নতুন সরকার গঠনে আওয়ামী লীগে প্রস্তুতি by অমরেশ রায়
মধ্য জানুয়ারিতে নতুন সরকার গঠনের
প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগে। নতুন সরকারে কাদের নেওয়া হবে, তা নিয়ে আওয়ামী
লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট
নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, আগামী ১২ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের
শপথ নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। ১০ জানুয়ারি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা থেকে জাতির সামনে
এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নতুন সরকার গঠনের আগে
নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণে সাংবিধানিক জটিলতা হবে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রমতে, নতুন সরকার গঠনের পরপরই চলমান রাজনৈতিক সংকট ও বিরোধী দলের
লাগাতার হরতাল-অবরোধে দেশজুড়ে সৃষ্ট নাশকতা ও নৈরাজ্য কঠোর হাতে দমনের
পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। এ কারণেই দ্রুততম সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনতে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সরকার গঠন করতে চায় দলটি।
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনার বিস্তারিত জানা না গেলেও দ্রুত নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। একই দিন সন্ধ্যায় তিনি গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠককালেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। এর আগে সোমবার গণভবনে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।
নতুন সরকারে কারা থাকছেন_ সে বিষয়টি পরিষ্কার না হলেও দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকারের আদলে এ সরকার গঠন করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন নীতিনির্ধারকরা। ৩৩ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসতে সম্মত হলে সে ক্ষেত্রে ১৪ দল ও মহাজোটের বাকি শরিকদের নিয়ে নতুন সরকার গঠন করা হতে পারে। জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বর্তমানে সিএমএইচে। তার অবর্তমানে দল পরিচালনার 'অঘোষিত দায়িত্বে' থাকা প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ আজ বুধবার তার গুলশানের বাসায় দলটির নির্বাচিত এমপিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। সংসদে বিরোধী দলে থাকা-না থাকা, থাকলে কে বিরোধী নেতা হবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই তিনি ঠিক করবেন নতুন সরকারের গঠন কেমন হবে। তবে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠনে তার আপত্তি নেই। অবশ্য জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, তবে বিরোধী দলও তো লাগবে।
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনার বিস্তারিত জানা না গেলেও দ্রুত নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। একই দিন সন্ধ্যায় তিনি গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠককালেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। এর আগে সোমবার গণভবনে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।
নতুন সরকারে কারা থাকছেন_ সে বিষয়টি পরিষ্কার না হলেও দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকারের আদলে এ সরকার গঠন করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন নীতিনির্ধারকরা। ৩৩ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসতে সম্মত হলে সে ক্ষেত্রে ১৪ দল ও মহাজোটের বাকি শরিকদের নিয়ে নতুন সরকার গঠন করা হতে পারে। জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বর্তমানে সিএমএইচে। তার অবর্তমানে দল পরিচালনার 'অঘোষিত দায়িত্বে' থাকা প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ আজ বুধবার তার গুলশানের বাসায় দলটির নির্বাচিত এমপিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। সংসদে বিরোধী দলে থাকা-না থাকা, থাকলে কে বিরোধী নেতা হবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, জোট নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই তিনি ঠিক করবেন নতুন সরকারের গঠন কেমন হবে। তবে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠনে তার আপত্তি নেই। অবশ্য জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, তবে বিরোধী দলও তো লাগবে।
No comments