সংখ্যালঘু নির্যাতন রুখে দাঁড়ান
দেশের
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার
জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক দলসহ মানবাধিকার, পেশাজীবী,
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে এই নির্যাতন
রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশের সব মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। গতকাল
মঙ্গলবার পাঠানো একাধিক বিবৃতি ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর
উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলা হয়, সহিংসতা বন্ধ না হলে তা অসাম্প্রদায়িক
চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এসব ঘটনা মানবাধিকারের জন্য এক অশনিসংকেত বলেও
উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ধর্মীয়
উপাসনালয়ে বর্বরোচিত হামলা, অগি্নসংযোগ ও নির্যাতন প্রতিরোধে অবিলম্বে
জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার
জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের
শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ
অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ১০ জানুয়ারি সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল করবে বাংলাদেশ
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
আওয়ামী লীগ :বিএনপি-জামায়াতের চিহ্নিত অপশক্তির যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তিকে সতর্ক থাকা এবং প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, যশোর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর বাড়িঘর, দোকানপাট, উপাসনালয়ে ভাংচুর, লুটপাট, অগি্নসংযোগ এবং সহিংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ছদ্মাবরণে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশে এক নৈরাজ্যকর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে 'চিহ্নিত অপশক্তি'র সব ষড়যন্ত্রকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলার মধ্য দিয়ে প্রতিহত করারও আহ্বান জানান সৈয়দ আশরাফ।
বিএনপি :নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানে এলাকাভিত্তিক পাহারা বসানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহসভাপতি সেলিমা রহমান দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এ নির্দেশ দেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
নির্বাচনের পরের দিন বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানান সেলিমা রহমান। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তিনি বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের সব নেতাকর্মীকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে সরকারের অভিযোগের প্রতিবাদ জানান বিএনপি নেত্রী। আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট :সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে 'সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি' গঠনের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা এ আহ্বান জানান। জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, প্রাবন্ধিক-গবেষক মফিদুল হক, অধ্যাপক কবি মুহাম্মদ সামাদ, সংস্কৃতিকর্মী নিসার হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি কালো পতাকা মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে জানানো হয়, যশোর এবং দিনাজপুরের সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার এলাকা পরিদর্শন করতে আগামী শুক্রবার দুটি প্রতিনিধি দল যাবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন :জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
টিআইবি :ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জোর দাবি জানান। গতকাল এক বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিকৃষ্টতম উদাহরণ।'
সুজন :সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভোট দেওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেড় শতাধিক হিন্দু বাড়িতে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার দাবি জানায়।
সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংবাদিক মঞ্চ :সংখ্যালঘুদের ওপর উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংবাদিক মঞ্চ। ঢাকায় কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক যৌথ বিবৃতিতে গতকাল মঙ্গলবার এ দাবি জানান। একই সঙ্গে হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১০ টায় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা :বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মৈত্রী পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টসহ অসংখ্য সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ :সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলে প্রতিরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ মন্তব্য করেন।
মানববন্ধন থেকে ১০ জানুয়ারি শুক্রবার সারাদেশে কালো পতাকা হাতে মিছিল কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অকার্যকর করতে চায় জামায়াত-শিবির। তাই এবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলে প্রতিরোধ করা হবে।
নেতারা বলেন, চার দশক ধরে নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এভাবে দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের প্রধান দুই দল এ বিষয়ে আজও তেমন বলিষ্ঠ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় সংখ্যালঘুদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নির্মল রোজারিও, অধ্যাপক ডা. অমল কুমার ঘোষ, নির্মল চ্যাটার্জী, তপন চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, কাজল দেবনাথ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ :বিএনপি-জামায়াতের চিহ্নিত অপশক্তির যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তিকে সতর্ক থাকা এবং প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, যশোর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর বাড়িঘর, দোকানপাট, উপাসনালয়ে ভাংচুর, লুটপাট, অগি্নসংযোগ এবং সহিংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ছদ্মাবরণে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশে এক নৈরাজ্যকর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে 'চিহ্নিত অপশক্তি'র সব ষড়যন্ত্রকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলার মধ্য দিয়ে প্রতিহত করারও আহ্বান জানান সৈয়দ আশরাফ।
বিএনপি :নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানে এলাকাভিত্তিক পাহারা বসানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহসভাপতি সেলিমা রহমান দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এ নির্দেশ দেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
নির্বাচনের পরের দিন বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানান সেলিমা রহমান। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তিনি বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের সব নেতাকর্মীকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে সরকারের অভিযোগের প্রতিবাদ জানান বিএনপি নেত্রী। আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট :সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে 'সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি' গঠনের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা এ আহ্বান জানান। জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, প্রাবন্ধিক-গবেষক মফিদুল হক, অধ্যাপক কবি মুহাম্মদ সামাদ, সংস্কৃতিকর্মী নিসার হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি কালো পতাকা মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে জানানো হয়, যশোর এবং দিনাজপুরের সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার এলাকা পরিদর্শন করতে আগামী শুক্রবার দুটি প্রতিনিধি দল যাবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন :জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
টিআইবি :ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জোর দাবি জানান। গতকাল এক বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিকৃষ্টতম উদাহরণ।'
সুজন :সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভোট দেওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেড় শতাধিক হিন্দু বাড়িতে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার দাবি জানায়।
সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংবাদিক মঞ্চ :সংখ্যালঘুদের ওপর উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংবাদিক মঞ্চ। ঢাকায় কর্মরত শতাধিক সাংবাদিক যৌথ বিবৃতিতে গতকাল মঙ্গলবার এ দাবি জানান। একই সঙ্গে হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১০ টায় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা :বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মৈত্রী পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টসহ অসংখ্য সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ :সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলে প্রতিরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ মন্তব্য করেন।
মানববন্ধন থেকে ১০ জানুয়ারি শুক্রবার সারাদেশে কালো পতাকা হাতে মিছিল কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অকার্যকর করতে চায় জামায়াত-শিবির। তাই এবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলে প্রতিরোধ করা হবে।
নেতারা বলেন, চার দশক ধরে নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এভাবে দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের প্রধান দুই দল এ বিষয়ে আজও তেমন বলিষ্ঠ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় সংখ্যালঘুদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নির্মল রোজারিও, অধ্যাপক ডা. অমল কুমার ঘোষ, নির্মল চ্যাটার্জী, তপন চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, কাজল দেবনাথ প্রমুখ।
No comments