ব্রাজিলে কিশোরীদের অবাধ যৌনাচার, আয় ৫০০ কোটি ডলার!
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগরী
ফরটালেজা। সমুদ্র উপকূলবেষ্টিত এ নগরীতে আছে সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ। এ
কারণে পৃথিবীর সব পর্যটকের আকর্ষণ এখন ফরটালেজা ঘিরে। তা ছাড়া এমন সুন্দর
নগরীতে ‘হুর পরির’ অভাব নেই। তাই লালসা ও কামনায় কাতর মানুষ সারা পৃথিবী
থেকে ছুটে আসছেন এই নগরীতে।
টনা রে উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণী। তরুণী বললেও ভুল বলা হবে, বরং কিশোরী বলা চলে তাকে। মাত্র ১৩ বছর বয়স। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন পার্কে সেজেগুজে ঘুরে বেড়ায়। পুরুষের মনোরঞ্জনে নিজেকে সঁপে দেয়। এভাবেই ব্রাজিলে চলছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের অবাধ যৌনাচার।
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র চার মাস বাকি। সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছে ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বকাপের আগেই ব্রাজিলে শিশুদের নিয়ে যৌন ব্যাবসায়ে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর দালাল। তাদের মূল ব্যাবসায় পরিণত হয়েছে দেহব্যবসা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত চার মাসে ফরটালেজা নগরীতে দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন। তারা কিশোরীদের সঙ্গে আনন্দ-ফুর্তিতে সময় কাটাচ্ছেন। অবাধ এ যৌন ব্যবসায়ে এ পর্যন্ত তাদের আয় হয়েছে ৫০০ কোটি ডলার।
নান্দনিক, আকর্ষণীয় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসবে ১২ জুন। দিনক্ষণ হিসাবে একেবারে চার মাস বা ১২০ দিন বাকি রয়েছে। তার আগেই বিশ্বকাপ আর সুন্দরী তরুণী এক এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। কনফেডারেশন কাপ চলাকালীন হাজার হাজার পর্যটক এসেছেন এখানে। তারা কিশোরী ও তরুণীদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করছেন। কিশোরী যৌনকর্মীদের নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
ফরটালেজা নগরীর স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণেই ইতিমধ্যে এ নগরীর প্রধান অকর্ষণ হয়ে উঠেছে সুন্দরী কিশোরী-তরুণীরা। ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের কেউই কিশোরী ও তরুণীদের অবাধ যৌন ব্যবসাকে কোনো অপরাধ বলে মনে করেন না । মানবাধিকার সংস্থার মহাপরিচালিকা লিনা রেজিয়া ফেবিয়া বলেন, কিশোরী ও তরুণীদের নিয়ে অবাধ যৌনাচার চলছে। তাদের প্রতারিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে, বিশ্বকাপের আগে পর্যটকদের মনোরঞ্জনে এ ব্যবসা চলছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, কনফেডারেশন কাপ থেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের নিয়ে চলছে অবাধ যৌন ব্যবসা। বলা হচ্ছে, ৫০০ কোটি ডলার আয় হয়েছে । বাস্তবে তা আরো বেশি। রাজস্ব ফাঁকি দিতেই আয় কমিয়ে দেখানো হচ্ছে।
বহু তরুণী সন্ধ্যার পর সেজেগুজে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুরুষের আকর্ষণের চেষ্টায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে। তারা দামদর মিটিয়ে অজানা পুরুষের মনোরঞ্জনে হোটেলে চলে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, যে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী ও তরুণী সারা রাত পুরুষকে আনন্দ দিল, সে খুব বেশি হলে ব্রাজিলের মুদ্রায় ৩০ রিল (১২ ডলার) পায়। বাকি অর্থ দালাল, মাস্তান আর ফড়িয়ারা লুটে নেয়।
শিশু, কিশোরী এবং তরুণীদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এবং তাদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার স্বার্থে জাতীয় শিশু-কিশোর অপরাধ দমন ফোরাম বলেছে, ব্রাজিলে ৫ লাখ শিশু যৌনকর্মী রয়েছে। ফরটালেজা নগরীতে ২০০৯ সালে শিশু যৌনকর্মী ছিল ১৯৩ জন। আশ্চর্যের বিষয়, পাঁচ বছরে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২২-এ।
এ নগরীতে এত শিশু যৌনকর্মী কেন? এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অবাধ যৌনাচারের জন্য নিয়মনীতির কোনো বালাই নেই। এতে কোনো সমস্যা নেই তাদের।
উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে আবহাওয়া ও পরিবেশ খুবই সুন্দর। তার চেয়েও বড় কথা, অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যপীড়িত।
অভাবের তাড়নায় এবং ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে বহু অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী পতিতাবৃত্তিতে নাম লেখায়। এতে পরিবারের পূর্ণ সমর্থনও রয়েছে। উপরন্তু ফরটালেজা দিনকে দিন যৌনকর্মীদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থার পরিচালিকা জ্যাকিনা রডরিগেজ বলেন, তরুণী যৌনকর্মীতে ভরে গেছে পুরো শহর। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পুরো নগরী যেন যৌনপল্লিতে পরিণত হতে চলেছে। বিশ্বকাপ যখন শুরু হবে তখন আরো দর্শক আসবেন, বিদেশি অতিথিতে ভরে যাবে। বিদেশি অতিথিরা যৌনকর্মীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠবেন। কোনো সন্দেহ নেই প্রচুর অর্থ উপার্জিত হবে।
জ্যাকিনা রডরিগেজ বলেন, ‘জ্যাকুলিনো কুবেতসেক এলাকার নিষিদ্ধ পল্লিতে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, সেখানে ১৭ বছরের কম বয়সী তরুণীই যৌনকর্মে নিয়োজিত রয়েছে। তারা টাইট শার্ট এবং শর্টস পরে দাঁড়িয়ে থাকে এবং পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে।’
অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণীদের যৌনকর্মে লিপ্ত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ । প্রশ্ন হচ্ছে, অপরাধীকে শাস্তি দেবে কে? রাষ্ট্র আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেয় না। শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের যৌনকর্মে লিপ্ত করা বড় ধরনের অনৈতিকতার শামিল এবং তাদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ অপকর্মটি যারা করে, তারা কিশোরীদের এমনভাবে পোশাক পরায় এবং প্রসাধনী দিয়ে সাজায়, তাতে দেখে মনে হয় তারা প্রাপ্তবয়স্ক। ফলে পুলিশও তাকে কিছু বলতে পারে না ।
বিশ্বকাপে অবাধ যৌনাচার, বিশেষ করে শিশু ও কিশোরীদের দিয়ে যৌন অপরাধ যাতে না হয়, সেজন্য ফিফা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে- এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, এ বিষয়ে ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ কতটা আন্তরিক তা নিশ্চিত নয় ফিফা। দেশটিতে বিশ্বকাপের সময় অবাধ যৌনাচার এবং বিদেশি পর্যটকের মনোযোগ আকর্ষণ করে ২ হাজার কোটি ডলার আয় করবে, এমন প্রত্যাশা করছে দেশটির সরকার।
টনা রে উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণী। তরুণী বললেও ভুল বলা হবে, বরং কিশোরী বলা চলে তাকে। মাত্র ১৩ বছর বয়স। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন পার্কে সেজেগুজে ঘুরে বেড়ায়। পুরুষের মনোরঞ্জনে নিজেকে সঁপে দেয়। এভাবেই ব্রাজিলে চলছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের অবাধ যৌনাচার।
বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র চার মাস বাকি। সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছে ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বকাপের আগেই ব্রাজিলে শিশুদের নিয়ে যৌন ব্যাবসায়ে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর দালাল। তাদের মূল ব্যাবসায় পরিণত হয়েছে দেহব্যবসা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত চার মাসে ফরটালেজা নগরীতে দেশি-বিদেশি লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন। তারা কিশোরীদের সঙ্গে আনন্দ-ফুর্তিতে সময় কাটাচ্ছেন। অবাধ এ যৌন ব্যবসায়ে এ পর্যন্ত তাদের আয় হয়েছে ৫০০ কোটি ডলার।
নান্দনিক, আকর্ষণীয় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসবে ১২ জুন। দিনক্ষণ হিসাবে একেবারে চার মাস বা ১২০ দিন বাকি রয়েছে। তার আগেই বিশ্বকাপ আর সুন্দরী তরুণী এক এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। কনফেডারেশন কাপ চলাকালীন হাজার হাজার পর্যটক এসেছেন এখানে। তারা কিশোরী ও তরুণীদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করছেন। কিশোরী যৌনকর্মীদের নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
ফরটালেজা নগরীর স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণেই ইতিমধ্যে এ নগরীর প্রধান অকর্ষণ হয়ে উঠেছে সুন্দরী কিশোরী-তরুণীরা। ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের কেউই কিশোরী ও তরুণীদের অবাধ যৌন ব্যবসাকে কোনো অপরাধ বলে মনে করেন না । মানবাধিকার সংস্থার মহাপরিচালিকা লিনা রেজিয়া ফেবিয়া বলেন, কিশোরী ও তরুণীদের নিয়ে অবাধ যৌনাচার চলছে। তাদের প্রতারিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে, বিশ্বকাপের আগে পর্যটকদের মনোরঞ্জনে এ ব্যবসা চলছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, কনফেডারেশন কাপ থেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের নিয়ে চলছে অবাধ যৌন ব্যবসা। বলা হচ্ছে, ৫০০ কোটি ডলার আয় হয়েছে । বাস্তবে তা আরো বেশি। রাজস্ব ফাঁকি দিতেই আয় কমিয়ে দেখানো হচ্ছে।
বহু তরুণী সন্ধ্যার পর সেজেগুজে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুরুষের আকর্ষণের চেষ্টায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে। তারা দামদর মিটিয়ে অজানা পুরুষের মনোরঞ্জনে হোটেলে চলে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, যে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী ও তরুণী সারা রাত পুরুষকে আনন্দ দিল, সে খুব বেশি হলে ব্রাজিলের মুদ্রায় ৩০ রিল (১২ ডলার) পায়। বাকি অর্থ দালাল, মাস্তান আর ফড়িয়ারা লুটে নেয়।
শিশু, কিশোরী এবং তরুণীদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এবং তাদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার স্বার্থে জাতীয় শিশু-কিশোর অপরাধ দমন ফোরাম বলেছে, ব্রাজিলে ৫ লাখ শিশু যৌনকর্মী রয়েছে। ফরটালেজা নগরীতে ২০০৯ সালে শিশু যৌনকর্মী ছিল ১৯৩ জন। আশ্চর্যের বিষয়, পাঁচ বছরে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২২-এ।
এ নগরীতে এত শিশু যৌনকর্মী কেন? এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অবাধ যৌনাচারের জন্য নিয়মনীতির কোনো বালাই নেই। এতে কোনো সমস্যা নেই তাদের।
উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে আবহাওয়া ও পরিবেশ খুবই সুন্দর। তার চেয়েও বড় কথা, অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যপীড়িত।
অভাবের তাড়নায় এবং ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে বহু অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী পতিতাবৃত্তিতে নাম লেখায়। এতে পরিবারের পূর্ণ সমর্থনও রয়েছে। উপরন্তু ফরটালেজা দিনকে দিন যৌনকর্মীদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থার পরিচালিকা জ্যাকিনা রডরিগেজ বলেন, তরুণী যৌনকর্মীতে ভরে গেছে পুরো শহর। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পুরো নগরী যেন যৌনপল্লিতে পরিণত হতে চলেছে। বিশ্বকাপ যখন শুরু হবে তখন আরো দর্শক আসবেন, বিদেশি অতিথিতে ভরে যাবে। বিদেশি অতিথিরা যৌনকর্মীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠবেন। কোনো সন্দেহ নেই প্রচুর অর্থ উপার্জিত হবে।
জ্যাকিনা রডরিগেজ বলেন, ‘জ্যাকুলিনো কুবেতসেক এলাকার নিষিদ্ধ পল্লিতে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, সেখানে ১৭ বছরের কম বয়সী তরুণীই যৌনকর্মে নিয়োজিত রয়েছে। তারা টাইট শার্ট এবং শর্টস পরে দাঁড়িয়ে থাকে এবং পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে।’
অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণীদের যৌনকর্মে লিপ্ত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ । প্রশ্ন হচ্ছে, অপরাধীকে শাস্তি দেবে কে? রাষ্ট্র আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেয় না। শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের যৌনকর্মে লিপ্ত করা বড় ধরনের অনৈতিকতার শামিল এবং তাদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ অপকর্মটি যারা করে, তারা কিশোরীদের এমনভাবে পোশাক পরায় এবং প্রসাধনী দিয়ে সাজায়, তাতে দেখে মনে হয় তারা প্রাপ্তবয়স্ক। ফলে পুলিশও তাকে কিছু বলতে পারে না ।
বিশ্বকাপে অবাধ যৌনাচার, বিশেষ করে শিশু ও কিশোরীদের দিয়ে যৌন অপরাধ যাতে না হয়, সেজন্য ফিফা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে- এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, এ বিষয়ে ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ কতটা আন্তরিক তা নিশ্চিত নয় ফিফা। দেশটিতে বিশ্বকাপের সময় অবাধ যৌনাচার এবং বিদেশি পর্যটকের মনোযোগ আকর্ষণ করে ২ হাজার কোটি ডলার আয় করবে, এমন প্রত্যাশা করছে দেশটির সরকার।
No comments