দিনাজপুরে ৭০০, অভয়নগরে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভোট দিতে যাওয়ায় দিনাজপুরে হিন্দু
সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর, অগি্নসংযোগ, লুট এবং
লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
করেছে পুলিশ। এসব সহিংসতার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন
করা হয়েছে। এলাকার নিরাপত্তা জোরদারে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ
ক্যাম্প। এদিকে যশোরের নওয়াপাড়ায় হামলার ঘটনায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫০
জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৫ জনকে। নির্বাচনবিরোধীরা রোববার
দিনাজপুর সদর উপজেলার কর্ণাই গ্রামের বৈদ্যনাথপাড়া, স্কুলপাড়া, তেলীপাড়া,
হাজীপাড়া ও প্রীতমপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময়
পাঁচ-ছয়শ' লোক রাজকুমার রায়, দীপক রায়, শিবু রায়, রতন রায়ের বাড়িসহ
বিভিন্ন বাড়িতে অগি্নসংযোগ, মন্দিরে হামলা ও দোকান লুট করে। লাঠিসোটা ও
দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাণ্ডবলীলা চালায় তারা। এ ঘটনায় সোমবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৬০ জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি আলতাফ হোসেন জানান, এরই মধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর মধ্যে কম্বল ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর বই পুড়ে গেছে, তাদের বই বিতরণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভীতি কাটাতে সেখানে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা রানী সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তদারকির জন্য।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু রায়হান মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির দুই সদস্য হলেন_ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্পনারায়ণ।
মালোপাড়ায় আতঙ্ক কাটেনি
এদিকে জামায়াত-বিএনপির তাণ্ডবের ঘটনায় অভয়নগরের মালোপাড়ার বাসিন্দারা ঘরে ফিরলেও তাদের আতঙ্ক কাটেনি। ঘটনার পর থেকে পাড়াটিতে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে ১০ জন পুলিশের একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অভয়নগর থানার উপ-পরিদর্শক মহাসিন হাওলাদার বাদী হয়ে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২শ' থেকে আড়াইশ' জনকে আসামি করে মামলা করেছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো_ আবু সাঈদ, রবিউল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, হাদিউজ্জামান কানন এবং মোহাম্মদ আলী মোল্যা। সবার বাড়ি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। মঙ্গলবার অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২ টন চাল ও ১ লাখ টাকা বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া যশোর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একদিনের বেতন বাবদ ৩ লাখ টাকা যার ১ লাখ টাকা গতকাল দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ লাখ টাকা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। যশোর সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ১০০ কম্বল বিতরণ করেছেন।
অভয়নগর উপজেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল বলেন, 'অভয়নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে যা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।'
যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র বলেন, 'ছয়জন অফিসারসহ ৫৬ জন পুলিশ নিয়ে অপারেশনাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার না করা এবং মালোপাড়ার বাসিন্দাদের ভীতি দূর না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হবে না।'
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চার লাখ টাকা, দুই টন চাল ও ৩০ বান্ডিল টিন বরাদ্দ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ও দোকান পুনর্নিমাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ পাঁচ মন্ত্রী বিষয়টি মনিটর করছেন।'
দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি আলতাফ হোসেন জানান, এরই মধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর মধ্যে কম্বল ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর বই পুড়ে গেছে, তাদের বই বিতরণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভীতি কাটাতে সেখানে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা রানী সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তদারকির জন্য।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু রায়হান মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির দুই সদস্য হলেন_ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্পনারায়ণ।
মালোপাড়ায় আতঙ্ক কাটেনি
এদিকে জামায়াত-বিএনপির তাণ্ডবের ঘটনায় অভয়নগরের মালোপাড়ার বাসিন্দারা ঘরে ফিরলেও তাদের আতঙ্ক কাটেনি। ঘটনার পর থেকে পাড়াটিতে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে ১০ জন পুলিশের একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অভয়নগর থানার উপ-পরিদর্শক মহাসিন হাওলাদার বাদী হয়ে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২শ' থেকে আড়াইশ' জনকে আসামি করে মামলা করেছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো_ আবু সাঈদ, রবিউল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, হাদিউজ্জামান কানন এবং মোহাম্মদ আলী মোল্যা। সবার বাড়ি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। মঙ্গলবার অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২ টন চাল ও ১ লাখ টাকা বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া যশোর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একদিনের বেতন বাবদ ৩ লাখ টাকা যার ১ লাখ টাকা গতকাল দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ লাখ টাকা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। যশোর সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ১০০ কম্বল বিতরণ করেছেন।
অভয়নগর উপজেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল বলেন, 'অভয়নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে যা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।'
যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র বলেন, 'ছয়জন অফিসারসহ ৫৬ জন পুলিশ নিয়ে অপারেশনাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার না করা এবং মালোপাড়ার বাসিন্দাদের ভীতি দূর না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হবে না।'
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চার লাখ টাকা, দুই টন চাল ও ৩০ বান্ডিল টিন বরাদ্দ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ও দোকান পুনর্নিমাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ পাঁচ মন্ত্রী বিষয়টি মনিটর করছেন।'
No comments