'স্নোডেন মুখ খুললে চরম ক্ষতি হবে যুক্তরাষ্ট্রের'
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারি কর্মসূচি
প্রিজমের কথা ফাঁস করে দেওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেনের (৩০) হাতে যুক্তরাষ্ট্রের
জন্য বিব্রতকর আরো তথ্য আছে। এসব তথ্য প্রকাশ পেলে তা যুক্তরাষ্ট্রের
ভয়াবহতম দুঃস্বপ্ন হিসেবে দেখা দিতে পারে।
প্রিজম সম্পর্কে স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য প্রথম জনসমক্ষে আনা সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড গত শনিবার এ কথা জানান।
শনিবার আর্জেন্টিনার দৈনিক লা নাসিওনেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিনওয়াল্ড বলেন, 'একক ব্যক্তি হিসেবে এই প্রথম স্নোডেনের কাছেই যথেষ্ট তথ্য আছে, যা এক মিনিটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বড় ক্ষতি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত স্নোডেনের যেন কিছু না হয়, তাঁর জন্য প্রতিদিন হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করা। কারণ তাঁর যদি কিছু হয়, তবে সব তথ্য বেরিয়ে পড়বে এবং তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহতম দুঃস্বপ্ন।'
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মী স্নোডেন গত মাসের গোড়ার দিকে হংকংয়ে বসে যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ানের কাছে প্রিজমের কথা ফাঁস করে দেন। টেলিফোন ও ইন্টারনেটে নজরদারি সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন এ কর্মসূচির ওপর প্রথম প্রতিবেদনটি তৈরি করেন গার্ডিয়ানের সাংবাদিক গ্রিনওয়াল্ড। এ ঘটনায় স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের রোষের মুখে পড়েন। ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র আদালতে স্নোডেনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ দায়ের করে। ২৩ জুন হংকং ছেড়ে মস্কো পৌঁছেন স্নোডেন। ওই দিন থেকে তিনি মস্কোর শেরেমেতোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় আছেন।
গতকাল রবিবার সেখানে অবস্থানের তৃতীয় সপ্তাহ পূর্ণ হয়েছে। স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে সম্মত ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া ও নিকারাগুয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি এবং মস্কো ও বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের টানাপড়েন অব্যাহত আছে। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্নোডেন সাক্ষাৎ করেন। স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকারে বাধা দিয়ে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করেছে হিউম্যান রাইটস।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর জানা যায়, স্নোডেন রাশিয়ার কাছে সাময়িক রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন। তবে তাঁর চূড়ান্ত গন্তব্য লাতিন আমেরিকা। কিন্তু গত শনিবার পর্যন্ত মস্কোর কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা স্নোডেনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদন পাননি। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
শনিবার আর্জেন্টিনার দৈনিক লা নাসিওনেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিনওয়াল্ড বলেন, 'একক ব্যক্তি হিসেবে এই প্রথম স্নোডেনের কাছেই যথেষ্ট তথ্য আছে, যা এক মিনিটের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বড় ক্ষতি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত স্নোডেনের যেন কিছু না হয়, তাঁর জন্য প্রতিদিন হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করা। কারণ তাঁর যদি কিছু হয়, তবে সব তথ্য বেরিয়ে পড়বে এবং তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহতম দুঃস্বপ্ন।'
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মী স্নোডেন গত মাসের গোড়ার দিকে হংকংয়ে বসে যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ানের কাছে প্রিজমের কথা ফাঁস করে দেন। টেলিফোন ও ইন্টারনেটে নজরদারি সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন এ কর্মসূচির ওপর প্রথম প্রতিবেদনটি তৈরি করেন গার্ডিয়ানের সাংবাদিক গ্রিনওয়াল্ড। এ ঘটনায় স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের রোষের মুখে পড়েন। ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র আদালতে স্নোডেনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ দায়ের করে। ২৩ জুন হংকং ছেড়ে মস্কো পৌঁছেন স্নোডেন। ওই দিন থেকে তিনি মস্কোর শেরেমেতোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় আছেন।
গতকাল রবিবার সেখানে অবস্থানের তৃতীয় সপ্তাহ পূর্ণ হয়েছে। স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে সম্মত ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া ও নিকারাগুয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি এবং মস্কো ও বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের টানাপড়েন অব্যাহত আছে। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্নোডেন সাক্ষাৎ করেন। স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকারে বাধা দিয়ে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করেছে হিউম্যান রাইটস।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর জানা যায়, স্নোডেন রাশিয়ার কাছে সাময়িক রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন। তবে তাঁর চূড়ান্ত গন্তব্য লাতিন আমেরিকা। কিন্তু গত শনিবার পর্যন্ত মস্কোর কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা স্নোডেনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদন পাননি। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
No comments