ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় খুন ফটোসাংবাদিক আফতাব
গাড়িচালকসহ গ্রেফতার ৫ |
ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় প্রবীণ আলোকচিত্র
সাংবাদিক আফতাব আহমদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল
নিহতের গাড়িচালক হুমায়ুন কবীর মোল্লাসহ মোট সাতজন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলো গাড়িচালক হুমায়ুন কবীর, বেল্লাল হোসেন
কিসলু, হাবীব হাওলাদার, সবুজ ও রাজু। রোববার রাতে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে
তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা
স্বীকার করেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়
রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার বাসায় একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্র সাংবাদিক আফতাব
আহমদকে হত্যা করা হয়। পরদিন ওই বাসা থেকে তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে
পুলিশ। হত্যাকা ের পর থেকেই গাড়িচালক হুমায়ুন পলাতক ছিল। হত্যায়
জড়িতদের গ্রেফতারের পর গতকাল সোমবার র্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের
আয়োজন করা হয়। এতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার
এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্তে নেমে নিখোঁজ গাড়িচালক হুমায়ুন কবীরকে
হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে
তাকে গ্রেফতারে প্রথমে রাজধানীর আগারগাঁও বস্তিতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু
সেখানে হুমায়ুনকে শনাক্ত করা যায়নি। এ সুযোগে সে ঢাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা
করে। চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে সে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পেঁৗছলে
রোববার রাতে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের
ভিত্তিতে কিসলু ও হাবীবকে আগারগাঁওয়ের বিএনপি বস্তি এবং সবুজ ও রাজুকে
গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হুমায়ুন কবীর
হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। সাভারে মুদি দোকানি
আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় হুমায়ুন প্রধান আসামি। কয়েকবার তাকে জেলেও যেতে
হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা :র্যাব কর্মকর্তারা জানান, দুর্বৃত্তদের একজন কিসলু ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আফতাব আহমদকে ফোন করে তার বাসা ভাড়া নিতে চায়। সন্ধ্যায় বাসা ভাড়ার টাকা অগ্রিম দেওয়ার কথা বলে তারা বাসায় ঢোকে। কথোপকথনের একপর্যায়ে কিসলু আফতাব আহমদের কাঁধ চেপে ধরে টাকা-স্বর্ণালঙ্কারের খোঁজ জানতে চায়। বিপদ বুঝতে পেরে আফতাব চিৎকার করে ওঠেন। তখন তার মুখ চেপে ধরে কিসলু। হাবিব, সবুজ, রাজু ও রাসেল তার হাত-পা চেপে ধরে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা হলে আফতাব মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হুমায়ুন কবীর জানায়, সে রাজধানীর বউবাজার এলাকার একটি মেসে থাকে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ওই এলাকায় রাসেল, রাজু, হাবিবসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এ সময় হুমায়ুনের কাছে তার নিয়োগকর্তা আফতাব আহমদের কথাও তারা জানতে পারে। আফতাব একা থাকেন জেনে তারা ওই বাসায় ডাকাতির আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু হুমায়ুন রাজি হয়নি। এর মধ্যে একদিন হুমায়ুন তার গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা বলে আফতাব আহমদের কাছে টাকা চায়। আফতাব তাকে দুই হাজার টাকা বের করে দেন। তখন হুমায়ুন লক্ষ্য করে, আফতাবের কাছে অনেক টাকা রয়েছে। বিষয়টি সে তার অন্য সঙ্গীদের জানায়। এরপরই ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয়।
হুমায়ুন জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় তারা ছয়জন বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ভেতরে ঢোকে। এক সময় রাসেল, কিসলু, নিজাম ও রাজু আফতাবের গলা চেপে ধরে ও ফাঁস দেয়। তখন হুমায়ুন আফতাবের পা চেপে ধরে রাখে। একপর্যায়ে তারা জানতে চায়, টাকা কোথায় আছে? পরে চাবি দিয়ে আলমারি খুলে ৬৫ হাজার টাকা পেয়ে তা নিয়ে চলে যায়। এর মধ্যে হুমায়ুনকে ১০ হাজার টাকা ভাগ দেওয়া হয়। হুমায়ুনের দাবি, সাভারের হত্যাকাণ্ডে সে জড়িত ছিল না। হত্যায় জড়িতদের সঙ্গে একই মেসে থাকায় তাকে আসামি করা হয়।
কান্নায় ভেঙে পড়লেন বর্ণা : হুমায়ুনের বর্ণনার একপর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহতের মেয়ে আফরোজ আহমেদ বর্ণা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, 'আমার বাবাকে কেন মেরেছিস? বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ ছিল। এমনিতেও বেশিদিন বাঁচত না। টাকা নিয়ে চলে যেতে পারতি। কেন খুন করলি?'
হুমায়ুন উত্তর দেয়, 'আমি মারি নাই। রাসেল আর কিসলু মারছে।'
পরে আফরোজ আহমেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি কী অসহায় অবস্থায় বাবাকে ফেলে রেখেছিলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির কারণে আমি বাবার কাছে থাকতে পারতাম না। প্রতি বৃহস্পতিবার এসে আবার চলে যেতাম। ২৩ ডিসেম্বর বাবার জন্মদিন ছিল। তার পরদিনই...।'
তিনি বলেন, 'আমি চাই দোষী সবার বিচার হোক। কঠোর সাজা হোক। একজনও যেন বাঁচতে না পারে। আমি আর কিছু চাই না।' এটুকু বলে তিনি ফের কান্নায় ভেঙে পড়েন।
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা :র্যাব কর্মকর্তারা জানান, দুর্বৃত্তদের একজন কিসলু ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আফতাব আহমদকে ফোন করে তার বাসা ভাড়া নিতে চায়। সন্ধ্যায় বাসা ভাড়ার টাকা অগ্রিম দেওয়ার কথা বলে তারা বাসায় ঢোকে। কথোপকথনের একপর্যায়ে কিসলু আফতাব আহমদের কাঁধ চেপে ধরে টাকা-স্বর্ণালঙ্কারের খোঁজ জানতে চায়। বিপদ বুঝতে পেরে আফতাব চিৎকার করে ওঠেন। তখন তার মুখ চেপে ধরে কিসলু। হাবিব, সবুজ, রাজু ও রাসেল তার হাত-পা চেপে ধরে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা হলে আফতাব মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হুমায়ুন কবীর জানায়, সে রাজধানীর বউবাজার এলাকার একটি মেসে থাকে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ওই এলাকায় রাসেল, রাজু, হাবিবসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এ সময় হুমায়ুনের কাছে তার নিয়োগকর্তা আফতাব আহমদের কথাও তারা জানতে পারে। আফতাব একা থাকেন জেনে তারা ওই বাসায় ডাকাতির আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু হুমায়ুন রাজি হয়নি। এর মধ্যে একদিন হুমায়ুন তার গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠানোর কথা বলে আফতাব আহমদের কাছে টাকা চায়। আফতাব তাকে দুই হাজার টাকা বের করে দেন। তখন হুমায়ুন লক্ষ্য করে, আফতাবের কাছে অনেক টাকা রয়েছে। বিষয়টি সে তার অন্য সঙ্গীদের জানায়। এরপরই ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয়।
হুমায়ুন জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় তারা ছয়জন বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ভেতরে ঢোকে। এক সময় রাসেল, কিসলু, নিজাম ও রাজু আফতাবের গলা চেপে ধরে ও ফাঁস দেয়। তখন হুমায়ুন আফতাবের পা চেপে ধরে রাখে। একপর্যায়ে তারা জানতে চায়, টাকা কোথায় আছে? পরে চাবি দিয়ে আলমারি খুলে ৬৫ হাজার টাকা পেয়ে তা নিয়ে চলে যায়। এর মধ্যে হুমায়ুনকে ১০ হাজার টাকা ভাগ দেওয়া হয়। হুমায়ুনের দাবি, সাভারের হত্যাকাণ্ডে সে জড়িত ছিল না। হত্যায় জড়িতদের সঙ্গে একই মেসে থাকায় তাকে আসামি করা হয়।
কান্নায় ভেঙে পড়লেন বর্ণা : হুমায়ুনের বর্ণনার একপর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহতের মেয়ে আফরোজ আহমেদ বর্ণা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, 'আমার বাবাকে কেন মেরেছিস? বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ ছিল। এমনিতেও বেশিদিন বাঁচত না। টাকা নিয়ে চলে যেতে পারতি। কেন খুন করলি?'
হুমায়ুন উত্তর দেয়, 'আমি মারি নাই। রাসেল আর কিসলু মারছে।'
পরে আফরোজ আহমেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি কী অসহায় অবস্থায় বাবাকে ফেলে রেখেছিলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির কারণে আমি বাবার কাছে থাকতে পারতাম না। প্রতি বৃহস্পতিবার এসে আবার চলে যেতাম। ২৩ ডিসেম্বর বাবার জন্মদিন ছিল। তার পরদিনই...।'
তিনি বলেন, 'আমি চাই দোষী সবার বিচার হোক। কঠোর সাজা হোক। একজনও যেন বাঁচতে না পারে। আমি আর কিছু চাই না।' এটুকু বলে তিনি ফের কান্নায় ভেঙে পড়েন।
No comments