যুবকের প্রতারণা-কমিশনের সুপারিশ আমলে নিন
যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি বা যুবক নামে
একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে ১৯৯৪ সালে সদস্যদের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আর সেই কার্যক্রমের মধ্যে
সীমাবদ্ধ থাকেনি।
অচিরেই সে প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০টি ব্যবসা
শুরু করে, যার বেশির ভাগই ছিল নিয়মবহির্ভূত। এসব ব্যবসার মধ্য দিয়ে কয়েক
লাখ গ্রাহক তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি সর্বমহলের নজরে আসে।
২০০৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক তদন্তে এর
সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় এবং গ্রাহকদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া
হয়; কিন্তু গ্রাহকরা আজও তাদের অর্থ ফিরে পায়নি। এ বিষয়ে একটি কমিশন গঠন
করা হয়েছিল। সেই কমিশনের রিপোর্টে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির তিন লাখ তিন
হাজার ৭৩৯ জন গ্রাহকের পাওনা দুই হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। সারা দেশে ৯১টি
প্রকল্পের মধ্যে ৫০টির কোনো জমি বাকি নেই। কমিশন গ্রাহকদের প্রতারণার দায়ে
৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করেছে। তাদের
প্রতারণার অর্থে ক্রয়কৃত সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার
কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে। কমিশন এ
কথাও উল্লেখ করেছে, যেসব বিভাগ, মন্ত্রণালয় এসব অপরাধ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ
করার দায়িত্বে ছিল, তারা সময়মতো সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি।
দেশের লাখ লাখ সহজ-সরল মানুষকে গ্রাহক বানিয়ে প্রতারণার জাল ফেলে দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতারণা করে আসছে এবং সেটা সরকারের চোখের সামনেই। যুবকের পর ডেসটিনি ও নিউওয়ে নামক এমএলএম প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকার আধাআধি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি, যখন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তত দিনে লাখ লাখ লোক তাদের সহায়-সম্পত্তি খুইয়ে বসেছে। এর পরও মন্দের ভালো যে দেরিতে হলেও বিষয়টি সরকারের নজরে পড়েছে। কিন্তু ভয়ের ব্যাপার হলো, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা মানুষের পকেট কেটে নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তাই খুবই সম্ভাবনা আছে যে আইনের নানা জটিলতাকে ব্যবহার করে তারা ফাঁক গলে বেরিয়ে আসতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কড়া নজর রাখতে হবে। আমরা কেউ যেন ভুলে না যাই যে যুবকের ওই ৪০ জনসহ প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশের লাখ লাখ মানুষের অর্থ, সহায়-সম্পত্তি জড়িয়ে আছে। কোনো ভুলের কারণে বা অবহেলায় অথবা সংশ্লিষ্ট কারো যোগসাজশে যেন এই গ্রাহকরা সর্বস্বান্ত
না হয়।
দেশের লাখ লাখ সহজ-সরল মানুষকে গ্রাহক বানিয়ে প্রতারণার জাল ফেলে দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতারণা করে আসছে এবং সেটা সরকারের চোখের সামনেই। যুবকের পর ডেসটিনি ও নিউওয়ে নামক এমএলএম প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকার আধাআধি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি, যখন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তত দিনে লাখ লাখ লোক তাদের সহায়-সম্পত্তি খুইয়ে বসেছে। এর পরও মন্দের ভালো যে দেরিতে হলেও বিষয়টি সরকারের নজরে পড়েছে। কিন্তু ভয়ের ব্যাপার হলো, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা মানুষের পকেট কেটে নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তাই খুবই সম্ভাবনা আছে যে আইনের নানা জটিলতাকে ব্যবহার করে তারা ফাঁক গলে বেরিয়ে আসতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কড়া নজর রাখতে হবে। আমরা কেউ যেন ভুলে না যাই যে যুবকের ওই ৪০ জনসহ প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশের লাখ লাখ মানুষের অর্থ, সহায়-সম্পত্তি জড়িয়ে আছে। কোনো ভুলের কারণে বা অবহেলায় অথবা সংশ্লিষ্ট কারো যোগসাজশে যেন এই গ্রাহকরা সর্বস্বান্ত
না হয়।
No comments