গণতন্ত্র আজ ছাত্রলীগের চাপাতির আঘাতে লন্ডভন্ড by মান্নান মারুফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই সরকার (মহাজোট) তাদের পেটোয়া বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে মাঠে নামিয়েছে। তারাই বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।”
তিনি বলেন, “এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু দেশের গণতন্ত্র আজ পুলিশের বুটের নিচে পিষ্ট। গণতন্ত্র আজ ছাত্রলীগের চাপাতির আঘাতে লন্ডভন্ড।”
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় নিজের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ড. মোশাররফ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. আর এ গনি, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মোশাররফ প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এরা (আ’লীগ) স্বাধীনতার পরে বাকশাল কায়েম করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলো, কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেনি। আবারও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে তারা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। কিন্তু সেই আশা এদেশের জনগণ পূরণ হতে দেবে না। কারণ বিএনপি তাদের দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না, জনগণও এই নীল নকশার নির্বাচন মেনে নেবে না।”
তিনি বলেন, “গনতন্ত্র আজকে হুমকির সম্মুখীন, শেখ মুজিবও তার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বাকশাল কায়েম করেছিলো, কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তাই বর্তমান আওয়ামী লীগও যত চেষ্টাই করুক, তারা বাকশাল কায়েম করতে পারবে না।”
তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এক হয়ে আন্দোলনে নামার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে তরিকুল ইসলাম বলেন, “ আওয়ামী লীগ নিজেকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবি করে, কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণার আগ মুহূর্তে এই আওয়ামী লীগের নেতাদের কোথাও খুঁজেও পাওয়া যায়নি। তখন এই বিপদগ্রস্ত জাতিকে উদ্ধারের জন্য জিয়াউর রহমানই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুধু তাই নয় তিনি প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নেন।“
তিনি বলেন, “ এই আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও তাদের দলের থেকে বিএনপিতেই বেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেদের দাবি করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “তারা মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগে ভর করেছে গোয়েবলসের প্রেতাত্মা। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ করেছে দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ত্যাগেই দেশের স্বাধীনতা এসেছে।”
তিনি বলেন, “ ১৯ তারিখে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আছে। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের আসা বাধাগ্রস্ত করতেই এই হেলাল র্মোশেদ অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু এতে কোনো কাজ হবে না, কারণ মুক্তিযোদ্ধারা কোনো একক দলের সম্পত্তি নয়।”
তরিকুল বলেন, “ প্রকাশ্যে বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করেছে তারা কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারে না।” তিনি এসময় সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘ভাত দেওয়ার ভাতার নাই, আবার কিল মারার গোসাই’ বলে উল্লেখ করেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বিএনপি আন্দোলন করছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য।”
তিনি বলেন, “ এই সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে, এখন শুধু বিদায় নেওয়ার সময়। আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে।“
তিনি বলেন, “তারা জনগণের ভোটের অধিকার খর্ব করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করছে। এই সরকারের সময় ১৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। তারা বিজয়ের মাসে পবিত্রতার কথা বলে। তারাই তো পবিত্রতা নষ্ট করেছে। ৯১ থেকে ৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছিলো। তারা বিজয়ের মাসে লাগাতার হরতাল দিয়েছিলো।’
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “তখন কি তাদের বিজয়ের পবিত্রতার কথা মনে ছিলো না ?” তিনি বলেন, “ মীর্জা ফখরুলকে আপনারা গ্রেফতার করেছেন, তার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা দিয়েছেন। কিন্তু তাকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না। তিনি খুব শীগগিরই মুক্তি পাবেন। জাতির কাছে আপনাদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে গেছে। বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা কারা করেছে, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয় সারা বিশ্বের মানুষই দেখেছে।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, তাদের সময় শেষ হয়ে গেছে। সরকারের রাহুগ্রাস থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চায়। আন্দোলন শুরু হয়েছে, এ আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন।“
স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. আর এ গনি, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মোশাররফ প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এরা (আ’লীগ) স্বাধীনতার পরে বাকশাল কায়েম করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলো, কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেনি। আবারও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে তারা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। কিন্তু সেই আশা এদেশের জনগণ পূরণ হতে দেবে না। কারণ বিএনপি তাদের দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না, জনগণও এই নীল নকশার নির্বাচন মেনে নেবে না।”
তিনি বলেন, “গনতন্ত্র আজকে হুমকির সম্মুখীন, শেখ মুজিবও তার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বাকশাল কায়েম করেছিলো, কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তাই বর্তমান আওয়ামী লীগও যত চেষ্টাই করুক, তারা বাকশাল কায়েম করতে পারবে না।”
তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এক হয়ে আন্দোলনে নামার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে তরিকুল ইসলাম বলেন, “ আওয়ামী লীগ নিজেকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবি করে, কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণার আগ মুহূর্তে এই আওয়ামী লীগের নেতাদের কোথাও খুঁজেও পাওয়া যায়নি। তখন এই বিপদগ্রস্ত জাতিকে উদ্ধারের জন্য জিয়াউর রহমানই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুধু তাই নয় তিনি প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নেন।“
তিনি বলেন, “ এই আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও তাদের দলের থেকে বিএনপিতেই বেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেদের দাবি করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “তারা মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগে ভর করেছে গোয়েবলসের প্রেতাত্মা। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ করেছে দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ত্যাগেই দেশের স্বাধীনতা এসেছে।”
তিনি বলেন, “ ১৯ তারিখে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আছে। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের আসা বাধাগ্রস্ত করতেই এই হেলাল র্মোশেদ অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু এতে কোনো কাজ হবে না, কারণ মুক্তিযোদ্ধারা কোনো একক দলের সম্পত্তি নয়।”
তরিকুল বলেন, “ প্রকাশ্যে বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করেছে তারা কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারে না।” তিনি এসময় সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘ভাত দেওয়ার ভাতার নাই, আবার কিল মারার গোসাই’ বলে উল্লেখ করেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বিএনপি আন্দোলন করছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য।”
তিনি বলেন, “ এই সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে, এখন শুধু বিদায় নেওয়ার সময়। আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে।“
তিনি বলেন, “তারা জনগণের ভোটের অধিকার খর্ব করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করছে। এই সরকারের সময় ১৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। তারা বিজয়ের মাসে পবিত্রতার কথা বলে। তারাই তো পবিত্রতা নষ্ট করেছে। ৯১ থেকে ৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছিলো। তারা বিজয়ের মাসে লাগাতার হরতাল দিয়েছিলো।’
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “তখন কি তাদের বিজয়ের পবিত্রতার কথা মনে ছিলো না ?” তিনি বলেন, “ মীর্জা ফখরুলকে আপনারা গ্রেফতার করেছেন, তার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা দিয়েছেন। কিন্তু তাকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না। তিনি খুব শীগগিরই মুক্তি পাবেন। জাতির কাছে আপনাদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে গেছে। বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা কারা করেছে, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয় সারা বিশ্বের মানুষই দেখেছে।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, তাদের সময় শেষ হয়ে গেছে। সরকারের রাহুগ্রাস থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চায়। আন্দোলন শুরু হয়েছে, এ আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন।“
No comments