হজযাত্রী নিয়ে শঙ্কা-আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক
প্রতিবছর হজ আসে। আর তখন হজযাত্রীদের নিয়ে
নানা রকম ছলচাতুরী হয়। প্রতিবছরই কিছু না কিছু হজযাত্রী প্রতারিত হয়ে
বিমানবন্দর থেকে ফিরে যান, কিংবা হজ করতে গিয়ে তাঁরা সেখানে নানা ধরনের
বিড়ম্বনার শিকার হন।
নিম্নমানের বাড়িভাড়া ও থাকা-খাওয়ার
অব্যবস্থাপনার কারণে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে সেখানে গিয়ে তাঁরা যারপরনাই
কষ্টের মুখে পড়েন। অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন। আর সে অবস্থায় সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয় বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নানা রকম আশ্বাস দেওয়া
হয়। অথচ বাস্তবে কিছুই করা হয় না। আজ পর্যন্ত হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে
স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তদুপরি এ বছর হজযাত্রীদের আরো বেশি
বিড়ম্বনায় পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ সরকারের শেষ বছরে প্রায় ৮০০
প্রতিষ্ঠানকে হজ ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, যাদের
হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। অথচ ভিসা, টিকিট, বিমানের
শিডিউল নেওয়াসহ এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেখানে সামান্য ভুলত্রুটিও বড়
বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে, এমনকি হজযাত্রীদের বহু প্রত্যাশিত
যাত্রাও বাতিল হয়ে যেতে পারে। তেমনটি ঘটলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? সরকার
যতই হজ এজেন্সির ওপর দোষারোপের চেষ্টা করুক না কেন, এর দায়দায়িত্ব মূলত
সরকারকেই নিতে হবে।
প্রতিবছর লক্ষাধিক হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে যান। তাঁদের মধ্যে শহরের মানুষ যেমন থাকেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও থাকেন। বেশির ভাগেরই হজের আনুষ্ঠানিকতা, নিয়মকানুন সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকে না। সরল বিশ্বাসে তাঁরা হজ এজেন্সিগুলোর হাতে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ তুলে দিয়ে তাদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে থাকেন। দেখা গেছে, পুরনো এজেন্সিগুলোও সেই দায়িত্ব প্রায়ই যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়। সে ক্ষেত্রে নতুন এজেন্সিগুলো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকাটাই স্বাভাবিক। কাজেই একসঙ্গে এতগুলো লাইসেন্স ইস্যু করা কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে, তা সরকারকেই ভেবে দেখতে হবে। তাদের ব্যর্থতার দায়ভারও সরকারকেই বহন করতে হবে। অন্যদিকে যে বিষয়টি দেশের সম্মান এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমবাজারকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, সেটি হলো হজে গিয়ে ফিরে না আসা। এই ৮০০ এজেন্সির মাধ্যমে সে রকম অবৈধ শ্রমিক পাচারের ঘটনা যে ঘটবে না, তার কি নিশ্চয়তা আছে। সে রকমটি ঘটলে তার দায় আবারও কি সৌদি আরবের বৈধ শ্রমবাজারের ওপর গিয়ে পড়বে না? লাইসেন্স দেওয়ার অধিকার যেমন সরকারের আছে, তেমনি লাইসেন্সের অপব্যবহার রোধ করার দায়িত্বও সরকারকেই পালন করতে হবে। আমরা চাই না পবিত্র হজ নিয়ে আবারও কোনো ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটুক কিংবা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক।
প্রতিবছর লক্ষাধিক হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে যান। তাঁদের মধ্যে শহরের মানুষ যেমন থাকেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও থাকেন। বেশির ভাগেরই হজের আনুষ্ঠানিকতা, নিয়মকানুন সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকে না। সরল বিশ্বাসে তাঁরা হজ এজেন্সিগুলোর হাতে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ তুলে দিয়ে তাদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে থাকেন। দেখা গেছে, পুরনো এজেন্সিগুলোও সেই দায়িত্ব প্রায়ই যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়। সে ক্ষেত্রে নতুন এজেন্সিগুলো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকাটাই স্বাভাবিক। কাজেই একসঙ্গে এতগুলো লাইসেন্স ইস্যু করা কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে, তা সরকারকেই ভেবে দেখতে হবে। তাদের ব্যর্থতার দায়ভারও সরকারকেই বহন করতে হবে। অন্যদিকে যে বিষয়টি দেশের সম্মান এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমবাজারকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, সেটি হলো হজে গিয়ে ফিরে না আসা। এই ৮০০ এজেন্সির মাধ্যমে সে রকম অবৈধ শ্রমিক পাচারের ঘটনা যে ঘটবে না, তার কি নিশ্চয়তা আছে। সে রকমটি ঘটলে তার দায় আবারও কি সৌদি আরবের বৈধ শ্রমবাজারের ওপর গিয়ে পড়বে না? লাইসেন্স দেওয়ার অধিকার যেমন সরকারের আছে, তেমনি লাইসেন্সের অপব্যবহার রোধ করার দায়িত্বও সরকারকেই পালন করতে হবে। আমরা চাই না পবিত্র হজ নিয়ে আবারও কোনো ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটুক কিংবা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক।
No comments