মেয়াদ শেষে দেশ ছাড়বেন জারদারি!
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসিফ আলী
জারদারির মেয়াদ আছে আর মাত্র আট সপ্তাহ। ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে তাঁর পাঁচ
বছরের মেয়াদ। তারপর জারদারি কোথায় থাকবেন- দেশে, নাকি বিদেশে? রাজনীতি
করবেন কি না? পাকিস্তানের রাজনীতিতে এখন এ প্রশ্নই সবচেয়ে বেশি ঘুরপাক
খাচ্ছে।
জারদারি অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে তাঁর
ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে মেয়াদ শেষে দেশ ছাড়বেন
জারদারি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জারদারির বিদেশে পাড়ি জমানোর কারণ শুধু
নিরাপত্তা নয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা আবার চালু হতে পারে- এ ভয়েই
হয়তো তিনি দেশ ছাড়বেন। তা ছাড়া সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ
হওয়ার পরবর্তী দুই বছর রাজনীতিতেও সক্রিয় হতে পারবেন না তিনি। কাজেই এ
সময়টা পার করার জন্য সম্ভবত বিদেশেই থাকবেন তিনি।
জারদারির ঘনিষ্ঠ সূত্র পাকিস্তানের ডন পত্রিকাকে জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের প্রধান নিরাপত্তারক্ষী খুন হয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে জারদারি নিজে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন। জারদারি তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন ছিলেন। এ জন্য তিনি অসুস্থ হলেও পাকিস্তানের হাসপাতালে যেতেন না। ২০১১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি দুবাই যান চিকিৎসা করাতে। আর মেয়াদ শেষ হলে তাঁর জন্য বর্তমানের মতো নিরাপত্তা বেষ্টনীও থাকবে না। ফলে তিনি আরো বেশি হুমকির মধ্যে পড়বেন। বন্ধুরাও নিরাপত্তাজনিত কারণে জারদারিকে দেশ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
জারদারির মেয়াদ শেষ না হলেও এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের সংবিধানের ৪১(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৮ আগস্টের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সে অনুযায়ী ২০ জুলাইয়ের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ওই অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৬০ দিনের মধ্যে অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
গত ১১ মে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে। জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ভরাডুবি হয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।
এরই মধ্যে জারদারি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেছেন, 'একমাত্র তাঁকেই (জারদারি) কেন নির্বাচন করতে হবে? জারদারি ছাড়াও আমাদের আরো প্রার্থী আছে।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিপিপির আরেক নেতা বলেছেন, 'গত পাঁচ বছর জনসমক্ষে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তিনি নিজ কার্যালয়ে থাকতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। এখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব ক্ষমতা হারানো পর তো তিনি আর পাকিস্তানে থাকবেন না।'
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত হলেও পিএমএল-এন এখন পর্যন্ত তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এ নিয়ে কোনো কথাই বলছেন না। যতটুকু আভাস পাওয়া গেছে তাতে এটুকু নিশ্চিত যে এবারের প্রেসিডেন্ট ছোট কোনো প্রদেশ থেকেই নির্বাচন করা হবে। এ তালিকায় নওয়াজের পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ এবং আরেক প্রবীণ নেতা গাউস আলী শাহের নাম ঘুরে-ফিরে আসছে। এ দুজন এসেছেন যথাক্রমে খাইবার পাখতুনখোয়া ও সিন্ধু প্রদেশ থেকে। তবে আরেক সূত্র জানিয়েছে, সারতাজ বা গাউস আলী যে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে হয়তো অন্য কারো নাম ঘোষণা করতে পারেন নওয়াজ। সূত্র : ডন।
জারদারির ঘনিষ্ঠ সূত্র পাকিস্তানের ডন পত্রিকাকে জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের প্রধান নিরাপত্তারক্ষী খুন হয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে জারদারি নিজে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন। জারদারি তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন ছিলেন। এ জন্য তিনি অসুস্থ হলেও পাকিস্তানের হাসপাতালে যেতেন না। ২০১১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি দুবাই যান চিকিৎসা করাতে। আর মেয়াদ শেষ হলে তাঁর জন্য বর্তমানের মতো নিরাপত্তা বেষ্টনীও থাকবে না। ফলে তিনি আরো বেশি হুমকির মধ্যে পড়বেন। বন্ধুরাও নিরাপত্তাজনিত কারণে জারদারিকে দেশ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
জারদারির মেয়াদ শেষ না হলেও এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের সংবিধানের ৪১(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৮ আগস্টের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সে অনুযায়ী ২০ জুলাইয়ের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ওই অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৬০ দিনের মধ্যে অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
গত ১১ মে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে। জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ভরাডুবি হয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।
এরই মধ্যে জারদারি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেছেন, 'একমাত্র তাঁকেই (জারদারি) কেন নির্বাচন করতে হবে? জারদারি ছাড়াও আমাদের আরো প্রার্থী আছে।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিপিপির আরেক নেতা বলেছেন, 'গত পাঁচ বছর জনসমক্ষে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তিনি নিজ কার্যালয়ে থাকতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। এখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব ক্ষমতা হারানো পর তো তিনি আর পাকিস্তানে থাকবেন না।'
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত হলেও পিএমএল-এন এখন পর্যন্ত তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এ নিয়ে কোনো কথাই বলছেন না। যতটুকু আভাস পাওয়া গেছে তাতে এটুকু নিশ্চিত যে এবারের প্রেসিডেন্ট ছোট কোনো প্রদেশ থেকেই নির্বাচন করা হবে। এ তালিকায় নওয়াজের পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ এবং আরেক প্রবীণ নেতা গাউস আলী শাহের নাম ঘুরে-ফিরে আসছে। এ দুজন এসেছেন যথাক্রমে খাইবার পাখতুনখোয়া ও সিন্ধু প্রদেশ থেকে। তবে আরেক সূত্র জানিয়েছে, সারতাজ বা গাউস আলী যে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে হয়তো অন্য কারো নাম ঘোষণা করতে পারেন নওয়াজ। সূত্র : ডন।
No comments