দুই দলই সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠুক
বিরোধী
দলের ভোট বয়কটের মধ্যে বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের
হার অপেক্ষাকৃত কম হবে_ ধারণা করা গিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক
উপস্থিতি সত্ত্বেও ভোটের দিন সহিংসতায় কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি নিহত হয়েছে এবং
বিরোধী দলের কর্মীরা বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। চূড়ান্ত ফল
প্রকাশ না হলেও আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে বাস্তবতা হলো, এবারের নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে কোনো
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই প্রার্থীরা বিজয়ী ঘোষিত হয়েছেন। এটা ফলাফলের মানকে
ক্ষুণ্ন করেছে। এর ফলে নির্বাচনের বৈধতা কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে না।
বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন থেকে দূরে সরে থাকা সত্ত্বেও
সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধী দলের নির্বাচন বয়কটের
প্রধান কারণ ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করা।
কিন্তু রাজনৈতিক বরফ গলেনি। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের পর ২০১১
সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বাতিল করা হয়।
তারপরও সবাইকে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ অনুভব করে আওয়ামী লীগ
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সর্বদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করে;
কিন্তু বিরোধী দল তা প্রত্যাখ্যান করে।
রাজনৈতিক এই জটিল অবস্থার মূলে রয়েছে অবিশ্বাস ও সহিংসতার সংস্কৃতি। বাংলাদেশের রাজনীতিকে এটাই প্রভাবিত করে চলেছে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও বাংলাদেশ তার অতীত সহিংসতাকে ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণর্ অবস্থা তৈরি করতে পারেনি। এটা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করেছে। দুই প্রধান বিরোধী দল তাদের সংকীর্ণ স্বার্থের ঊধর্ে্ব উঠতে পেরেছে খুব কমই। অথচ বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছিল। এমনকি তাদের নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ীও মনে করা হচ্ছিল। গত দুই বছরে তারা বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিল। তবে তারা তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটিকে সর্বোচ্চ সম্ভব মাত্রায় তোলার কৌশল নেয় এবং তাদের রাজনীতিকে হরতাল ও রাস্তার সহিংসতায় সীমাবদ্ধ করে ফেলে। বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতি ও সামাজিক অগ্রগতির প্রত্যাশার সঙ্গে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজন রাজনৈতিক শত্রুতার পরিবর্তে সাংবিধানিক রাজনীতি চর্চা করা। এ জন্য আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয়কে অবশ্যই পারস্পরিক আলোচনা চালাতে হবে। বিএনপি রাজনৈতিক সহিংসতা ত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে দশম সংসদ বাতিল করে নতুন সংসদ নির্বাচন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ভারতের যথেষ্ট স্টেক থাকার কারণে তারা উভয়পক্ষের সঙ্গে সৎ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে এবং বিএনপি যাতে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে সে জন্য তাদের রাজি করানোর চেষ্টা করতে পারে। এটা বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করবে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও স্থায়ী সুফলদায়ক হবে।
রাজনৈতিক এই জটিল অবস্থার মূলে রয়েছে অবিশ্বাস ও সহিংসতার সংস্কৃতি। বাংলাদেশের রাজনীতিকে এটাই প্রভাবিত করে চলেছে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও বাংলাদেশ তার অতীত সহিংসতাকে ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণর্ অবস্থা তৈরি করতে পারেনি। এটা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করেছে। দুই প্রধান বিরোধী দল তাদের সংকীর্ণ স্বার্থের ঊধর্ে্ব উঠতে পেরেছে খুব কমই। অথচ বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছিল। এমনকি তাদের নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ীও মনে করা হচ্ছিল। গত দুই বছরে তারা বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিল। তবে তারা তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটিকে সর্বোচ্চ সম্ভব মাত্রায় তোলার কৌশল নেয় এবং তাদের রাজনীতিকে হরতাল ও রাস্তার সহিংসতায় সীমাবদ্ধ করে ফেলে। বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতি ও সামাজিক অগ্রগতির প্রত্যাশার সঙ্গে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজন রাজনৈতিক শত্রুতার পরিবর্তে সাংবিধানিক রাজনীতি চর্চা করা। এ জন্য আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয়কে অবশ্যই পারস্পরিক আলোচনা চালাতে হবে। বিএনপি রাজনৈতিক সহিংসতা ত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে দশম সংসদ বাতিল করে নতুন সংসদ নির্বাচন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ভারতের যথেষ্ট স্টেক থাকার কারণে তারা উভয়পক্ষের সঙ্গে সৎ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে এবং বিএনপি যাতে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে সে জন্য তাদের রাজি করানোর চেষ্টা করতে পারে। এটা বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করবে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও স্থায়ী সুফলদায়ক হবে।
No comments