পাঁচ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সাংসদের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক by হকিকত জাহান হকি
দশম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে সাবেক মন্ত্রী,
প্রতিমন্ত্রী, সাংসদসহ পাঁচজনের হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের অনুসন্ধান
শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের তথ্য
সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অভিযোগ হিসেবে আমলে নিয়ে প্রথম
পর্যায়ে ওই পাঁচজনের সম্পদের হিসাব অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত ৬০
অভিযোগের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অন্যদের সম্পদের হিসাবও অনুসন্ধান করা হবে। যে
পাঁচজনের সম্পদ অনুসন্ধান করা হচ্ছে তারা হলেন_ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও
সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা, আশাশুনি ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাংসদ আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত
প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও
পটুয়াখালী-৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাংসদ মাহবুবুর রহমান,
কক্সবাজার-৪ আসনে নির্বাচিত সাংসদ আবদুর রহমান বদি ও রাজশাহী-৪ আসনে বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাংসদ এনামুল হক। দুদক জানায়, এই পাঁচজনের
হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদ যাচাইয়ের সঙ্গে তাদের দখলে থাকা সব ধরনের
স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অনুসন্ধান করা হবে। একই সঙ্গে ওই পাঁচজনের স্ত্রীসহ
পরিবারের সন্দেহভাজন পোষ্যদের সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখা হবে। ওই সব মন্ত্রী
ও সাংসদের দখলে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে শিগগিরই নোটিশ
পাঠানো হবে। নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের ঢাকায় দুদকের প্রধান
কার্যালয়ে সম্পদের হিসাব বিবরণী পেশ করতে হবে। পরে ওই হিসাব বিবরণী যাচাই
করে যাদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আ ফ ম রুহুল হক :গত পাঁচ বছরে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ইলা হকের ব্যাংক ব্যালান্স বেড়েছে ১৬৫ গুণ। একই সময়ে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের ব্যাংক ব্যালান্স বেড়েছে ১০ গুণ। পাঁচ বছর আগে নির্বাচনী মাঠে নামার সময় রুহুল হক ও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ছিল ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ১০৮ টাকা। এখন তাদের ব্যাংক ব্যালান্সের পরিমাণ ১০ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৩ টাকা। ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩০ টাকা। এখন আছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ২৪০ টাকা। এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে
বেড়েছে ১৬৫ গুণ। অন্যদিকে, রুহুল হকের ব্যাংক ব্যালান্স ২০০৮ সালে ছিল প্রায় ৮৮ লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আবদুল মান্নান খান :পাঁচ বছর আগেও সর্বসাকল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল তার নামে। এখন তা হয়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগে বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরই তার আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১০৭ গুণ। এ ছাড়া তিনি ধানম িতে দুটি ফ্ল্যাটের মালিক। হলফনামায় তিনি ফ্ল্যাট দুটির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৮১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া রয়েছে প্লটসহ অন্যান্য সম্পদ।
মাহবুুবুর রহমান :সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে তার হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ ছিল। গত পাঁচ বছরে ২০ একর জমির মালিক থেকে তিনি হয়েছেন ২ হাজার ৬৫ একর জমির মালিক। পাঁচ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ছাড়া কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকা স্ত্রীর নামে এখন রয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার সম্পদ। নিজের নামে রয়েছে ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ১১২ টাকার স্থাবর সম্পদ, যা পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭২ টাকা।
আবদুর রহমান বদি :হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের হিসাব অনুযায়ী আবদুর রহমান বদির আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। হলফনামায় বলা হয়, গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। তার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় ২ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছিলেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা।
এনামুল হক :২০০৮ সালে শুধু বেতন-ভাতা থেকে তার বছরে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর পর এখন কৃষি, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা ও পেশা থেকে বছরে তার আয় হয় ৫০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার পরিবারের পোষ্যদের ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা বার্ষিক আয় থাকলেও এবারের হলফনামায় পোষ্যদের কোনো আয়ের উৎস নেই বলে উল্লেখ করা হয়। তার নিজের, স্ত্রীর ও অন্যদের মোট ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাধারণ শেয়ার থেকে কোনো আয় নেই উল্লেখ করা হয় হলফনামায়। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকায়। নিজ নামে ব্যাংকে আছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৯১ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা।
আ ফ ম রুহুল হক :গত পাঁচ বছরে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্ত্রী ইলা হকের ব্যাংক ব্যালান্স বেড়েছে ১৬৫ গুণ। একই সময়ে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের ব্যাংক ব্যালান্স বেড়েছে ১০ গুণ। পাঁচ বছর আগে নির্বাচনী মাঠে নামার সময় রুহুল হক ও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ছিল ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ১০৮ টাকা। এখন তাদের ব্যাংক ব্যালান্সের পরিমাণ ১০ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৩ টাকা। ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩০ টাকা। এখন আছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ২৪০ টাকা। এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে
বেড়েছে ১৬৫ গুণ। অন্যদিকে, রুহুল হকের ব্যাংক ব্যালান্স ২০০৮ সালে ছিল প্রায় ৮৮ লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আবদুল মান্নান খান :পাঁচ বছর আগেও সর্বসাকল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল তার নামে। এখন তা হয়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগে বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরই তার আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১০৭ গুণ। এ ছাড়া তিনি ধানম িতে দুটি ফ্ল্যাটের মালিক। হলফনামায় তিনি ফ্ল্যাট দুটির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৮১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া রয়েছে প্লটসহ অন্যান্য সম্পদ।
মাহবুুবুর রহমান :সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে তার হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ ছিল। গত পাঁচ বছরে ২০ একর জমির মালিক থেকে তিনি হয়েছেন ২ হাজার ৬৫ একর জমির মালিক। পাঁচ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ছাড়া কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকা স্ত্রীর নামে এখন রয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার সম্পদ। নিজের নামে রয়েছে ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ১১২ টাকার স্থাবর সম্পদ, যা পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭২ টাকা।
আবদুর রহমান বদি :হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের হিসাব অনুযায়ী আবদুর রহমান বদির আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। হলফনামায় বলা হয়, গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। তার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় ২ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছিলেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা।
এনামুল হক :২০০৮ সালে শুধু বেতন-ভাতা থেকে তার বছরে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর পর এখন কৃষি, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা ও পেশা থেকে বছরে তার আয় হয় ৫০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার পরিবারের পোষ্যদের ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা বার্ষিক আয় থাকলেও এবারের হলফনামায় পোষ্যদের কোনো আয়ের উৎস নেই বলে উল্লেখ করা হয়। তার নিজের, স্ত্রীর ও অন্যদের মোট ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাধারণ শেয়ার থেকে কোনো আয় নেই উল্লেখ করা হয় হলফনামায়। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে থাকা ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকায়। নিজ নামে ব্যাংকে আছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৯১ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা।
No comments