কানেক্টিকাট হত্যাকাণ্ডঃ প্রত্যেকের দেহে একাধিক গুলি
যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট রাজ্যের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ঘটা হত্যাকাণ্ডে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। শুক্রবারের ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিহতদের পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে।
জানা গেছে, নিহতদের প্রত্যেককে একাধিকবার গুলি করা হয়েছিল। প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে। কানেক্টিকাট রাজ্যের প্রধান চিকিৎসক ওয়েইন কার্ভার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ফলে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইন নিয়ে।
রোববার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য নিউটাউন যাওয়া কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। এর আগে শুক্রবার অশ্রুসজল চোখে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি।
২০ বছর বয়সী অ্যাডাম ল্যানজাকে হত্যাকারী হিসেবে শনাক্ত করেছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। নিজের মা ও স্কুলের ২৬ জনকে হত্যা করার পর সে তার আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মায়ের একটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল ও দুটি পিস্তলের পাশে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
চিকিৎসক কার্ভার ইতোমধ্যে সাতজন নিহতের ময়নাতদন্ত (অটোপ্সি) সম্পন্ন করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সম্ভবত রাইফেলের একাধিক গুলিতেই তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় নিহতদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। নিহত শিশুদের মধ্যে ১২ জন মেয়ে ও ৮ জন ছেলে, যাদের সবার বয়স ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে। এছাড়া স্কুলটির প্রিন্সিপাল, মনোবিজ্ঞানী ও দুইজন শিক্ষকও রয়েছেন নিহতের তালিকায়, যাদের সবার বয়স ২৭ থেকে ৫৬ বছরের মধ্যে।
হত্যাকাণ্ডের কারণ খুঁজতে স্কুলে ও হত্যাকারীর বাসভবনে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। প্রাথমিকভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
নিউ জার্সিতে অবস্থানরত হত্যাকারীর ভাই রায়ান ল্যানজা ও কানেক্টিকাটে অবস্থানরত বাবা পিটার ল্যানজাকেও জিজ্ঞাসাবাস করেছেন গোয়েন্দারা। তবে তাদের কাউকে এখন পর্যন্ত সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।
এছাড়া পিটার ল্যানজা শনিবার নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশাপাশি আমাদের পরিবারও শোকাচ্ছন্ন। আমরা কতোটা ব্যথিত হয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা এখনও ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে পারছি না ও কোনো একটা উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।”
দুটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নিশ্চিত করেছে, অ্যাডাম ল্যানজা (২০) তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তার মা ন্যান্সি স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারির শিক্ষিকা ছিলেন না।
এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, ন্যান্সি ল্যানজা মূলত একজন অস্ত্র সংগ্রহকারী ছিলেন। তিনি কিছুদিন আগে নতুন কেনা একটি রাইফেল প্রতিবেশীকে দেখিয়েছিলেন। এছাড়া শুধুমাত্র স্কুলে খুঁজে পাওয়া তিনটি অস্ত্রই নয়, অ্যাডাম ল্যানজার কাছে মায়ের অন্তত আরও তিনটি অস্ত্র ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, অ্যাডাম প্রথমে তার মাকে হত্যা করার পর মায়ের অস্ত্রগুলো নিয়ে কালো পোশাক ও সামরিক ভেস্ট (হাতাকাটা গেঞ্জি) পরে স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। তবে সে সকাল সাড়ে নয়টার আগেই স্কুলে প্রবেশ করেছিল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাড়ে নয়টার সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে শিশুসহ ২৬ জন অ্যাডামের গুলির আঘাতে প্রাণ হারান। আহত হন একজন, যার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় ভয়াবহ স্কুল হত্যাকাণ্ড। এর আগে ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়ার এক স্কুলে গোলাগুলিতে ৩২ জন নিহত হয়েছিল।
এ ঘটনায় কানেক্টিকাটসহ কয়েকটি রাজ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিতি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন গির্জা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হচ্ছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ফলে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র আইন নিয়ে।
রোববার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য নিউটাউন যাওয়া কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। এর আগে শুক্রবার অশ্রুসজল চোখে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি।
২০ বছর বয়সী অ্যাডাম ল্যানজাকে হত্যাকারী হিসেবে শনাক্ত করেছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। নিজের মা ও স্কুলের ২৬ জনকে হত্যা করার পর সে তার আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মায়ের একটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল ও দুটি পিস্তলের পাশে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
চিকিৎসক কার্ভার ইতোমধ্যে সাতজন নিহতের ময়নাতদন্ত (অটোপ্সি) সম্পন্ন করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সম্ভবত রাইফেলের একাধিক গুলিতেই তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় নিহতদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। নিহত শিশুদের মধ্যে ১২ জন মেয়ে ও ৮ জন ছেলে, যাদের সবার বয়স ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে। এছাড়া স্কুলটির প্রিন্সিপাল, মনোবিজ্ঞানী ও দুইজন শিক্ষকও রয়েছেন নিহতের তালিকায়, যাদের সবার বয়স ২৭ থেকে ৫৬ বছরের মধ্যে।
হত্যাকাণ্ডের কারণ খুঁজতে স্কুলে ও হত্যাকারীর বাসভবনে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। প্রাথমিকভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
নিউ জার্সিতে অবস্থানরত হত্যাকারীর ভাই রায়ান ল্যানজা ও কানেক্টিকাটে অবস্থানরত বাবা পিটার ল্যানজাকেও জিজ্ঞাসাবাস করেছেন গোয়েন্দারা। তবে তাদের কাউকে এখন পর্যন্ত সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।
এছাড়া পিটার ল্যানজা শনিবার নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশাপাশি আমাদের পরিবারও শোকাচ্ছন্ন। আমরা কতোটা ব্যথিত হয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা এখনও ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে পারছি না ও কোনো একটা উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।”
দুটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নিশ্চিত করেছে, অ্যাডাম ল্যানজা (২০) তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তার মা ন্যান্সি স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারির শিক্ষিকা ছিলেন না।
এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, ন্যান্সি ল্যানজা মূলত একজন অস্ত্র সংগ্রহকারী ছিলেন। তিনি কিছুদিন আগে নতুন কেনা একটি রাইফেল প্রতিবেশীকে দেখিয়েছিলেন। এছাড়া শুধুমাত্র স্কুলে খুঁজে পাওয়া তিনটি অস্ত্রই নয়, অ্যাডাম ল্যানজার কাছে মায়ের অন্তত আরও তিনটি অস্ত্র ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, অ্যাডাম প্রথমে তার মাকে হত্যা করার পর মায়ের অস্ত্রগুলো নিয়ে কালো পোশাক ও সামরিক ভেস্ট (হাতাকাটা গেঞ্জি) পরে স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। তবে সে সকাল সাড়ে নয়টার আগেই স্কুলে প্রবেশ করেছিল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাড়ে নয়টার সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে শিশুসহ ২৬ জন অ্যাডামের গুলির আঘাতে প্রাণ হারান। আহত হন একজন, যার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় ভয়াবহ স্কুল হত্যাকাণ্ড। এর আগে ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়ার এক স্কুলে গোলাগুলিতে ৩২ জন নিহত হয়েছিল।
এ ঘটনায় কানেক্টিকাটসহ কয়েকটি রাজ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিতি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন গির্জা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হচ্ছে।
No comments