ট্রেভন হত্যা মামলায় জিমারম্যান খালাস-যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রায়ের তীব্র নিন্দা
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেভন মার্টিন নামে এক
নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরকে গুলি করে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ
আসামি জর্জ জিমারম্যান বেকসুর খালাস পেয়েছেন। গত শনিবার আলোচিত এ মামলার
রায় হয়েছে।
নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এ রায় বর্ণবাদ উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে রায় ঘোষণার আগে ছয় নারী বিচারকের একটি প্যানেল দুই দিনে ১৬ ঘণ্টা ধরে নিবিড়ভাবে পুরো তথ্য-প্রমাণ বিচার-বিশ্লেষণ করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানান। দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারদণ্ড হতে পারত জিমারম্যানের। কিন্তু মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগেই প্রমাণিত হয়নি। রায় ঘোষণার পর বিচারক ডেবোরাহ নেলসন জিমারম্যানকে বলেন, 'আপনি মুক্ত। আপনার মুচলেকার দরকার নেই। আদালতের কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আপনার জিপিএস মনিটর খুলে ফেলা হবে। আদালতের সঙ্গে আপনার আর কোনো সম্পর্ক নেই।' রায়ের তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে আদালতের বাইরে এবং ফ্লোরিডার রাস্তায় রাস্তায়। সান ফ্রান্সিসকো, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, ওয়াশিংটন ও আটলান্টাসহ বিভিন্ন শহরেও রায়ের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ হয়েছে। ফ্লোরিডার সানফোর্ড শহরে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রেভন মার্টিন নামের ১৭ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর খুন হয়। স্বেচ্ছাসেবী পাহারাদার জিমারম্যান নিরস্ত্র ট্রেভনকে বিনা কারণে গুলি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ মামলায় জিমারম্যানকে অভিযুক্ত করা হয়। আদালতে জিমারম্যান দাবি করেন, ট্রেভনের কাছ থেকে হামলার শিকার হলে নিজেকে বাঁচাতে তিনি গুলি ছোড়েন। তাতে ট্রেভন মারা যায়। সরকারি কেঁৗসুলিরা বলছেন, ট্রেভনকে খুঁজে বের করে গুলি করে হত্যা করেন জিমারম্যান। সূত্র : এএফপি।
« পূর্ববর্তী সংবাদ
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে রায় ঘোষণার আগে ছয় নারী বিচারকের একটি প্যানেল দুই দিনে ১৬ ঘণ্টা ধরে নিবিড়ভাবে পুরো তথ্য-প্রমাণ বিচার-বিশ্লেষণ করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানান। দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারদণ্ড হতে পারত জিমারম্যানের। কিন্তু মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগেই প্রমাণিত হয়নি। রায় ঘোষণার পর বিচারক ডেবোরাহ নেলসন জিমারম্যানকে বলেন, 'আপনি মুক্ত। আপনার মুচলেকার দরকার নেই। আদালতের কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আপনার জিপিএস মনিটর খুলে ফেলা হবে। আদালতের সঙ্গে আপনার আর কোনো সম্পর্ক নেই।' রায়ের তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে আদালতের বাইরে এবং ফ্লোরিডার রাস্তায় রাস্তায়। সান ফ্রান্সিসকো, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, ওয়াশিংটন ও আটলান্টাসহ বিভিন্ন শহরেও রায়ের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ হয়েছে। ফ্লোরিডার সানফোর্ড শহরে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রেভন মার্টিন নামের ১৭ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর খুন হয়। স্বেচ্ছাসেবী পাহারাদার জিমারম্যান নিরস্ত্র ট্রেভনকে বিনা কারণে গুলি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ মামলায় জিমারম্যানকে অভিযুক্ত করা হয়। আদালতে জিমারম্যান দাবি করেন, ট্রেভনের কাছ থেকে হামলার শিকার হলে নিজেকে বাঁচাতে তিনি গুলি ছোড়েন। তাতে ট্রেভন মারা যায়। সরকারি কেঁৗসুলিরা বলছেন, ট্রেভনকে খুঁজে বের করে গুলি করে হত্যা করেন জিমারম্যান। সূত্র : এএফপি।
« পূর্ববর্তী সংবাদ
No comments