আসল স্পর্শকাতর তথ্য এখনো প্রকাশ করেননি স্নোডেন!
এডওয়ার্ড স্নোডেন মার্কিন সরকারের ‘আসল স্পর্শকাতর’ তথ্যগুলো এখনো প্রকাশ করেননি বলে জানিয়েছেনগার্ডিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড। তিনি বলেছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক এই কর্মীর হাতে এমন তথ্য-উপাত্ত আছে, যা প্রকাশ করলে যুক্তরাষ্ট্রের আরও অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে। গত শনিবার আর্জেন্টিনার লা নেসিয়ন পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড। তিনিই প্রথম স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদপত্র গার্ডিয়ান-এ প্রকাশ করেন। লা নেসিয়ন পত্রিকাকে গ্রিনওয়াল্ড বলেন, স্নোডেনের কাছে মার্কিন সরকারের এমন কিছু তথ্য আছে, যা প্রকাশ করে তিনি মিনিটের মধ্যেই সরকারের বিশাল ক্ষতি করতে পারেন। যে ক্ষতি ‘মার্কিন ইতিহাসে’ কোনো ব্যক্তি করতে পারেনি। তবে গ্রিনওয়াল্ড এ-ও বলেন, ওই সব তথ্য ফাঁস করা স্নোডেনের উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, স্নোডেন এর আগে যে নজরদারির তথ্য প্রকাশ করেছেন, তার উদ্দেশ্য মূলত জনগণকে এটা জানানো যে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয় বিষয়গুলো আর গোপনীয় নেই। এদিকে রাশিয়া বলেছে, তারা এখনো আশ্রয়ের জন্য স্নোডেনের আবেদন পায়নি। গত শুক্রবার মস্কোর বিমানবন্দরে আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় স্নোডেন রাশিয়ার কাছে সাময়িকভাবে আশ্রয় চান। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, এ জন্য স্নোডেনকে ফেডারেল মাইগ্রেশন সার্ভিস (এফএমএস) বরাবর আবেদন করতে হবে। গত শনিবার এফএমএসের প্রধান কনস্তান্তিন রমোদনভস্কি জানান, ওই দিন পর্যন্ত তাঁরা স্নোডেনের কোনো আবেদন পাননি। পেলে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়ায় তা খতিয়ে দেখা হবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন, ‘আসলে এই মুহূর্তে রাশিয়ায় আশ্রয়ের জন্য স্নোডেনের আবেদনের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।’ রাশিয়া স্নোডেনকে আশ্রয় দিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হতে পারে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যদিও স্নোডেন লাতিন কোনো দেশে আশ্রয় পাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বতী সময়ের জন্যই শুধু রাশিয়ার কাছে আশ্রয় চাইছেন। এর আগে একবার রাশিয়ার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার পর তা প্রত্যাহার করে নেন স্নোডেন। লাতিন আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া ও বলিভিয়া স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি ওই তিন দেশের যেকোনো একটিতে আশ্রয় নিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। তথ্য ফাঁসের কিছুদিন আগে স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে চলে যান। সেখান থেকে গত ২৩ জুন মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরে পোঁছান। তখন থেকে ওই বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন তিনি। প্রশাসনের নজরদারির কথা ফাঁস করায় স্নোডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন সরকার। তাঁর পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে। এএফপি, রয়টার্স।
No comments