বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিবঃ ছাত্রলীগ নয়, বিএনপি-জামায়াতই দায়ী by শামীম খান
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের কেউই ছাত্রলীগের কর্মী নয় বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব একথা বলেন।
তিনি এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে বলেন, “মানুষ হত্যা করে তার দায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ওপর চাপানো তাদের ( বিএনপি-জামায়াত) ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি বলেন, “তারা জ্বালাও, পোড়াও, মানুষ হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তাদের এ অরাজকতা সৃষ্টির কারণেই রোববার অবরোধের সময় পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস নৃশংসভাবে খুন হয়।”
‘বিশ্বজিতের হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত কেউই ছাত্রলীগের কর্মী নয়’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘“বিশ্বজিতের হত্যাকারী বলে যারা অভিযুক্ত, তাদের পরিচয় জানলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।”
আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিএনপি-জামায়াত হরতাল অবরোধের নামে দেশে তাণ্ডব চালা্চ্ছে। তারা মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। দেশে নৈরাজ্যকর পরি্স্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলকে তাদের অগ্রবর্তী শক্তি হিসেবে ব্যবহার করছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত খুনি ওবায়দুল কাদের ওরফে তাহসিন, রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, মীর মোফাজ্জল ওরফে নুরে আলম, ইমদাদুল হক ও সাইফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জামায়াত শিবিরের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষনিকভাবে বিশ্বজিতের খুনীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।
প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব বলেন, ওবায়দুল কাদেরের(তাহসিন)বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামে। আগে সে ছাত্র শিবিরের কর্মী ছিল। তার পিতা মাওলানা মহিউদ্দিন বর্তমানে সুখচর আজহারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। তার বড় ভাই সাব্বির আহমদ(কাজল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের বড় নেতা ছিল। এখন মিশন গ্রুপ, ঢাকায় চাকরি করে। তার ছোট ভাই মঞ্জুরুল কাদের(১৪) সুখচর আজহারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী। তার এক ছোট বোন তাহমিনা আক্তার(১০) মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
রফিকুল ইসলাম শাকিল, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস রোডে বাড়ি। তার পিতা মো: আনছার আলী খলিফা পটুয়াখালীর কর অফিসের অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন। বিএনপি সমর্থক। তার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম শাহিন পটুয়াখালী পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
মাহফুজুর রহমান নাহিদ, পিতা আব্দুর রহমান। ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামে তার বাড়ি। সে ভোলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আলীম ও ফাজিল পাশ করে। তার নানা মৃত ইউনুস একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিল। তার মামারা বিএনপি সমর্থক। আগে শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাবা স্থানীয় জামায়াত নেতা। বড় ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা শিবিরের সভাপতি। ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যার আসামি।
মীর মোহাম্মদ নুরে আলম লিমন, পিতা মো: নুরুল ইসলাম, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার সুলিপাড়া গ্রামে বাড়ি। নারী নির্যাতন, ছিনতাই, অপহরণসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
ইমদাদুল হক, পিতা মো: আকরাম আলী। যশোর জেলার শার্শা উপজেলার পাঁচ বায়রা গ্রামে বাড়ি।তার চাচা শাজাহান আলী জামায়াত কর্মী। স্থানীয় সামটা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।
সাইফুল ইসলাম, পিতা আবদুল হাই, বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ী পূর্বপাড়ায়। সে জগন্নাথ কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হত্যাকারীদের এই পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, শুধু বিশ্বজিতের হত্যাকারীদেরই নয়, হরতাল অবরোধের কারণে নিহত-আহত সব ঘটনারই তদন্ত হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন খুনী ও সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তারা যে-ই হোক তাদেরকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, দেশবাসী মনে করে বিএনপি-জামায়াত বুঝতে পেরেছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে তা হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এবং দেশবাসীর বিজয়। এ বিজয় নস্যাৎ করার জন্য তারা এখন উঠে পড়ে লেগেছে।যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য বিএনপি জামায়াত জোট আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে।
বিজয়ের মাসে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর নামে আন্দোলনের ডাক দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের নৈতিকতা হারিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতকে এ অশুভ পথ থেকে সরে এসে জনগণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের শান্তি বিনষ্ট না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
‘বিশ্বজিতের হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত কেউই ছাত্রলীগের কর্মী নয়’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘“বিশ্বজিতের হত্যাকারী বলে যারা অভিযুক্ত, তাদের পরিচয় জানলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।”
আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিএনপি-জামায়াত হরতাল অবরোধের নামে দেশে তাণ্ডব চালা্চ্ছে। তারা মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। দেশে নৈরাজ্যকর পরি্স্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলকে তাদের অগ্রবর্তী শক্তি হিসেবে ব্যবহার করছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত খুনি ওবায়দুল কাদের ওরফে তাহসিন, রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, মীর মোফাজ্জল ওরফে নুরে আলম, ইমদাদুল হক ও সাইফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জামায়াত শিবিরের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষনিকভাবে বিশ্বজিতের খুনীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।
প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব বলেন, ওবায়দুল কাদেরের(তাহসিন)বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামে। আগে সে ছাত্র শিবিরের কর্মী ছিল। তার পিতা মাওলানা মহিউদ্দিন বর্তমানে সুখচর আজহারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। তার বড় ভাই সাব্বির আহমদ(কাজল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের বড় নেতা ছিল। এখন মিশন গ্রুপ, ঢাকায় চাকরি করে। তার ছোট ভাই মঞ্জুরুল কাদের(১৪) সুখচর আজহারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী। তার এক ছোট বোন তাহমিনা আক্তার(১০) মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
রফিকুল ইসলাম শাকিল, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস রোডে বাড়ি। তার পিতা মো: আনছার আলী খলিফা পটুয়াখালীর কর অফিসের অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন। বিএনপি সমর্থক। তার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম শাহিন পটুয়াখালী পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
মাহফুজুর রহমান নাহিদ, পিতা আব্দুর রহমান। ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামে তার বাড়ি। সে ভোলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আলীম ও ফাজিল পাশ করে। তার নানা মৃত ইউনুস একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিল। তার মামারা বিএনপি সমর্থক। আগে শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাবা স্থানীয় জামায়াত নেতা। বড় ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা শিবিরের সভাপতি। ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যার আসামি।
মীর মোহাম্মদ নুরে আলম লিমন, পিতা মো: নুরুল ইসলাম, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার সুলিপাড়া গ্রামে বাড়ি। নারী নির্যাতন, ছিনতাই, অপহরণসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
ইমদাদুল হক, পিতা মো: আকরাম আলী। যশোর জেলার শার্শা উপজেলার পাঁচ বায়রা গ্রামে বাড়ি।তার চাচা শাজাহান আলী জামায়াত কর্মী। স্থানীয় সামটা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।
সাইফুল ইসলাম, পিতা আবদুল হাই, বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ী পূর্বপাড়ায়। সে জগন্নাথ কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হত্যাকারীদের এই পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, শুধু বিশ্বজিতের হত্যাকারীদেরই নয়, হরতাল অবরোধের কারণে নিহত-আহত সব ঘটনারই তদন্ত হবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন খুনী ও সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তারা যে-ই হোক তাদেরকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, দেশবাসী মনে করে বিএনপি-জামায়াত বুঝতে পেরেছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে তা হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এবং দেশবাসীর বিজয়। এ বিজয় নস্যাৎ করার জন্য তারা এখন উঠে পড়ে লেগেছে।যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য বিএনপি জামায়াত জোট আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে।
বিজয়ের মাসে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর নামে আন্দোলনের ডাক দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের নৈতিকতা হারিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতকে এ অশুভ পথ থেকে সরে এসে জনগণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের শান্তি বিনষ্ট না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
No comments