বিজয় র্যালি থেকে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ
যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়ে বিজয় র্যালি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ বিজয় র্যালি ও র্যালি পূর্ব সমাবেশে দলের নেতাকর্মীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
রোববার বিকেলে ৪২তম মহান বিজয় দিবসে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিজয় র্যালির আয়োজন করে।
র্যালির আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে বিকেল ৩টায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওর্য়াড থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সেখানে সমবেত হন।
ট্রাকের ওপর স্থাপিত মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বিচার কাজ সম্পন্ন ও রায় কার্যকর করা হবেই। কোনো শক্তিই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবে না।
এর পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি বিজয় র্যালির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিজয় র্যালি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হতে থাকে। এ সময় সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর এই স্থানে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসর্মপণ করে।
র্যালিতে দলের নেতাকর্মীরা নানা সাজে সজ্জিত হয়ে অংশ নেন। তারা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নেচে-গেয়ে বিজয় উল্লাস করতে থাকেন। তারা বিশাল বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা নিয়ে বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
তারা শোভাযাত্রায় প্রতীকী কামান, ট্যাংকসহ বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, রাইফেল কাঁধে মুক্তিযোদ্ধা, কাদামাখা সাহসী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিকৃতি বহন করে মুক্তিযুদ্ধের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। তারা পায়ে হেঁটে, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ এতে অংশগ্রহণ করেন। পুরো র্যালি জুড়ে ছিল মহান বিজয়ের আমেজ। বিজয়ের উল্লাসে মেতেছিলেন হাজার হাজার তরুণ বৃদ্ধ নেতাকর্মী ও সমর্থক।
র্যালির সবচেয়ে আবেদনময় বিষয় ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন ব্যঙ্গ চিত্র ও স্লোগান। তারা বড় বড় নৌকার মধ্যে গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদীসহ যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী ফাঁসির দৃশ্য উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমে তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান।
এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে র্যালিতে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার প্রদর্শন করার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শাহবাগ, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্সল্যাব, কলাবাগান, রাসেল স্কয়ার হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে বিজয় র্যালির আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এখানে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ নিজ এলাকায় চলে যান।
এদিকে র্যালিপূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেন, ‘‘আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবোই, করবো। বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে দেবেন না। তাই হরতাল ডেকে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। ’৭১ এ ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র থেকে গুলি খুলে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবুজ ঘাসে নাক ঘষে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির খালেদা জিয়া যতোই চেষ্টা করুন না কেন, ’৭১ এ যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রক্ষা করতে পারেননি, আজ তেমনি যুদ্ধাপরাধীদেরও রক্ষা করতে পারবেন না।’’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, সভাপতিমÐলীর সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওর্য়াড থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সেখানে সমবেত হন।
ট্রাকের ওপর স্থাপিত মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বিচার কাজ সম্পন্ন ও রায় কার্যকর করা হবেই। কোনো শক্তিই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবে না।
এর পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি বিজয় র্যালির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিজয় র্যালি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হতে থাকে। এ সময় সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর এই স্থানে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসর্মপণ করে।
র্যালিতে দলের নেতাকর্মীরা নানা সাজে সজ্জিত হয়ে অংশ নেন। তারা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নেচে-গেয়ে বিজয় উল্লাস করতে থাকেন। তারা বিশাল বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা নিয়ে বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
তারা শোভাযাত্রায় প্রতীকী কামান, ট্যাংকসহ বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, রাইফেল কাঁধে মুক্তিযোদ্ধা, কাদামাখা সাহসী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিকৃতি বহন করে মুক্তিযুদ্ধের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। তারা পায়ে হেঁটে, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ এতে অংশগ্রহণ করেন। পুরো র্যালি জুড়ে ছিল মহান বিজয়ের আমেজ। বিজয়ের উল্লাসে মেতেছিলেন হাজার হাজার তরুণ বৃদ্ধ নেতাকর্মী ও সমর্থক।
র্যালির সবচেয়ে আবেদনময় বিষয় ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন ব্যঙ্গ চিত্র ও স্লোগান। তারা বড় বড় নৌকার মধ্যে গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদীসহ যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী ফাঁসির দৃশ্য উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমে তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান।
এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে র্যালিতে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার প্রদর্শন করার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শাহবাগ, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্সল্যাব, কলাবাগান, রাসেল স্কয়ার হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে বিজয় র্যালির আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এখানে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ নিজ এলাকায় চলে যান।
এদিকে র্যালিপূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেন, ‘‘আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবোই, করবো। বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে দেবেন না। তাই হরতাল ডেকে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। ’৭১ এ ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র থেকে গুলি খুলে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবুজ ঘাসে নাক ঘষে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বৃহত্তর জামায়াতের মহিলা আমির খালেদা জিয়া যতোই চেষ্টা করুন না কেন, ’৭১ এ যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রক্ষা করতে পারেননি, আজ তেমনি যুদ্ধাপরাধীদেরও রক্ষা করতে পারবেন না।’’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, সভাপতিমÐলীর সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিবেদকঃ শামীম খান, মহিউদ্দিন মাহমুদ, মেহেদী হাসান পিয়াস
No comments