থাইল্যান্ডে গৃহযুদ্ধের আতংক
থাইল্যান্ডে সরকার পতনের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা। আর প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সমর্থকরা বিক্ষোভ করছেন ব্যাংককের প্রতিবেশী প্রদেশ উদন থানিতে। সেখানে হাজার হাজার রেড শার্ট আর্মি সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। এ অবস্থায় দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরুর আশংকা দেখা দিয়েছে। সরকারবিরোধী নেতা সুথেপ থাগসুবান বলেছেন, যদি এ আশংকা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। তবে এ নিয়ে তিনি সরকারের সঙ্গে কোনো মীমাংসায় যাবেন না বলেও জানান। বিরোধী নেতা বলেন, যদি গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তাহলে আমি এটা (আন্দোলন) ছেড়ে দেব। আমার কাছে জনগণের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যদি কেউ এ যুদ্ধ করতে উদ্যত হয় তাহলে আমি তাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলব। এদিকে সরকার দেশে আইন-শৃংখলা বজায় রাখতে সোমবার ৮ হাজার সৈন্য ছাড়াও ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করছে।
রাজধানী অচল কর্মসূচি : সমবেত হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা
থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ব্যাংকক ‘অচল’ করে দেয়ার সোমবারের কর্মসূচিকে সামনে রেখে রোববার জমায়েত হতে শুরু করেছে। সরকার পতন ও ২ ফেব্র“য়ারির মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রতিরোধের জন্য বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা ও তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে এবং সরকার ২ ফেব্র“য়ারি মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করতে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের রাজধানীতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তারা সোমবার নগরীর সাতটি স্থানে যানচলাচল রোধ করবে। বিক্ষোভকারীরা দেশ পরিচালনায় একটি ‘পিপলস কাউন্সিল’ নিয়োগ করতে চাচ্ছে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক এমপি ও বিক্ষোকারীদের নেতা সুথেপ থাগসুবান এ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম বলে আশা করছেন। তিনি শনিবার রাতে এক সমাবেশে বলেন, ‘১৩ জানুয়ারি সোমবার (আজ)
রাজধানী অচল কর্মসূচি : সমবেত হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা
থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ব্যাংকক ‘অচল’ করে দেয়ার সোমবারের কর্মসূচিকে সামনে রেখে রোববার জমায়েত হতে শুরু করেছে। সরকার পতন ও ২ ফেব্র“য়ারির মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রতিরোধের জন্য বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা ও তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে এবং সরকার ২ ফেব্র“য়ারি মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করতে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের রাজধানীতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তারা সোমবার নগরীর সাতটি স্থানে যানচলাচল রোধ করবে। বিক্ষোভকারীরা দেশ পরিচালনায় একটি ‘পিপলস কাউন্সিল’ নিয়োগ করতে চাচ্ছে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক এমপি ও বিক্ষোকারীদের নেতা সুথেপ থাগসুবান এ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম বলে আশা করছেন। তিনি শনিবার রাতে এক সমাবেশে বলেন, ‘১৩ জানুয়ারি সোমবার (আজ)
ব্যাংকক অচল করে দেয়ার কর্মসূচিতে প্রতিটি প্রদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক লোক অংশ নেবেন।’ ডেমোক্রেটিক পার্টি ২ ফেব্র“য়ারির নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা কথা ভেবে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হবে। মার্কিন দূতাবাসকে দুই সপ্তাহের খাবার, পানি ও ওষুধ মজুদ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের আশংকা : সরকার-সমর্থক রেড শার্ট গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা ব্যাংককের প্রতিবেশী প্রদেশ উদন থানিতে রোববার সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। আজ (সোমবার) সেখানে প্রায় ১০ হাজার সমর্থক জমায়েত হবেন। সাধারণ লোকজন আশংকা প্রকাশ করছেন, দেশে যদি এ রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলতে থাকে, সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে। শনিবার সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান ওচা সহিংসতার আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, আমি উভয়পক্ষকে চলমান সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানচ্ছি। আমরা সবাই থাই এবং সবরকমের ভিন্নতা সত্ত্বেও একসঙ্গে বাস করতে পারি। এদিকে ব্যাংকক অচল কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করেছে সরকারবিরোধীরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সহিংসতা বৃদ্ধির আশংকা প্রকাশ করেছে।
No comments