কাদের হরতাল ছিল! by সুকুমার সরকার
হরতাল দিলে রাস্তায় রাস্তায় সেই দলটির পিকেটিং থাকাটা স্বাভাবিক। বরং না থাকলেই প্রশ্ন জাগতে পারে পিকেটিং অনুপস্থিত কেন? বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় একটি সমাবেশ দেখে ভুলে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল আজ কি হরতাল নেই।
ওই সমাবেশ থেকে মাইকে বার বার ঘোষণা দেয়া হচ্ছিল স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে প্রতিহত করার।
চলতি সপ্তাহের শেষ দিনটা বৃহস্পতিবার আধাবেলা হরতাল দেয় দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। কিন্তু এদিন হরতাল সময়টাতে জাতীয় প্রেসক্লাব টু ভাটারা থানার বসুন্ধরা-বারিধারা আবাসিক এলাকা অবধি প্রধান সড়ক পথটিতে কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি বিরোধীদল বিএনপির নেতা-কর্মীদের।
বরং দৃশ্যটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এদিন সকাল ৯টায় প্রেসক্লাবে ঢোকার প্রধান গেটের ডান পাশে চোখে পড়ল ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি’ ব্যানারে জনা পঞ্চাশ লোক সারি করে মানবন্ধন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
ওই মানবন্ধন থেকে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষকে প্রতিহত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে। দাবি তোলা হচ্ছে বিচার দ্রুত শেষ করে রাজাকার, আলবদরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
হরতাল হলেও লোকজনের চলাচল স্বাভাবিক। তবে গাড়ি কম। অতএব সিএনজিতে দ্রুত পৌঁছে গেলাম রাজমনি ঈশাখাঁ হোটেল পার হয়ে চৌমাথা মোড়ে। সেখানে জনা ত্রিশেক সাড়ি দিয়ে দাঁড়ানে।
সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নয়াপল্টনে সাবেক শাসক দল বিএনপির প্রধান কার্যালয়। অতএব এখানে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের দাঁড়ানো স্বাভাবিক। তবু সাংবাদিক চিন্তা-চেতনা থেকে একটু উৎসুক হলাম দলীয় ব্যানার দেখার।
আমাকে একেবারে অবাক করে দিয়ে ভুল ভাংতে দেরী হল না- স্বাধীনতা বিরোধীচক্রকে রোখার আহবান সম্বলিত যুবলীগের ব্যানার।
আরেকদফা দ্রুত অবাক হলাম শান্তিনগর চৌমাথা মোড়ে এসে। ৭০-৭৫ জন শাসকদলের সমর্থক ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে।
তাই মনে মনে ভাবলাম কোন বিদেশি সিএনজিতে আমার সিটে বসা থাকলে নির্ধাৎ ধরে নিতেন আজ আওয়ামী লীগের হরতাল।
কিন্তু আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ যখন বিরোধীদলে থাকে তখন কিভাবে হরতাল হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কল্যাণে। তারা শাসক গোষ্ঠীর রক্ত-চক্ষুকে উপেক্ষা করে মিছিল-মিটিং-পিকেটিং করেছে।
পুলিশের লাঠিপেটা থেকে গুলি খেয়েছে। কিন্তু পিছু হটে যায়নি। হরতাল তারা সফল করে ফসল ঘরে তুলে নিয়েছে। কিন্তু বিএনপির ওই রকম ত্যাগী নেতা-কর্মী নেই বললেই চলে। নইলে হরতাল বারে বারে এভাবে ফ্লপ হতো না। এর আগের হরতালগুলোতে একই রকম অবস্থা হয়েছে।
এ ধরনের হরতালে কেবল জনদুর্ভোগ বাড়ে। ভাংচুরের ভয়ে মালিকরা তাদের গাড়ি বের করেন না। বাধ্য হয়ে নিত্য ছাপোষা অফিস যাত্রীদের রিকশা-সিএনজির আশ্রয় নিতে হয় কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে।
যার রেশ গিয়ে পড়ে সংসারে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সংসার চালানো দায়। তার ওপর এ ধরনের হরতালে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় বহুগুণ।
কাজ-কর্ম যায় বন্ধ হয়ে । অনেককে না খেয়ে কাটাতে হয়। তাদের খোঁজ ক’জন রাখে। তাই একটু চিন্তা করে হরতাল দিলে হয় না।
বরং দৃশ্যটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এদিন সকাল ৯টায় প্রেসক্লাবে ঢোকার প্রধান গেটের ডান পাশে চোখে পড়ল ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি’ ব্যানারে জনা পঞ্চাশ লোক সারি করে মানবন্ধন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
ওই মানবন্ধন থেকে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষকে প্রতিহত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে। দাবি তোলা হচ্ছে বিচার দ্রুত শেষ করে রাজাকার, আলবদরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
হরতাল হলেও লোকজনের চলাচল স্বাভাবিক। তবে গাড়ি কম। অতএব সিএনজিতে দ্রুত পৌঁছে গেলাম রাজমনি ঈশাখাঁ হোটেল পার হয়ে চৌমাথা মোড়ে। সেখানে জনা ত্রিশেক সাড়ি দিয়ে দাঁড়ানে।
সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নয়াপল্টনে সাবেক শাসক দল বিএনপির প্রধান কার্যালয়। অতএব এখানে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের দাঁড়ানো স্বাভাবিক। তবু সাংবাদিক চিন্তা-চেতনা থেকে একটু উৎসুক হলাম দলীয় ব্যানার দেখার।
আমাকে একেবারে অবাক করে দিয়ে ভুল ভাংতে দেরী হল না- স্বাধীনতা বিরোধীচক্রকে রোখার আহবান সম্বলিত যুবলীগের ব্যানার।
আরেকদফা দ্রুত অবাক হলাম শান্তিনগর চৌমাথা মোড়ে এসে। ৭০-৭৫ জন শাসকদলের সমর্থক ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে।
তাই মনে মনে ভাবলাম কোন বিদেশি সিএনজিতে আমার সিটে বসা থাকলে নির্ধাৎ ধরে নিতেন আজ আওয়ামী লীগের হরতাল।
কিন্তু আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ যখন বিরোধীদলে থাকে তখন কিভাবে হরতাল হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কল্যাণে। তারা শাসক গোষ্ঠীর রক্ত-চক্ষুকে উপেক্ষা করে মিছিল-মিটিং-পিকেটিং করেছে।
পুলিশের লাঠিপেটা থেকে গুলি খেয়েছে। কিন্তু পিছু হটে যায়নি। হরতাল তারা সফল করে ফসল ঘরে তুলে নিয়েছে। কিন্তু বিএনপির ওই রকম ত্যাগী নেতা-কর্মী নেই বললেই চলে। নইলে হরতাল বারে বারে এভাবে ফ্লপ হতো না। এর আগের হরতালগুলোতে একই রকম অবস্থা হয়েছে।
এ ধরনের হরতালে কেবল জনদুর্ভোগ বাড়ে। ভাংচুরের ভয়ে মালিকরা তাদের গাড়ি বের করেন না। বাধ্য হয়ে নিত্য ছাপোষা অফিস যাত্রীদের রিকশা-সিএনজির আশ্রয় নিতে হয় কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে।
যার রেশ গিয়ে পড়ে সংসারে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সংসার চালানো দায়। তার ওপর এ ধরনের হরতালে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় বহুগুণ।
কাজ-কর্ম যায় বন্ধ হয়ে । অনেককে না খেয়ে কাটাতে হয়। তাদের খোঁজ ক’জন রাখে। তাই একটু চিন্তা করে হরতাল দিলে হয় না।
No comments