হরতালে বিক্ষিপ্ত পিকেটিং-ভাঙচুর

বিক্ষিপ্ত পিকেটিং এর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আধাবেলা হরতাল কর্মসূচি। রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতালকারী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে হরতালকারীরা। বুধবার রাতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে সিলেটে আজ পূর্ণ দিবস হরতাল পালন করছে স্থানীয় জামায়াত। সকাল থেকে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল কার্যত অবরুদ্ধ। সেখানে কোন ধরনের মিছিল সমাবেশ হয়নি। তবে কার্যালয়ের বিপরীত দিকের রাস্তায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হরতাল চলাকালে যাত্রাবাড়ি থেকে ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে সকালে রাজধানীর কাঁটাবন মোড়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে পিকেটাররা। আজিমপুর মোড়ে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থকরা। খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রদলের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানেও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বাসাবোতে হরতালের পক্ষে মিছিল করে জামায়াত। রাজারবাগ পুলিশ লাইন এলাকায়ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাংলামটরে পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে শিবির কর্মীরা।
এদিকে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকেই গত কয়েকটি হরতালের তুলনায় বেশি হারে যানবাহন চলাচল করেছে। প্রধান সড়কে হরতাল সমর্থনে মিছিল বা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। বেলা দুইটার পর রাস্তায় যানবাহন ও জনসমাগম বাড়ে। হরতাল চলাকালে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
হরতালের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত পিকেটিং, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে হরতালকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.