কারাগার থেকে পালানো নিয়ে মুরসিকে জিজ্ঞাসাবাদ
২০১১ সালে মোবারকবিরোধী আন্দোলনের সময় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও তাঁর দলের কয়েকজন নেতার কারাগার থেকে পালানোর বিষয়ে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় সূত্র বার্তা সংস্থাকে এ কথা জানিয়েছে। এদিকে বিশিষ্ট উদারপন্থী নেতা মোহাম্মদ এল বারাদি গতকাল পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর আগে সরকারি অভিযোক্তারা মোহাম্মদ মুরসি ও তাঁর সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করেন। গতকাল রোববার বিচার বিভাগের কয়েকটি সূত্র জানায়, সরকারি তদন্তকারীরা এদিন মুরসিকে একটি অজ্ঞাত স্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। মুরসি ও তাঁর মুসলিম ব্রাদারহুড দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি, সহিংসতা উসকে দেওয়া ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ করা হয়েছে। যাঁদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মুরসির সংগঠন ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক সংগঠন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির (এফজেপি) উপপরিচালক এসাম এল-এরিয়ানও রয়েছেন। ২০১১ সালের মোবারকবিরোধী বিক্ষোভের অস্থিতিশীল সময়ে মুরসি ও ব্রাদারহুডের বেশ কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী ওয়াদি নাতরুন কারাগার থেকে পালিয়ে যান। গত জুনে একটি আদালতে বিচারের সময় প্রকাশ পায় গাজার হামাস শাসক ও লেবাননের হিজবুল্লাহ তাঁদেরকে পালাতে সহায়তা করেছিল। মিসরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গত ৩ জুলাই সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করে। সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের পর এ পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনী। আজ সোমবার ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) দেশজুড়ে নতুন করে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেনাবাহিনী মুরসিকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে। মিসরের আইন অনুযায়ী, সরকারি অভিযোক্তারা পুলিশ অথবা যেকোনো সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা রাখেন। ১৪ শীর্ষ নেতার সম্পদ জব্দের নির্দেশ: শীর্ষ ইসলামপন্থী ১৪ নেতার সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন মিসরের সরকারি অভিযোক্তা (পাবলিক প্রসিকিউটর) হিশাম বারাকাত। বিচার বিভাগ সূত্রে এ কথা জানা গেছে। সূত্র জানায়, এই নেতাদের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মোহাম্মদ বাদি ও তাঁর উপপ্রধান খাইরাত আল-শাতেরের নামও আছে। তাঁরা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তালিকাভুক্ত। সূত্রমতে, সম্পদ জব্দের বিষয়টি এসব নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের একটি অংশ। ১৪ জনের মধ্যে নয়জন হলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা। বাকি পাঁচজন সাবেক জঙ্গিগোষ্ঠী গামা ইসলামিয়াসহ অন্যান্য গ্রুপের। সরকারি অভিযোক্তারা দেশটির সম্প্রতি উত্খাত হওয়া প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ পাওয়ার পরদিন ইসলামপন্থী নেতাদের সম্পত্তি জব্দের এ নির্দেশ দিলেন। এএফপি ও বিবিসি।
No comments