রেলে নাশকতার তদন্তে গতি নেই by নাহিদ তন্ময়
(জড়িতরা ধরাছোঁয়ার বাইরে)
রেললাইনে নাশকতার বিষয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। একের পর এক নাশকতার ঘটনা
ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে জড়িতরা। এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার
তদন্তেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। চিহ্নিত করা যায়নি নাশকতাকারীদের।
তদন্তসংশ্লিষ্ট রেল পুলিশের সদস্যরা বলেন, রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই
অধিকাংশ সদস্য ব্যস্ত থাকছেন। এ কারণে মামলার তদন্তে তারা মনোযোগী হতে
পারছেন না। রেল পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা অবশ্য বলছেন, নাশকতাগুলো রাজনৈতিক
কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হওয়ার কারণে চার্জশিটে এর প্রভাব পড়বে। এ মুহূর্তে
রেলে নাশকতার মামলার চার্জশিট দেওয়া হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এলাকার
বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আসামি করতে হবে। পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি
পরিবর্তন হলে মামলার বিচারকাজ চলার সময়ে এর প্রভাব পড়বে। এ কারণে তদন্ত
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নানান অজুহাতে মামলা তদন্তে ঢিলেমি করছেন এবং চার্জশিট
দাখিলে সময়ক্ষেপণ করছেন।
গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় হওয়ার পর থেকেই রেললাইন উপড়ে ফেলা, কোচ ও ইঞ্জিনে আগুন দেওয়াসহ নাশকতা শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ১০ মাসে প্রায় আড়াইশ' নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে দুই শতাধিক। তবে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। গত ৮ মাসে ঘটে যাওয়া এসব নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত কোনো মামলারই অভিযোগপত্র দাখিল করেনি রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেছেন, মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানের রেললাইনে নাশকতার ঘটনায় ৬২টি মামলা হয়। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬৯ জনকে। এর মধ্যে ১৫০ জন সন্দেহভাজন। বাকি ১৯ জনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ। জানা গেছে, গত দুই মাসের নাশকতার এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর এজাহারে ৩৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার জন। রেলওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ধারণা করছেন, এসব ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতায় জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলেও রেলওয়ে পুলিশ দাবি করছে। এছাড়া নির্দেশদাতা হিসেবেও অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে কারও নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রেলের নাশকতার ঘটনায় অধিকাংশ মামলাই তদন্ত করছেন রেলওয়ে থানা পুলিশ। পাশাপাশি ডিবিও কিছু মামলা তদন্ত করছে। জনবল সংকটসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত রেল পুলিশের পক্ষে এসব মামলার তদন্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, রেলওয়ের অধিকাংশ থানায় প্রয়োজনীয় জনবল নেই। নেই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথক কোনো কক্ষ। এ কারণে সন্দেহভাজন কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয় না। ফলে মামলা তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছু করার থাকে রেল পুলিশের পক্ষে। রেলওয়ের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব সমস্যার কথা জানলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। এছাড়া রেল পুলিশের তেমন কোনো লজিস্টিক সাপোর্টও নেই। নিয়মিত কাজের ফাঁকে ফাঁকেই তাদের মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালাতে হয়।
গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইমামবাড়ি রেলস্টেশনে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া রেলপথ অবরোধ করতে নেতাকর্মীরা দুটি স্থানের প্রায় ৩ হাজার ফুট রেললাইন উপড়ে ফেলে। ঘটনার দু'দিন পর ২৮ নভেম্বর আখাউড়া রেলওয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া এ নাশকতার সঙ্গে জড়িতদেরও সনাক্ত করতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, মামলা দুটির তদন্ত চলছে। আসামিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর যে কোনো সময়ে সারদা স্টেশনের দেড় কিলোমিটার পূর্বে নন্দনগাছিতে দুর্বৃত্তরা রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে স্লিপার তুলে রাখে। রাত পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ওই স্থানে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরও এখনও শনাক্ত করতে পারেনি রেলওয়ে পুলিশ। গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চড়াইকোল রেলস্টেশনে রাজবাড়ী থেকে আসা পোড়াদহগামী শাটল ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নির্দেশে তারা ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ট্রেনে নাশকতার সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রেললাইনের সবচেয়ে বেশি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাট ও চাঁদপুর, গাইবান্ধার বোনারপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, জামালপুর, ঈশ্বরদী, সান্তাহার, লাকসাম, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ভৈরব রেলওয়ে থানা এলাকায়। এসব এলাকার অধিকাংশ নাশকতাকারীই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয় গেছে। রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে রেলের মোট ক্ষতির পরিমাণ ৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধে রেলওয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা।
গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় হওয়ার পর থেকেই রেললাইন উপড়ে ফেলা, কোচ ও ইঞ্জিনে আগুন দেওয়াসহ নাশকতা শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ১০ মাসে প্রায় আড়াইশ' নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে দুই শতাধিক। তবে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। গত ৮ মাসে ঘটে যাওয়া এসব নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত কোনো মামলারই অভিযোগপত্র দাখিল করেনি রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেছেন, মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানের রেললাইনে নাশকতার ঘটনায় ৬২টি মামলা হয়। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬৯ জনকে। এর মধ্যে ১৫০ জন সন্দেহভাজন। বাকি ১৯ জনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ। জানা গেছে, গত দুই মাসের নাশকতার এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর এজাহারে ৩৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার জন। রেলওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ধারণা করছেন, এসব ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতায় জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলেও রেলওয়ে পুলিশ দাবি করছে। এছাড়া নির্দেশদাতা হিসেবেও অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে কারও নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রেলের নাশকতার ঘটনায় অধিকাংশ মামলাই তদন্ত করছেন রেলওয়ে থানা পুলিশ। পাশাপাশি ডিবিও কিছু মামলা তদন্ত করছে। জনবল সংকটসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত রেল পুলিশের পক্ষে এসব মামলার তদন্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, রেলওয়ের অধিকাংশ থানায় প্রয়োজনীয় জনবল নেই। নেই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথক কোনো কক্ষ। এ কারণে সন্দেহভাজন কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয় না। ফলে মামলা তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছু করার থাকে রেল পুলিশের পক্ষে। রেলওয়ের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব সমস্যার কথা জানলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। এছাড়া রেল পুলিশের তেমন কোনো লজিস্টিক সাপোর্টও নেই। নিয়মিত কাজের ফাঁকে ফাঁকেই তাদের মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালাতে হয়।
গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইমামবাড়ি রেলস্টেশনে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া রেলপথ অবরোধ করতে নেতাকর্মীরা দুটি স্থানের প্রায় ৩ হাজার ফুট রেললাইন উপড়ে ফেলে। ঘটনার দু'দিন পর ২৮ নভেম্বর আখাউড়া রেলওয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া এ নাশকতার সঙ্গে জড়িতদেরও সনাক্ত করতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, মামলা দুটির তদন্ত চলছে। আসামিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর যে কোনো সময়ে সারদা স্টেশনের দেড় কিলোমিটার পূর্বে নন্দনগাছিতে দুর্বৃত্তরা রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে স্লিপার তুলে রাখে। রাত পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ওই স্থানে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরও এখনও শনাক্ত করতে পারেনি রেলওয়ে পুলিশ। গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চড়াইকোল রেলস্টেশনে রাজবাড়ী থেকে আসা পোড়াদহগামী শাটল ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নির্দেশে তারা ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ট্রেনে নাশকতার সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রেললাইনের সবচেয়ে বেশি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাট ও চাঁদপুর, গাইবান্ধার বোনারপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, জামালপুর, ঈশ্বরদী, সান্তাহার, লাকসাম, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ভৈরব রেলওয়ে থানা এলাকায়। এসব এলাকার অধিকাংশ নাশকতাকারীই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয় গেছে। রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে রেলের মোট ক্ষতির পরিমাণ ৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধে রেলওয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা।
No comments