অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিন
অবশেষে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ
রোববারের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলো। এটা আসলে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে চরম
জুয়াচুরি। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ ১৮ দল
নির্বাচন বয়কট করে। সংসদীয় ৩০০ আসনের মধ্যে অর্ধেকেরও কম আসনে ভোট হয়েছে।
আর এতে ভোট পড়েছে অত্যন্ত কম_ ২০ শতাংশের মতো। সহিংসতার কারণে ইতিমধ্যেই
অনেকে হতাহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি
মেনে না নেওয়ায় তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। অথচ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যই এই
অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এ কারণে ১৯৯১ সাল থেকে
নির্বাচনগুলো কমবেশি স্বচ্ছ হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করে এ
ব্যবস্থা বাতিল করে দেন। প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রগুলোয় শক্তিশালী সাংবিধানিক
প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে সেখানে এ ধরনের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থার
প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যেখানে ১৯৭১ সালের পর
থেকে বেশ কয়েকবার সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে এ ধরনের একটি
অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি। অতঃপর কী_
এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ১২৭টি
আসনে বিজয়ী হয়ে গেছে, তখন এটাকে কারা গ্রহণ করতে পারে? বিরোধীদলীয় নেতা
খালেদা জিয়া গোটা প্রক্রিয়াটিকেই 'কলঙ্কজনক জুয়াচুরি' বলে অভিহিত করেছেন
এবং নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তার দাবির
নৈতিক ভিত্তি রয়েছে এবং তার সঙ্গে আরও ১৭টি রাজনৈতিক দলও রয়েছে।
শেখ হাসিনা এখন বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে। তিনি যদি আপস-মীমাংসার পথ না নেন ও রোববারের নির্বাচনী তামাশার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে সচেষ্ট থাকেন, তাহলে এটা তার জন্য ভালো হবে না। কারণ আন্তর্জাতিক মহলের সমবেদনা রয়েছে এমন ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের সামনাসামনি হওয়ার মতো নৈতিক সাহস তার থাকবে না। যদি সহিংসতা অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনিচ্ছা সত্ত্বেও আবার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান সংকট পাকিস্তানের ১৯৭৭ সালের সংকটের কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। তখন নির্বাচনে কারসাজিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং ১১ বছর দেশ শাসন করে। আওয়ামী লীগ নেত্রী যদি তার দেশকে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের হাতে তুলে দিতে না চান, তাহলে তার বিবেচনাবোধ ফিরতেই হবে। এ জন্য তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ভাষান্তর :সুভাষ সাহা
শেখ হাসিনা এখন বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে। তিনি যদি আপস-মীমাংসার পথ না নেন ও রোববারের নির্বাচনী তামাশার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে সচেষ্ট থাকেন, তাহলে এটা তার জন্য ভালো হবে না। কারণ আন্তর্জাতিক মহলের সমবেদনা রয়েছে এমন ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের সামনাসামনি হওয়ার মতো নৈতিক সাহস তার থাকবে না। যদি সহিংসতা অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনিচ্ছা সত্ত্বেও আবার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান সংকট পাকিস্তানের ১৯৭৭ সালের সংকটের কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। তখন নির্বাচনে কারসাজিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং ১১ বছর দেশ শাসন করে। আওয়ামী লীগ নেত্রী যদি তার দেশকে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের হাতে তুলে দিতে না চান, তাহলে তার বিবেচনাবোধ ফিরতেই হবে। এ জন্য তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ভাষান্তর :সুভাষ সাহা
No comments