পাশের শাহান, দণি পাশের প্লাজা ছাড়িয়ে মসজিদের উত্তর গেট, দক্ষিণ গেট ও পূর্ব পাশের রাস্তা এবং স্টেডিয়ামের আশপাশ সর্বত্র ছেয়ে যায় মানুষের ভিড়ে। মসজিদের ভেতরেও ছিল প্রচণ্ড ঠাসাঠাসি। বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনের রাস্তা থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয় নামাজে জানাজার কাতার। দক্ষিণ পাশের বিশাল প্লাজা চত্বর ছাড়িয়ে প্রবেশপথ পর্যন্ত মানুষ কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ায় নামাজে জানাজার জন্য।
সকাল থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের চারপাশে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। দুপুরের দিকে দৈনিক বাংলা মোড়ে দুষ্কৃতকারীরা কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ ছাড়া নামাজে জানাজার আগে পরে পুরো এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।
বায়তুল মোকাররমে গোলাম আযমের লাশ : ঠিক ১টা ১৫ মিনিটের সময় অধ্যাপক গোলাম আযমের লাশ বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতর নামাজে জানাজার জন্য নির্ধারিত স্থানে আনা হয়। একটি স্টিলের খাটিয়ায় করে কালিমা খচিত পতাকা মুড়িয়ে আনা হয় লাশ। মসজিদের পশ্চিম পাশের সিঁড়ি দিয়ে লাশ মসজিদের ভেতরে দোতলায় আনা হয়। সোয়া ১টায় জোহরের নামাজের পর ১টা ৫০ মিনিটে নামাজে জানাজা শুরু হয়।
নামাজে জানাজার আগে অধ্যাপক গোলাম আযমের ভাগ্নি জামাই ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোফাজ্জল হোসাইন খান মাইকে নামাজে জানাজার বিষয়ে ঘোষণা দেন। তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযমের চতুর্থ ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী নামাজে জানাজায় ইমামতি করবেন। এরপর তিনি জামায়াত নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে কিছু বলার জন্য আহ্বান জানান। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম সারা জীবন এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছেন যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজ কায়েম হবে, জাকাত আদায় করা হবে, ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অন্যায় প্রতিরোধ করা হবে। যত দিন না এসব বাস্তবায়িত হবে তত দিন পর্যন্ত আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
আযমীর বক্তব্যে কান্না : অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী বাবার নামাজে জানাজায় ইমামতির আগে উপস্থিত লাখো মানুষের উদ্দেশেও কিছু কথা বলেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অশ্রুসজল হয়ে ওঠে মানুষের চোখ। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আযমী বলেন, পৃথিবীর ক্ষণজন্মা মানুষদের একজন অধ্যাপক গোলাম আযম। ছেলে হিসেবে তার নামাজে জানাজার দায়িত্ব পালনের সুযোগের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। অধ্যাপক গোলাম আযমের নামাজে জানাজার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কষ্ট করে যারা এখানে হাজির হয়েছেন তাদের সবাইকে আমি, আমার মা ও পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনাদের মতো আমিও আজ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এখানে হাজির হয়েছি। তাই হয়তো গুছিয়ে কথা বলতে পারব না। আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দেবেন সে জন্য।
তিনি বলেন, আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় এক হাজার ১৬ দিন তালাবন্দী করে রাখা হয়েছে। এর প্রতিটি দিন আমার বাবার জন্য, আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য ছিল বেদনার। আমার পিতা সারা জীবন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দিন প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে গেছেন। এটাই ছিল তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। আপনারা অধ্যাপক গোলাম আযমকে ভালোবাসেন না। আপনারা ভালোবাসেন দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত একজন কর্মী গোলাম আযমকে। তার বিদায় মানে ইসলামি আন্দোলনের বিদায় নয়। এ দেশে আরো লাখো লাখো গোলাম আযম তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ যারা একদিন এ দেশের মাটিতে ইসলামের বিজয় পতাকা ওড়াবে। তার বক্তব্যের এ পর্যায়ে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ উচ্চস্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাদের সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, আমার বাবা কর্মজীবনে দেশের আনাচে-কানাচে সফর করেছেন। অনেকের সাথে কথা বলেছেন, কাজ করেছেন। এ সময় যদি তার নিজের অজান্তেও কোনো দিন কেউ কোনো কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহরওয়াস্তে, দয়া করে তাকে মাফ করে দেবেন। আমার বাবাকে আল্লাহ শহীদের মর্যাদা দান করুন, জান্নাতবাসী করুন। এ সময় উপস্থিত লাখো মানুষ সমস্বরে আমিন সুম্মা আমিন বলে ওঠেন।
আযমী বলেন, তার সঠিক মূল্যায়ন সে দিন হবে যে দিন এ দেশে দ্বীন বিজয়ী হবে। ইনশাআল্লাহ একদিন এ দেশে দ্বীন বিজয়ী হবে। জান্নাতে যেন আমার বাবার সাথে আমার দেখা হয় সেই দোয়া আপনারা করেন।
নামাজে জানাজা : নামাজে জানাজা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে ১টা ৫০ মিনিটের সময় নামাজে জানাজা শুরু হয়। নামাজে জানাজায় আমান আযমী যখন লম্বা সুরে আল্লাহু আকবর বলে হাত বাঁধেন তখনই মুসল্লিদের মধ্যে কান্না শুরু হয়। এরপর নামাজে জানাজার শেষ পর্যায়ে আমান আযমী দোয়া পড়ার সময় মাইকে তার গলাভাঙ্গা কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। তখন অনেকে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন।
ককটেল বিস্ফোরণ
অধ্যাপক গোলাম আযমের নামাজে জানাজা উপলক্ষে গতকাল বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা হয়। এতে সকালের দিকে সেখানে কিছুটা থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপর দৈনিক বাংলা মোড়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তখন আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং অনেকে ছোটাছুটি শুরু করেন। আগত মুসল্লিরা অভিযোগ করেছেন আতঙ্ক সৃষ্টি ও বেশি মানুষ যাতে এখানে জড়ো হতে না পারেন সে জন্য পরিকল্পিতভাবে এখানে ককটেল ফোটানো হয়েছে। কে বা কারা এ ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
ভিসা জটিলতায় অংশ নিতে পারেননি অনেকে : অধ্যাপক গোলাম আযমের ছয় ছেলের মধ্যে পাঁচজন বিদেশে থাকেন। তাদের মধ্যে চারজনই সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। অধ্যাপক গোলাম আযমের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে তারা সবাই যুক্তরাজ্য থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাবার নামাজে জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য ঢাকায় আসতে চাইলেও ভিসা জটিলতায় আসতে পারেননি। ফলে চার ছেলের কেউই যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসতে পারেননি। এ ছাড়া সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাসরত অধ্যাপক গোলাম আযমের বড় ছেলেও দেশে আসতে পারেননি।
অপর দিকে অধ্যাপক গোলাম আযমের নামাজে জানাজায় অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলামি আন্দোলনের অনেক নেতা বাংলাদেশে আসতে চাইলেও ভিসা জটিলতায় আসতে পারেননি বলে জানিয়েছে সূত্র।
নামাজে জানাজায় উপস্থিত বিশিষ্টদের কয়েকজন : বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে নামাজে জানাজার জন্য নির্ধারিত স্থানে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি হাজির হন এবং নামাজে জানাজায় অংশ নেন। এ ছাড়া মসজিদের ভেতরে ও বাইরে লাখো মুসল্লির সাথেও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
মসজিদের ভেতরে নামাজে জানাজার জন্য নির্ধারিত স্থানে নামাজে অংশ নেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমির এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন, বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ কামালউদ্দিন জাফরী, অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদিন ও মোফাজ্জল হোসাইন খান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, মুসলিম লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হক মজুমদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসাহাক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফর উল্লাহ, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা: এ জেড এম জাহিদ, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস কাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, আইম্যা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আতাউর রহমান, ড. মঞ্জুরে এলাহী, মুফতি কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে নামাজে জানাজার নির্ধারিত স্থানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস কাবের সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ অংশ নেন।
জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে অংশ নেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ডা: আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এ টি এম মাসুম, তাসনীম আলম, সেলিম উদ্দিন, মতিউর রহমান আকন্দ, আইনজীবীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মুহম্মদ মনির, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, আবদুর রব, কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি আমিরুল ইসলাম, ডা: রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোবারক হোসাইন, রাজশাহী মহানগরীর জামায়াতে ইসলামীর আমির আতাউর রহমান, বরিশাল মহানগরীর জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
লাশ বহন ও দাফন : নামাজে জানাজা শেষে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কয়েকজন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক গোলাম আযমের লাশ বহন করে মসজিদের বাইরে গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যান। সাবেক শিবির সভাপতিদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, মতিউর রহমান আকন্দ, মুজিবুর রহমান মঞ্জু, সেলিম উদ্দিন, জাহিদুর রহমান ও ডা: রেজাউল করিম। তাদের সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী এবং অন্য লোকজনও লাশ বহনে অংশ নেন। লাশ গাড়িতে ওঠানোর পর হাজার হাজার মানুষ হেঁটে মগবাজার পর্যন্ত যান। তখন তা বিশাল এক শোক মিছিলে পরিণত হয়। এ ছাড়া দুপুরে মগবাজার থেকে লাশ গাড়িতে করে বায়তুল মোকাররমে আনার সময়ও হাজার হাজার মানুষ গাড়ির সাথে সাথে হেঁটে বায়তুল মোকাররম মসজিদ পর্যন্ত আসেন। নামাজে জানাজা শেষে লাশ মগবাজার নিয়ে যাওয়ার পর কাজী অফিস লেনের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সম্পন্ন হয় দাফন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন : অধ্যাপক গোলাম আযমের ভাগ্নিজামাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও এক সময় বাংলাদেশ বেতারের ইসলামি অনুষ্ঠানের ভাষ্যকার মোফাজ্জল হোসাইন খান সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নামাজে জানাজা শেষে। মসজিদের মাইক থেকে তিনি নামাজে জানাজায় সহায়তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্য এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানান।

No comments

Powered by Blogger.