সহিংসতা পরিহারে বিএনপিকে পরামর্শ কূটনীতিকদের
আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও নাশকতা সম্পূর্ণ
পরিহার করতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের
রাষ্ট্রদূতরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে একটি হোটেলে ৩৪টি দেশের
কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এ পরামর্শ দেন তারা।
বৈঠক সূত্র এ তথ্য জানায়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে গত ৫ জানুয়ারির
'ভোটারবিহীন' নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হয়।
নির্বাচন-পরবর্তী সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার
সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলেও কূটনীতিকদের কাছে অভিমত ব্যক্ত করে বিএনপি।
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন
সরকার গঠনের পরদিন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণের সময় কেন্দ্রে ভোটারের অনুপস্থিতি, জাল
ভোট দেওয়া, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ভিডিওসহ তথ্যচিত্র কূটনীতিকদের দেওয়া
হয়। ভোটগ্রহণের এসব অনিয়ম ও ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের
বিষয়গুলোও বৈঠকে বিএনপি তুলে ধরে। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে
প্রকাশিত ভোট-সংক্রান্ত খবরও কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরে বিএনপি। জামায়াতের
সঙ্গে বিএনপির জোট কৌশলগত বলেও কূটনীতিকদের জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।
জামায়াতের সঙ্গে তাদের জোট স্থায়ী নয় এবং ইসলামী দলটির সঙ্গে বিএনপির
আদর্শগত কোনো মিল নেই বলেও জানান তারা। সময় হলেই জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের
বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন সিদ্ধান্ত নেবেন।
ওই বৈঠকের পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, দলের আমন্ত্রণে কূটনীতিকরা এসেছিলেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। শমসের মবিন জানান, বৈঠকে কূটনীতিকরা দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপিও আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান চায় বলে রাষ্ট্রদূতদের জানানো হয়েছে। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, কানাডার হাইকমিশনার হিদার ত্রুক্রডেন, জার্মানির রাষ্ট্র্রদূত আলব্রেখট খোনসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধান উইলিয়াম হানাসহ অন্তত ২৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ড্যান মজীনা সাংবাদিকদের বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনে তারা হতাশ হয়েছেন। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। বিএনপি অবরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে সংলাপ অনুষ্ঠানের পথ উন্মুক্ত হলো। এখন সরকারকে সংলাপের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি জানান, সহায়ক পরিবেশ বলতে বিরোধী দলের কার্যালয়ে যেতে বাধা না দেওয়া, নেতাদের মুক্তি দেওয়া, বিরোধী দলকে কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেওয়া বোঝায়। উইলিয়াম হানা বলেন, বিরোধী দল অবরোধ প্রত্যাহার করায় সংলাপের একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এখন সরকারেরই উচিত পরিবেশ তৈরি করা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চাইলে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার মধ্য দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নতুন একটি নির্বাচন হতে পারে।
ওই বৈঠকের পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, দলের আমন্ত্রণে কূটনীতিকরা এসেছিলেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। শমসের মবিন জানান, বৈঠকে কূটনীতিকরা দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপিও আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান চায় বলে রাষ্ট্রদূতদের জানানো হয়েছে। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, কানাডার হাইকমিশনার হিদার ত্রুক্রডেন, জার্মানির রাষ্ট্র্রদূত আলব্রেখট খোনসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধান উইলিয়াম হানাসহ অন্তত ২৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ড্যান মজীনা সাংবাদিকদের বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনে তারা হতাশ হয়েছেন। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। বিএনপি অবরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে সংলাপ অনুষ্ঠানের পথ উন্মুক্ত হলো। এখন সরকারকে সংলাপের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি জানান, সহায়ক পরিবেশ বলতে বিরোধী দলের কার্যালয়ে যেতে বাধা না দেওয়া, নেতাদের মুক্তি দেওয়া, বিরোধী দলকে কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেওয়া বোঝায়। উইলিয়াম হানা বলেন, বিরোধী দল অবরোধ প্রত্যাহার করায় সংলাপের একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এখন সরকারেরই উচিত পরিবেশ তৈরি করা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চাইলে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার মধ্য দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নতুন একটি নির্বাচন হতে পারে।
No comments