ভালো থাকুন-ডায়াবেটিক রোগীর রোজা
রোজায় একটানা অনেকটা সময় না খেয়ে থাকার
ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে, অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যেতে
পারে। ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, মনোযোগ কমে যাওয়া, অল্পতেই ঘেমে
যাওয়া, শরীরে কাঁপুনি, মাথাব্যথা,
বুক ধড়ফড় করা প্রভৃতি
উপসর্গ দেখা দিতে পারে, এমনকি ব্যক্তি অচেতনও হয়ে যেতে পারেন।
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করে
চিকিৎসকের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নিতে হবে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের
ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস হলে রক্তে গ্লুকোজের
পরিমাণ বাড়ে। রোগীদের মুখে সেবনের ওষুধ বা ইনজেকশন দিয়ে রক্তে গ্লুকোজের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত থাকার ফলেও গ্লুকোজের
মাত্রা কমে। সুতরাং রমজানের সময় রোজাদার ডায়াবেটিসের রোগীদের ওষুধের
মাত্রা ও সেবন বা প্রয়োগের সময় সেহরি ও ইফতারের সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী সমন্বয় করে নিতে হবে। যাঁদের ডায়াবেটিস ততটা মারাত্মক নয়, ওষুধের
প্রয়োজন হয় না, শুধু খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
রাখেন- তাঁদের রোজা রাখায় ঝুঁকি কম। ইনস্যুলিননির্ভর রোগী, অনিয়ন্ত্রিত
ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিসজনিত মারাত্মক জটিলতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।
ডা. মুনতাসীর মারুফ
ডা. মুনতাসীর মারুফ
No comments