স্যালুট আপনাকে কিংবদন্তি
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা |
অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) নিয়মিত পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে প্রকাশ করা হলো।
বিদায় ম্যান্ডেলা
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর খবরে আহসান হাবিব তাঁর অনুভূতি জানিয়েছেন: স্যালুট আপনাকে হে কিংবদন্তি। আপনার মতো নেতার কিছুটা ছিটেফোঁটা আমাদের নেতারা পেলে আমরা হয়তো খুন, ধ্বংস ও স্বৈরাচারী অবস্থা থেকে মুক্তি পেতাম। সালাম: এসব নেতা যুগে যুগে একবারই আসেন। এঁরা নিজের জন্য আসেন না, নিজেকে বিলিয়ে দিতে আসেন। আমাদের নেতাদের মতো ক্ষমতা নিয়ে কামড়াকামড়ি করেন না। শুভ বিদায় নেলসন ম্যান্ডেলা। হূদয়: স্যালুট অবিসংবাদিত নেতা। আপনার মতো নেতা আমাদের খুব প্রয়োজন। বিশ্ব এমন এক নেতাকে হারাল, যাঁর অভাব কখনো পূরণ হওয়ার নয়। সাজেদ সোহেল: সব সময় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকবে এই মহান মানুষটির প্রতি। কালো মানুষদের কণ্ঠস্বর, নির্যাতিত মানুষের প্রতিচ্ছবি এই মাদিবা। বিশ্ব মুক্ত হোক বর্ণপ্রথা থেকে। শান্তা: কিছু মানুষ আমাদের জন্য পথ তৈরি করে দেন, আর আমরা সে পথে চলি। ম্যান্ডেলা মানবমুক্তির পথের অন্যতম স্রষ্টা। বিনম্র শ্রদ্ধা থাকল এই মহান প্রাণের জন্য। আবুল হাসনাত: এ পৃথিবী থেকে চলে গেলেন আরেক মহামানব। আমাদের এ দুর্ভাগা দেশে যদি তাঁর মতো একজন রাজনীতিবিদ থাকত, তবে দেশবাসীকে জ্বলেপুড়ে মরতে হতো না। কবে আমাদের দেশে এমন তর্কাতীত নেতারা আসবেন, যাঁকে নিয়ে আমরা গর্ব করব?
এবার তফসিল ১০ দিন পেছানোর শর্ত এরশাদের
কয়েক দিন ধরে নির্বাচন বর্জন ও ‘সর্বদলীয়’ সরকার থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ অবশেষে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নতুন শর্ত দিয়েছেন। এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাচ্চু লিখেছেন: সময়ের বিবর্তনে ও দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বৈরশাসক এরশাদের জাতীয় পার্টি এখন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতার লড়াইয়ে তুরুপের তাসে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুই রাজনৈতিক দলই এরশাদকে নিয়ে ভোটের হিসাবনিকাশ কষে ব্যস্ত সময় পার করছে। দুই দলের আদর্শহীন রাজনীতির কারণে এরশাদ আজ এমন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আসতে পেরেছেন। বিশ্বে আর কোনো স্বৈরশাসকের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। শফিক: এইচ এম এরশাদ যত কথা কম বলবেন, তত ভালো। জামিউল হাসান: এরশাদ হলো বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতির জনক। মোহসিন চৌধুরী: এরশাদের নাটক কখনো শেষ হবে না? তবে সে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চের নায়ক থেকে অচিরে খলনায়কে পরিণত হবে। রওনক: আওয়ামী লীগ এরশাদকে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য যতখানি উদগ্রীব, ততটা যদি বিএনপির ক্ষেত্রে দেখাত, তবে সবাই স্বাগত জানাত এবং খুশি হতো।
এরশাদ ‘ছুটে গেলে’ জরুরি অবস্থা?
বিশেষ প্রতিবেদনে সাংবাদিক শরিফুজ্জামান দেশে জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন। এতে মতামত জানিয়ে আকাশ ঘোষ লিখেছেন: নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধে জরুরি অবস্থা জারিই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। এফ রহমান: ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী সরকারকে যদি সেনাবাহিনীর কাঁধে চাপতে হয়, তবে দলটি কীভাবে পাকিস্তানি সেনাশাসকদের ক্ষমতা দখলের নির্লজ্জ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করবে? মীর মোহাম্মদ মোফাজ্জাল হোসেন: সেনা মোতায়েন করতে যত দেরি হবে, ভাঙচুর ও হত্যা তত বাড়বে। একবার ঠিকমতো পিটুনি দিতে পারলে বিএনপি-জামায়াত কোথায় পালাবে, খুঁজে পাওয়া যাবে না। সরকার কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে না বলে সবাই দেশটিকে মগের মুল্লুক বলে মনে করছে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। যারা জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তারা দুষ্কৃতকারী। তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। মোহাম্মদ নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর: এরশাদ ছুটে না গেলেও লাভ হবে না। কারণ, সরকারের নির্বাচনী ফন্দি জনগণ বুঝে গেছে। ভারত থেকে লোক নিয়ে এসে তদবির করানোর কাজটিও জনগণ ভালোভাবে নেয়নি।
শনিবার থেকে আবার ৭২ ঘণ্টার অবরোধ
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নতুন দফা অবরোধের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মোহাম্মদ শামিম হোসেন লিখেছেন: নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করাটাই একমাত্র দাবি হতে পারে না। পাঁচ বছর পর পর তথাকথিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা একদল দুর্বৃত্তের হাত থেকে আরেক দল দুর্বৃত্তের কাছে হস্তান্তরের একটা প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু তা ছাড়াও নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের বা সমস্যার মীমাংসা হওয়া দরকার। যদি তা না হয়, তবে মানুষের ক্রোধ চূড়ান্ত প্রতিশোধ নেবে। শাহেদ মাহবুব: দেশটা আপনাদের (খালেদা-হাসিনার) পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে যা খুশি করবেন। আমাদের রুটিরুজি হরণের অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি। মো. শিহাব উদ্দিন: যাদের প্রতি আপনাদের (১৮-দল) বিদ্বেষ, পারলে তাদের মারেন। আমাদের মারেন কেন? সালোক: এত কথা না বাড়িয়ে সরাসরি বলুন, আপনাদের (১৮-দল) দাবি না মানলে আরও মানুষকে আপনারা মারবেন। সারা জীবন তো বলে গেলেন জনগণ অমুক চায়, তমুক চায়। আসলে জনগণ কী চায়, তা আপনাদের জানা নেই। সরকারকে ভয় দেখাতে সাধারণ মানুষ হত্যা না করে মানুষকে ভালোবাসুন। মো. সাজির আলী: এভাবে অবরোধ-হরতাল দিতে থাকলে আমাদের জনগণের কী হবে, দেশটার কী হবে, কেউ ভেবেছেন একবার?
বিদায় ম্যান্ডেলা
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর খবরে আহসান হাবিব তাঁর অনুভূতি জানিয়েছেন: স্যালুট আপনাকে হে কিংবদন্তি। আপনার মতো নেতার কিছুটা ছিটেফোঁটা আমাদের নেতারা পেলে আমরা হয়তো খুন, ধ্বংস ও স্বৈরাচারী অবস্থা থেকে মুক্তি পেতাম। সালাম: এসব নেতা যুগে যুগে একবারই আসেন। এঁরা নিজের জন্য আসেন না, নিজেকে বিলিয়ে দিতে আসেন। আমাদের নেতাদের মতো ক্ষমতা নিয়ে কামড়াকামড়ি করেন না। শুভ বিদায় নেলসন ম্যান্ডেলা। হূদয়: স্যালুট অবিসংবাদিত নেতা। আপনার মতো নেতা আমাদের খুব প্রয়োজন। বিশ্ব এমন এক নেতাকে হারাল, যাঁর অভাব কখনো পূরণ হওয়ার নয়। সাজেদ সোহেল: সব সময় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকবে এই মহান মানুষটির প্রতি। কালো মানুষদের কণ্ঠস্বর, নির্যাতিত মানুষের প্রতিচ্ছবি এই মাদিবা। বিশ্ব মুক্ত হোক বর্ণপ্রথা থেকে। শান্তা: কিছু মানুষ আমাদের জন্য পথ তৈরি করে দেন, আর আমরা সে পথে চলি। ম্যান্ডেলা মানবমুক্তির পথের অন্যতম স্রষ্টা। বিনম্র শ্রদ্ধা থাকল এই মহান প্রাণের জন্য। আবুল হাসনাত: এ পৃথিবী থেকে চলে গেলেন আরেক মহামানব। আমাদের এ দুর্ভাগা দেশে যদি তাঁর মতো একজন রাজনীতিবিদ থাকত, তবে দেশবাসীকে জ্বলেপুড়ে মরতে হতো না। কবে আমাদের দেশে এমন তর্কাতীত নেতারা আসবেন, যাঁকে নিয়ে আমরা গর্ব করব?
এবার তফসিল ১০ দিন পেছানোর শর্ত এরশাদের
কয়েক দিন ধরে নির্বাচন বর্জন ও ‘সর্বদলীয়’ সরকার থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ অবশেষে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নতুন শর্ত দিয়েছেন। এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাচ্চু লিখেছেন: সময়ের বিবর্তনে ও দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বৈরশাসক এরশাদের জাতীয় পার্টি এখন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতার লড়াইয়ে তুরুপের তাসে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুই রাজনৈতিক দলই এরশাদকে নিয়ে ভোটের হিসাবনিকাশ কষে ব্যস্ত সময় পার করছে। দুই দলের আদর্শহীন রাজনীতির কারণে এরশাদ আজ এমন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আসতে পেরেছেন। বিশ্বে আর কোনো স্বৈরশাসকের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। শফিক: এইচ এম এরশাদ যত কথা কম বলবেন, তত ভালো। জামিউল হাসান: এরশাদ হলো বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতির জনক। মোহসিন চৌধুরী: এরশাদের নাটক কখনো শেষ হবে না? তবে সে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চের নায়ক থেকে অচিরে খলনায়কে পরিণত হবে। রওনক: আওয়ামী লীগ এরশাদকে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য যতখানি উদগ্রীব, ততটা যদি বিএনপির ক্ষেত্রে দেখাত, তবে সবাই স্বাগত জানাত এবং খুশি হতো।
এরশাদ ‘ছুটে গেলে’ জরুরি অবস্থা?
বিশেষ প্রতিবেদনে সাংবাদিক শরিফুজ্জামান দেশে জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন। এতে মতামত জানিয়ে আকাশ ঘোষ লিখেছেন: নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধে জরুরি অবস্থা জারিই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। এফ রহমান: ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী সরকারকে যদি সেনাবাহিনীর কাঁধে চাপতে হয়, তবে দলটি কীভাবে পাকিস্তানি সেনাশাসকদের ক্ষমতা দখলের নির্লজ্জ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করবে? মীর মোহাম্মদ মোফাজ্জাল হোসেন: সেনা মোতায়েন করতে যত দেরি হবে, ভাঙচুর ও হত্যা তত বাড়বে। একবার ঠিকমতো পিটুনি দিতে পারলে বিএনপি-জামায়াত কোথায় পালাবে, খুঁজে পাওয়া যাবে না। সরকার কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে না বলে সবাই দেশটিকে মগের মুল্লুক বলে মনে করছে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। যারা জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তারা দুষ্কৃতকারী। তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। মোহাম্মদ নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর: এরশাদ ছুটে না গেলেও লাভ হবে না। কারণ, সরকারের নির্বাচনী ফন্দি জনগণ বুঝে গেছে। ভারত থেকে লোক নিয়ে এসে তদবির করানোর কাজটিও জনগণ ভালোভাবে নেয়নি।
শনিবার থেকে আবার ৭২ ঘণ্টার অবরোধ
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নতুন দফা অবরোধের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মোহাম্মদ শামিম হোসেন লিখেছেন: নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করাটাই একমাত্র দাবি হতে পারে না। পাঁচ বছর পর পর তথাকথিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা একদল দুর্বৃত্তের হাত থেকে আরেক দল দুর্বৃত্তের কাছে হস্তান্তরের একটা প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু তা ছাড়াও নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের বা সমস্যার মীমাংসা হওয়া দরকার। যদি তা না হয়, তবে মানুষের ক্রোধ চূড়ান্ত প্রতিশোধ নেবে। শাহেদ মাহবুব: দেশটা আপনাদের (খালেদা-হাসিনার) পৈতৃক সম্পত্তি নয় যে যা খুশি করবেন। আমাদের রুটিরুজি হরণের অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি। মো. শিহাব উদ্দিন: যাদের প্রতি আপনাদের (১৮-দল) বিদ্বেষ, পারলে তাদের মারেন। আমাদের মারেন কেন? সালোক: এত কথা না বাড়িয়ে সরাসরি বলুন, আপনাদের (১৮-দল) দাবি না মানলে আরও মানুষকে আপনারা মারবেন। সারা জীবন তো বলে গেলেন জনগণ অমুক চায়, তমুক চায়। আসলে জনগণ কী চায়, তা আপনাদের জানা নেই। সরকারকে ভয় দেখাতে সাধারণ মানুষ হত্যা না করে মানুষকে ভালোবাসুন। মো. সাজির আলী: এভাবে অবরোধ-হরতাল দিতে থাকলে আমাদের জনগণের কী হবে, দেশটার কী হবে, কেউ ভেবেছেন একবার?
No comments