হরতালে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালাবে না বলছে বিএনপি-জামায়াত by মান্নান মারুফ ও নুর মোহাম্মদ
বৃহস্পতিবারের হরতালে অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকবে ১৮ দলীয় জোট। জোটের প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াত ব্যাপক আকারের পিকেটিংয়ের কথা ভাবছে না বলেই জানিয়েছে উভয় দলীয় সূত্র। আর এ জন্য দুই দলের মধ্যে প্রস্তুতিও ঢিলেঢালা।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সকাল বেলা নির্দিষ্ট কিছু স্পটে মিছিল-মিটিং করার চেষ্টা চালাবে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা। তবে ব্যাপক ভাঙচুরে না যাওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াওয়ে জনসাধারণের সম্পৃক্ত না হওয়াই তাদের সংহিসতার পথ আপাতত এড়িয়ে চলার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
অপরদিকে, ১৮ দলীয় জোট নেতা বিএনপির কেন্দ্র থেকেও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনের আহবান জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএনপির য্গ্মু-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, “হরতালের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।”
তবে “বিএনপি বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে না” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড বিএনপির কর্মীরা করে না। বৃহস্পতিবারও করবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ন্যায়ের পক্ষে কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে থাকবো।”
হরতাল সফলের বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের নেতারা আগের মতোই যার যার মতো মাঠে থাকবেন।”
নতুন করে কোন প্রস্তুতি না নেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “১৮ দলের দাবির সঙ্গে যেহেতু জনগণের নৈতিক সমর্থন আছে, তাই জনগণই হরতাল সফল করবে।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ হরতাল করতে চাই। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। জনগণের অধিকার আদায়ের কর্মসূচি। এ কর্মসূচির সঙ্গে সারাদেশের মানুষের সমর্থন আছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হবে।”
ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কোন ধ্বংসাত্মক বা হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জামায়াত-শিবির লিপ্ত হয় না। আমরা অন্যান্য দিনের মতোই বিভিন্ন পয়েন্টে থাকার চেষ্টা করবো।”
শিবিরের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সালেহ মো. ইয়াহিয়া বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া আছে।”
এ প্রসঙ্গে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএনপির য্গ্মু-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, “হরতালের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।”
তবে “বিএনপি বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে না” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড বিএনপির কর্মীরা করে না। বৃহস্পতিবারও করবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ন্যায়ের পক্ষে কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে থাকবো।”
হরতাল সফলের বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের নেতারা আগের মতোই যার যার মতো মাঠে থাকবেন।”
নতুন করে কোন প্রস্তুতি না নেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “১৮ দলের দাবির সঙ্গে যেহেতু জনগণের নৈতিক সমর্থন আছে, তাই জনগণই হরতাল সফল করবে।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ হরতাল করতে চাই। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। জনগণের অধিকার আদায়ের কর্মসূচি। এ কর্মসূচির সঙ্গে সারাদেশের মানুষের সমর্থন আছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হবে।”
ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কোন ধ্বংসাত্মক বা হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জামায়াত-শিবির লিপ্ত হয় না। আমরা অন্যান্য দিনের মতোই বিভিন্ন পয়েন্টে থাকার চেষ্টা করবো।”
শিবিরের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সালেহ মো. ইয়াহিয়া বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া আছে।”
No comments